দুর্গাপূজার কারণে এ মুহূর্তে চূড়ান্ত আন্দোলনে যাচ্ছে না বিরোধী দলগুলো। এই পূজা শেষ হলে চলতি মাসের শেষে সরকার পতনের চূড়ান্ত আন্দোলন শুরু হবে। আজ মঙ্গলবার বিকেলে রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবে এক আলোচনা সভায় গণতন্ত্র মঞ্চের নেতারা চলমান সরকারবিরোধী আন্দোলন নিয়ে এ বক্তব্য দিয়েছেন।
‘রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক বিপর্যয়ের মুখে বাংলাদেশ’ শিরোনামে ওই আলোচনা সভা হয়। সেখানে জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জেএসডি) সভাপতি আ স ম আবদুর রব বলেন, ক্ষমতাসীন দলের লোকেরা দেশের সম্পদ লুটপাট করে বিদেশে বাড়ি তৈরি করেছেন। পশ্চিমারা অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা দিলে দেশ চরম বিপর্যয়ের মুখে পড়বে।
বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার সঙ্গে ২২ বছর পর সাক্ষাতের অভিজ্ঞতা তুলে ধরে আ স ম আবদুর রব বলেন, ‘তাঁকে জীবিত মনে হয়নি। অর্ধমৃত মনে হয়েছে।’ প্রায় দুই মাস রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন খালেদা জিয়া। সম্প্রতি হাসপাতালে গিয়ে তাঁকে দেখে আসেন গণতন্ত্র মঞ্চের কয়েকজন নেতা।
খালেদা জিয়ার অবস্থা গুরুতর—এটা বিশ্বাস না করলে ক্ষমতাসীন দলের লোকদের হাসপাতালে গিয়ে খালেদা জিয়াকে দেখে আসার অনুরোধ জানান আ স ম আবদুর রব। তিনি বলেন, ‘এরপর যদি মনে হয় তাঁর উন্নত চিকিৎসা দরকার, আপনারা সেই ব্যবস্থা করেন।’
দুর্গাপূজার কারণে সরকার পতনের চূড়ান্ত আন্দোলন শুরু করতে সময় নেওয়া হচ্ছে বলে জানান নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না। আলোচনায় তিনি বলেন, ‘অনেকে অনুরোধ করেছেন, পূজা আছে। পূজাটা যাতে করতে দিই। পূজার কারণে সেই সময় পর্যন্ত সরকারকে দেব। এই সময়েও রাজনৈতিক কর্মসূচি চলতে থাকবে। সরকার যদি পদত্যাগ না করে, তাহলে অক্টোবরের শেষে উই উইল সি। এরপর চূড়ান্ত লড়াই শুরু হবে।’
সরকার নিজের গদি রক্ষার জন্য বাংলাদেশকে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক উভয় দিক দিয়ে বিপর্যয়ের দিকে নিয়ে যাচ্ছে বলে অভিযোগ করেন গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি। এ বক্তব্যের পক্ষে যুক্তি দিয়ে তিনি বলেন, দেশের ৭৫ ভাগ রপ্তানির বাজার পশ্চিমা দেশে। বাংলাদেশের বিরাট রপ্তানির বাজার হুমকির মধ্যে ফেলে সরকার তার গদি টিকিয়ে রাখতে চাইছে। জনগণকে সিদ্ধান্ত নিতে হবে, তারা এ বিপর্যয়ের মধ্যে থাকবে নাকি দেশকে রক্ষা করে জনগণের বাংলাদেশে পরিণত করবে।
আলোচনা সভায় আরও বক্তব্য দেন বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক, ভাসানী অনুসারী পরিষদের আহ্বায়ক শেখ রফিকুল ইসলাম, রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের সাংগঠনিক সমন্বয়ক ইমরান ইমন।