দুই আফগান স্পিনারের ধাঁধা মেলাতে পারলেই সম্ভব

0
177
আফগানিস্তানের 'ওয়ার্ন-মুরালি'

এক দিনের ক্রিকেট নিয়ে সাকিব আল হাসানকে সাধারণত ম্যাচের আগে তেমন কোনো মন্তব্য করতে দেখা যায় না। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বার্তা দেওয়া আরও দূরের বিষয়। বাঁহাতি এ অলরাউন্ডারই কিনা গতকাল নিজের অফিসিয়াল ফেসবুক পেজে লিখেছেন– সিরিজের শেষ ম্যাচে লড়াই ছাড়া হার মানবে না টাইগাররা! সরল বাংলায় লিখলে– টাইগাররা লড়াই করেই শেষ করবে সিরিজের শেষ ম্যাচ।

সাকিবদের লড়াই করতে হচ্ছে সব দিক থেকেই। তবে বেশি লড়তে হচ্ছে আফগান দুই স্পিনার রশিদ খান আর মুজিবুর রহমানকে মোকাবিলা করতে। বিশ্ব ক্রিকেটে যাদের তুলনা করা হচ্ছে শেন ওয়ার্ন আর মুত্তিয়া মুরালিধরনের সঙ্গে। সাবেক এ দুই কিংবদন্তি স্পিনার একা হাতেই ম্যাচ জেতাতে পারতেন। আফগান দুই স্পিনারও কোনো অংশে কম যান না। লেগ স্পিনার রশিদ কত ম্যাচেই তো জয়ের নায়ক। এবার তারা দু’জন একক নৈপুণ্য দেখাতে না পারলেও বোলিং ইউনিটের পাওয়ার হাউসের ভূমিকা পালন করছেন। মূলত আফগান বোলিং ইউনিটের কাছেই হেরে গেছে বাংলাদেশ।

বাংলাদেশের কোচরা যেভাবে রশিদ-মুজিবের বল খেলা অসম্ভব মনে করছেন, বাস্তবে তা নয়। পরিসংখ্যান দেখলে বিষয়টি কিছুটা পরিষ্কার হবে। বাংলাদেশের বিপক্ষে ১১ ম্যাচ খেলে ১৯ উইকেট রশিদ খানের। ৩৫ রান দিয়ে তিন উইকেট প্রাপ্তি ইনিংসসেরা বোলিং। উইকেট বেশি না পেলেও ইকোনমি প্রশংসনীয়, ৩.৬৬। সেদিক থেকে বলা যায়, রান দেওয়ায় কৃপণহস্ত আফগান এ লেগ স্পিনার।

অফ স্পিনার মুজিবুর রহমানও বাংলাদেশের বিপক্ষে এখন পর্যন্ত ইনিংসে পাঁচ উইকেট পাননি। ৩৯ রান খরচে তিন উইকেট প্রাপ্তি সেরা সাফল্য। ৮ ম্যাচ থেকে ১২ উইকেট শিকার তাঁর। ইকোনমি ৩.৬৯। সেদিক থেকে বলাই যায়, রশিদ, মুজিব বাংলাদেশ দলের জন্য এককভাবে হুমকি না। আফগানিস্তান ম্যাচ জিতে নিচ্ছে সমন্বিত পারফরম্যান্স দিয়ে। পেসার ফজলহক ফারুকি ভালো শুরু দিচ্ছেন প্রতি ম্যাচেই। বাকি কাজ সম্পন্ন করছেন তিন স্পিনার মিলে। অর্থাৎ রশিদ, মুজিবের সঙ্গে রয়েছেন মোহাম্মদ নবী। এই ত্রয়ী ধস নামাচ্ছেন বাংলাদেশের ব্যাটিংয়ে। সুতরাং সাকিবদের শেষ ম্যাচ জিততে হলে আফগান স্পিন ত্রয়ীকে সামলানোর কৌশল নিয়ে নামতে হবে আজ

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.