মকবুল হোসেনের দোকানটি ঢাকার ‘ফকিন্নি’ বাজারে। বাজারটি কারওয়ান বাজার থেকে বেশি দূরে নয়। গুগল ম্যাপ জানাচ্ছে, দূরত্ব আড়াই কিলোমিটারের মতো। ম্যাপে ‘ফকিন্নি’ বাজারকে উল্লেখ করা হয়েছে মুদিদোকান হিসেবে। রেটিং ভালো, পাঁচের মধ্যে চার।
যাঁরা গুগল ম্যাপের ধার ধারেন না, তাঁরা বিজয় সরণি দিয়ে তেজগাঁওয়ের দিকে যেতে ফ্লাইওভারের কাছে গিয়ে জানতে চাইলেই হবে ‘ফকিন্নি’ বাজার কোন দিকে। সবাই দেখিয়ে দেবে যে উড়ালসড়কের নিচে রেললাইনের পাশে এই বাজার গড়ে উঠেছে। আজ সকাল ১০টার দিকে গিয়ে দেখা গেল, বাজারটিতে ক্রেতার সংখ্যা খুব বেশি নয়। ছুটির দিনে বাজার সরগরম থাকার কথা, তা মোটেও নয়। কেন নয়, তা–ও জানা গেল বিক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলে। তাঁরা জানালেন, এই বাজারের ক্রেতাদের বড় অংশ রিকশাচালক, দিনমজুর, অটোরিকশাচালক, শ্রমিক ও ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী। তাঁরা ‘দিন আনেন, দিন খান’। শুক্রবার আয়ের নিশ্চয়তা সবচেয়ে কম থাকে। তাই সেদিন ‘বিলাসিতা’ করা, ভালো রান্না করার চল ততটা নেই।
‘ফকিন্নি’ বাজার নামকরণটি কীভাবে হলো, তা জানালেন ডিম বিক্রেতা মকবুল হোসেনই। এই বাজারে তাঁর ৪০ বছর হলো। বয়স্ক ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের মধ্যে তিনি একজন। তিনি বলেন, স্বাধীনতার আগে থেকেই আশপাশের ভিক্ষুকেরা তাঁদের ভিক্ষার চাল, চেয়েচিন্তে আনা ডাল, পেঁয়াজ ও রসুন এবং পাইকারি বাজারে কুড়িয়ে পাওয়া সবজি এনে রেললাইনের পাশে বিক্রি করতেন। ক্রেতারাও দরিদ্র অথবা নিম্নবিত্তের। সেই থেকে বাজারটির নাম হয়েছে ‘ফকিন্নি’ বাজার।
স্বাধীনতার ৫২ বছরে বাংলাদেশের দারুণ অর্থনৈতিক উন্নতির বিপরীতে ‘ফকিন্নি’ বাজারে রেলওয়ের জমিতে পাকা দোকান হয়েছিল। সেখানে মুদিদোকান, মুরগির দোকান, মাছের দোকান ও সবজির দোকান হয়েছিল। কিন্তু বছর দুয়েক আগে ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের কাজ করতে গিয়ে দোকানগুলো ভাঙা পড়ে। এখন কিছু দোকান পাকা, কিছু দোকান দোকান টিনের ছাউনির।
এই ভাঙা গড়ার মধ্যে ‘ফকিন্নি’ বাজার হিসেবে বাজারটির পরিচিতির কোনো ছেদ পড়েনি। এখনো সেখানকার ক্রেতারা বেশির ভাগ দরিদ্র অথবা নিম্নবিত্তের, বিক্রেতারাও অসচ্ছল। তেজকুনিপাড়ার বহুতল অ্যাপার্টমেন্টগুলো বাসিন্দারা এই বাজারে সাধারণত যান না। তবে ডিম বিক্রেতা মকবুল হোসেন বললেন, মধ্যবিত্তের কাউকে কাউকে এখন আসতে হয়। কারণ, চাকরি হারিয়ে, ব্যবসা হারিয়ে কোনো পরিবার সংকটে পড়েছে।
১০ টাকার ডাল, ২০ টাকার তেল
কারওয়ান বাজারের কোনো দোকানে গিয়ে ১০ টাকার মসুর ডাল চাইলে বিক্রেতা আপনাকে দূর দূর করে তাড়িয়ে দেবে। কিন্তু ‘ফকিন্নি’ বাজারে এক মধ্যবয়সী নারী ১০ টাকার ডাল, ২০ টাকার গুঁড়ামরিচ, ২০ টাকার গুঁড়াহলুদ—ছোট ছোট পলিব্যাগে এমন নানা পণ্য সাজিয়ে বসেছিলেন। চাইলে ২০ টাকার তেলও দিচ্ছিলেন। জানতে চাইলে ওই নারী বললেন, যাঁরা রিকশা চালান, যাঁরা দিনমজুরি করেন, তাঁরাই অল্প অল্প পরিমাণে এসব কেনেন।
বছর তিনেক আগে ওই বাজারে গিয়েছিলাম। তখন ১০ টাকার ডালের প্যাকেট আরও বড় ছিল। ওই নারী বিক্রেতাও তা স্বীকার করলেন। বললেন, ‘দাম বাড়ছে না, প্যাকেট তো ছোটই হবে।’
সরকারি সংস্থা ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) তালিকা ঘেঁটে দেখা গেল, ২০২০ সালের শুরুতে মসুর মোটাদানার ডালের কেজিপ্রতি দাম ছিল ৫০ টাকা। তা এখন ৯৫ টাকা। মূল্যবৃদ্ধির হার ৯০ শতাংশ। একইভাবে ৩০ টাকার মোটা চাল এখন ৪৮ থেকে ৫০ টাকা; ৯০ টাকা লিটারের খোলা সয়াবিন তেল ১৬৮ টাকা। দাম বাড়েনি, এমন পণ্য নেই বললেই চলে।
ওই নারী বিক্রেতার সঙ্গে মিনিট দশেক কথা হয়। এমন সময় তাঁর দোকানে এলেন এক গৃহবধূ। নাম কবিতা। জানতে চাইলাম, কবিতা খানম, বেগম, আক্তার, নাকি অন্য কিছু। বললেন, শুধু কবিতা। বুঝলাম, তাঁর জীবনে বাড়তি কোনো সাচ্ছন্দ্য যেমন নেই, তেমনি নামেও ‘বাহুল্য’ নেই।
কবিতা ওই নারী বিক্রেতার দোকান থেকে আধা কেজি মোটা চাল কিনলেন। ২০ টাকার ডাল কিনলেন। ২০ টাকার মরিচের গুঁড়া কিনলেন। আর ১০ টাকার চ্যাপা শুঁটকি চাইলেন। বিক্রেতার উত্তর ছিল, শুঁটকির দাম অনেক বেড়েছে। এখন আর ১০ টাকায় দেওয়া যাবে না। অবশ্য গাইগুই করেও তিনি ১০ টাকার শুঁটকিই দিলেন। তিনটি পুঁটি মাছ।
কবিতা জানালেন, এখন তাঁর রিকশাচালক স্বামী সকালে ২০০ টাকা দিয়ে যায়। তা দিয়েই বাজার সারতে হয়। চাল, ডাল, তেল, পেঁয়াজ, সবজি, মসলা এবং কখনো মাছ বা ডিম, মাঝেমধ্যে ব্রয়লার মুরগি। জানতে চাইলাম, বছর দুয়েক আগে দিনে কত টাকার বাজার করতেন? উত্তর এল, ১৫০ টাকা। এখন ২০০ টাকায়ও সেই পরিমাণ পণ্য পাওয়া যায় না।
বেসরকারি সংস্থা সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগ (সিপিডি) ২০২২ সালের অক্টোবরে একটি হিসেবে জানিয়েছিল, ঢাকা শহরের চার সদস্যের একটি পরিবারকে খাবার কিনতে মাসে গড়ে ৯ হাজার ৫৯ টাকা খরচ করতে হয় (১৬ অক্টোবর, ২০২২ এর মূল্যতালিকা ধরে)। মাছ-মাংস খেলে ওই পরিবারের খাবারে খরচ হয় ২২ হাজার ৪২১ টাকা। মানুষ কী কী খায়, তা ধরা হয়েছিল বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) জরিপ ‘বাংলাদেশ আরবান সোশিও–ইকোনমিক অ্যাসেসমেন্ট সার্ভের’ ভিত্তিতে।
সিপিডির হিসাবে, মাছ ও মাংস খেলে দৈনিক গড় খাবার খরচ ৭৪৭ টাকা দাঁড়ায়। ২০০ টাকা বাজারে নিয়ে এসে ‘ফকিন্নি’ বাজারের ক্রেতারা তাহলে কী কেনে? ডিম বিক্রেতা মকবুল হোসেন বললেন, গত পবিত্র ঈদুল আজহার পর তিনি গরুর মাংস খাননি।
মাছের দোকানে ভিড় নেই
বাজারটিতে মাছের দোকান ১৫টি। আজ সকালেও ৫টি দোকান বন্ধ পাওয়া গেল। বাকিগুলোতে পাঙাশ, তেলাপিয়া, নলা ও ছোট মাছই বেশি। দুয়েকটি দোকানে শোল, মেনি, বাইমসহ বেশ দামি মাছ দেখা গেল। যাঁরা একটু বাড়তি আয়ের, এই বাজারে তাঁরা এসব দামি মাছের ক্রেতা। তবে বেশির ভাগের সামর্থ্য পাঙাশ–তেলাপিয়ায় সীমাবদ্ধ। মধ্যবয়সী বিক্রেতা মোশারফ হোসেন একটু আক্ষেপের সঙ্গেই বললেন, ‘শুক্রবার কারওয়ান বাজারে হাজার হাজার মানুষ থাকে, এই বাজার ফাঁকা।’
খেয়াল করে দেখলাম, বেলা ১১টার দিকে বাজারটির মুদিদোকান ও সবজির দোকানের অংশে মোটামুটি ক্রেতা থাকলেও মাছের দোকানগুলোতে ক্রেতা একেবারেই কম। কারণ কী, জানতে চাইলে মোশারফের উত্তর, মাছের দাম অনেক বেড়েছে, বিক্রি কমেছে। উদাহরণ দিয়ে তিনি বলেন, বছর দুয়েক আগেও এক কেজি ছোট পাঙাশ ৮০ টাকায় কিনতেন, বিক্রি করতেন ১০০ থেকে ১১০ টাকায়। এখন কেনা লাগে ১৫০ টাকা কেজিতে। বিক্রি করেন ১৭০ টাকায়।
মাছের দোকানের আগে মুরগির দোকান। সেখানে ব্রয়লার মুরগি বিক্রি করতে দেখা যায় ২২০ টাকা কেজিতে। মুরগির দোকানের মালিক বিপ্লব হাসান বললেন, মুরগির কেজি কয়েক মাস আগেও ১৪০ টাকা ছিল। এখন দাম বেড়ে যাওয়ায় বিক্রি অর্ধেকে নেমেছে। তিনি অবশ্য ছোট খামারিদের দুর্দশার কথাও তুলে ধরলেন। বললেন, পোলট্রি খাদ্যের ব্যাপকভাবে বেড়েছে। খামারিরা ১৮০ থেকে ১৯০ টাকা কেজিতে মুরগি বিক্রি না করতে পারলে পোষাতে পারবে না।
পোলট্রি, গবাদি পশু ও মাছের খাবারের দাম বেড়ে যাওয়ার কারণ বিশ্ববাজারে উপকরণের মূল্যবৃদ্ধি ও মার্কিন ডলারের দাম বেড়ে যাওয়া। দেশে গত মে মাসেও ডলারের দাম ছিল ৮৬ টাকার আশপাশে। এখন তা ১০৬ টাকা। মূল্যবৃদ্ধির হার ২৩ শতাংশ। ফলে সব আমদানি পণ্যের দাম বেড়েছে।
বাংলাদেশ ব্যাংক বেশ কয়েক বছর ধরে ডলারের দাম কৃত্রিমভাবে ধরে রেখেছিল। বিপরীতে অর্থনীতিবিদদের পরামর্শ ছিল, দাম ধীরে ধীরে ছেড়ে দেওয়া। বাংলাদেশ ব্যাংক সেটা করেনি। এখন একসঙ্গে ডলারের দাম ব্যাপকভাবে বেড়ে চাওয়ায় পরোক্ষভাবে চাপে পড়েছে মানুষ। তাঁর আঁচ পড়েছে ‘ফকিন্নি’ বাজারেও।
ভিক্ষুক দুজন
‘ফকিন্নি’ বাজারে শুক্রবার সকালে দুই ঘণ্টার মতো থেকে দুজন ভিক্ষুকের দেখা পাওয়া গেল। কারওয়ান বাজারে কেনাকাটা করতে গেলেই ভিক্ষুকেরা জেঁকে ধরেন। গুলশান ও বনানিতে ভিক্ষাবৃত্তি বন্ধ করতে পুলিশ নিয়ে অভিযান চালাতে হয়। বিপরীতে ‘ফকিন্নি’ বাজার অনেকটা ভিক্ষুকমুক্ত। কেন, সেই প্রশ্নের উত্তর পাওয়া গেল দোকানদারদের বক্তব্যে। তাঁরা যা বললেন, তার সারমর্ম এই যে বাজারটির বেশির ভাগ ক্রেতাই নিম্নবিত্তের। ভিক্ষা দেওয়ার লোক নেই।
জীবন চলে কীভাবে
যে নারী বিক্রেতা ছোট ছোট প্যাকেজে ডাল ও মসলা বিক্রি করছিলেন, তাঁর নাম জানতে চাইলাম। তিনি উল্টো পরিচয় জানতে চাইলেন। জানার পর মিনতি করে বললেন, তাঁর নামটি যেন পত্রিকায় না দেওয়া হয়। তাঁর এক ছেলে মিরপুর বাংলা কলেজে স্নাতক শ্রেণিতে পড়ে। মানুষ নাম ও ছবি দেখলে তিনি লজ্জায় পড়বেন।
অভয় দেওয়ার পরে ওই নারী জানালেন, বেচাকেনা কমে যাওয়ার বিপরীতে তাঁর নিজের সংসারের খরচও অনেক বেড়েছে। দোকানটিই ভরসা। স্বামী লিভার সিরোসিসে আক্রান্ত। চিকিৎসা করাতে গিয়ে নিঃস্ব হয়ে গেছেন। এখন আবার হৃদ্যন্ত্রের সমস্যা ধরা পড়েছে।
বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচি (ডব্লিউএফপি) ‘বাংলাদেশে খাদ্যনিরাপত্তা ও বিপন্নতা পর্যবেক্ষণ’ শিরোনামে ২০২২ সালে কয়েকটি মাসভিত্তিক জরিপ চালিয়েছে। এতে উঠে এসেছে, ওই বছর মানুষের ওপর সবচেয়ে বড় আঘাত ছিল দ্রব্যমূল্য, রোগে আক্রান্ত হওয়া ও প্রাকৃতিক দুর্যোগ। ওদিকে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের অধীন স্বাস্থ্য অর্থনীতি ইউনিট ‘বাংলাদেশ ন্যাশনাল হেলথ অ্যাকাউন্টস ১৯৯৭–২০২০’ শীর্ষক এক প্রতিবেদনে গত জানুয়ারি মাসে জানায়, স্বাস্থ্য ব্যয়ে সরকারের অংশ ক্রমান্বয়ে কমছে। বাড়ছে ব্যক্তির পকেটের ব্যয়। ২০২০ সালে ব্যক্তির পকেট থেকে ব্যয় হয়েছে ৬৯ শতাংশ, যা ২০১৮ সালেও ৬৪ শতাংশ ছিল।
প্রতিবেদটি প্রকাশের অনুষ্ঠানে সরকারের ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মোহাম্মদ ইউসুফ বলেন, ক্যানসার, কিডনি রোগ বা পক্ষাঘাতের চিকিৎসা করাতে গিয়ে অনেকে শেষ সম্বল ভিটা বা জমি বিক্রি করেন। অনেকে দরিদ্র হয়ে যাচ্ছেন।
মুদিদোকানি ওই নারী বললেন, স্বামী অসুস্থ হয়ে পড়া ও দ্রব্যমূল্যের চাপে সামলাতে না পেরে তিনি দশম শ্রেণিপড়ুয়া মেয়ের পড়াশোনা বন্ধ করে দিয়েছেন। মেয়েটি তেজগাঁও বালিকা উচ্চবিদ্যালয়ে পড়ত।
ডিম বিক্রেতা মকবুল হোসেনের (৬৫) কাছে জানতে চাইলাম, বহু বছর ব্যবসা করে কত টাকা জমিয়েছেন। জানালেন, এক টাকাও জমা নেই। এত বছরে তাঁর আয় যেমন বেড়েছে, সঙ্গে ব্যয়ও। বাসাভাড়ার উদাহরণটি তিনি দিলেন। বললেন, ২০০০ সালের দিকে তাঁর বাসা ভাড়া ছিল ২ হাজার টাকা। এখন ১০ হাজার টাকা।
মকবুল হোসেনের ছয় সন্তান। চার মেয়ে, দুই ছেলে। তিন মেয়ের বিয়ে দিয়েছেন। দুই ছেলে বিয়ে করে আলাদা সংসার পেতেছে। মকবুল বললেন, গাড়িচালক পেশায় দুই ছেলে যা আয় করেন, তা দিয়ে নিজেদের সংসারই চলে না। মা–বাবাকে সহায়তা করবেন কীভাবে। তাই স্ত্রীকে নিয়ে তিনি ‘ফকিন্নি’ বাজারে দোকানদারি করেন। সরকারি চাকরি হলে অবশ্য পেনশন পেয়ে চলতে পারতেন।
এক্সপ্রেসওয়ে ও ‘ফকিন্নি’ বাজার
ফকিন্নি বাজারের ওপর দিয়ে বিজয় সরণি উড়ালসড়কটি যেমন তৈরি হয়েছে, তেমনটি ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের কাজও চলছে। এই দুটি যেমন দেশের অবকাঠামো উন্নয়নের সাক্ষ্য দিচ্ছে, তেমনি ‘ফকিন্নি’ বাজারটিও দারিদ্রসীমার নিচে ও একটু ওপরে থাকা মানুষের জীবনযাত্রার প্রতীক।
করোনাকালের আগের সরকারি হিসাব বলছে, দেশের ২১ শতাংশ মানুষ দারিদ্রসীমার নিচে বাস করে। করোনা ও অর্থনৈতিক সংকট শুরুর পরে সংখ্যাটি কত দাঁড়িয়েছে, তা সরকারি হিসাবে নেই।
মকবুল হোসেনের হোসেনের দোকানে ফেঁটে যাওয়া ডিমের এক নারী ক্রেতার কাছে জানতে চেয়েছিলাম, তিনি সরকারি কোনো সহায়তা পান কি না। ‘না’ সূচক জবাব দিয়ে তিনি মুখ ঢেকে দ্রুত চলে গেলেন। নামটি বললেন না।