নারী জাতীয় দলের নির্বাচক মঞ্জুরুল ইসলামকে বাদ দিচ্ছে বিসিবি। জাতীয় দল নির্বাচনে একক সিদ্ধান্তে সিনিয়র ক্রিকেটারদের বাদ দেওয়া, বিকল্প ম্যানেজার নিয়োগ দেওয়ায় বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করায় মঞ্জুকে বাদ দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে। নারী ক্রিকেটে একজনের জায়গায় এখন দু’জন নির্বাচক নেওয়া হচ্ছে। নির্বাচক প্যানেলের প্রধান হবেন সাজ্জাদ আহমেদ শিপন, সদস্য সজল চৌধুরী। বিসিবি নারী বিভাগের চেয়ারম্যান শফিউল আলম নাদেল জানান, নির্বাচক প্যানেল গঠনের পাশাপাশি বয়সভিত্তিক দলের জন্য কোচিং স্টাফও নিয়োগ হবে।
জাতীয় দলের সাবেক বাঁহাতি পেসার মঞ্জুকে ২০২০ সালের নভেম্বর মাসে নারী ক্রিকেটের নির্বাচক হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয় এক বছরের জন্য। একমাত্র নির্বাচক হওয়ায় নিয়োগ পাওয়ার কিছু দিনের মধ্যেই নিজেকে কর্তৃত্বপরায়ণ হিসেবে প্রতিষ্ঠা করেন। বিদেশে একজন সমর্থককে অটোগ্রাফ দেওয়া নিয়ে জাহানারা আলমের সঙ্গে খারাপ আচরণ করার অভিযোগ ওঠে তাঁর বিরুদ্ধে। পরবর্তী সময়ে জাতীয় দল থেকে বাদ দেওয়া হয় এ পেসারকে।
শ্রীলঙ্কা সফরে ১৬ জনের দলে রাখা হয়নি সিনিয়র দুই ক্রিকেটার সালমা খাতুন ও রুমানা আহমেদকে। সফর চলাকালে লতা মণ্ডল হাতের আঙুলে চোট পেলেও দলের সঙ্গে রেখে দেয়। মঞ্জুর কর্মকাণ্ডে ত্যাক্ত-বিরক্ত হয়ে প্রতিক্রিয়া দেখাতে থাকেন ক্রিকেটাররাও। এমনকি শ্রীলঙ্কা সফরে ম্যানেজার না হতে পেরে বিসিবির বিরুদ্ধেও বিদ্রোহ করে বসেন তিনি।
প্রতিবাদ করে নির্বাচক হিসেবে লঙ্কা সফর বয়কট করেন মঞ্জু। বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন যেটাকে ভালোভাবে নেননি। নির্বাচক মঞ্জুর স্বৈরাচারী মনোভাবের কারণে একাধিক সদস্য নিয়ে নির্বাচক প্যানেল গঠনের কথা ভাবছিলেন শফিউল আলম নাদেল। ভারতের বিপক্ষে হোম সিরিজে এই প্রক্রিয়া কার্যকর করা হবে বলে জানান নারী বিভাগের চেয়ারম্যান।
গতকাল সিলেট থেকে ফোনে সমকালকে তিনি বলেন, ‘নারী ক্রিকেটকে ঢেলে সাজাতে নির্বাচক প্যানেল গঠন করা হচ্ছে। সাজ্জাদ আহমেদ শিপন ও সজল চৌধুরীর সঙ্গে কথা বলেছি। শিগগির নিয়োগপত্র দেওয়া হবে দু’জনকে।’ নাদেল জানান, মঞ্জুকে পেষণে বাংলাদেশ টাইগার্সে পাঠানো হবে। কারণ, নির্বাচক হিসেবে অক্টোবর পর্যন্ত চুক্তি রয়েছে মঞ্জুর। যদিও বাংলাদেশ টাইগার্সের খেলোয়াড় নির্বাচন করে বিসিবির জাতীয় দল নির্বাচক প্যানেল। সেক্ষেত্রে মঞ্জুর ভূমিকা কী হবে, জানে না কেউই।
নির্বাচক প্যানেল গঠন করা ছাড়াও বয়সভিত্তিক দলের জন্য কোচিং প্যানেল গঠন করতে যাচ্ছে নারী বিভাগ। বয়সভিত্তিক দলের প্রধান কোচ করা হচ্ছে দিপু রায় চৌধুরীকে। এ ছাড়া ওয়াহিদুল গনির সঙ্গে আরও কয়েকজন কোচ নিয়োগ দেওয়া হবে বলে জানান নাদেল।