তুরস্কের অভিযানে সিরিয়ায়তে নিহত ২৬

0
137

তুরস্কের বিমানবাহিনীর অভিযানে সিরিয়ার উত্তরাঞ্চলে অন্তত ২৬ জন নিহত হয়েছেন বলে দাবি করেছে দেশটির প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়। বৃহস্পতিবারের ওই অভিযানে উত্তর সিরিয়ার একটি তেলের কূপ ও সংরক্ষণাগারও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের বিবৃতিতে অবশ্য সরাসরি ‘নিহত’ উল্লেখ না করে ‘নিষ্ক্রিয়’ শব্দটি ব্যবহার করা হয়েছে। গত ১ অক্টোবর, রোববার তুরস্কের রাজধানী আঙ্কারা দু’টি আত্মঘাতী বোমা হামলা হয়, এতে আহত হন দুই জন দুই জন পুলিশ কর্মকর্তা। তুরস্কের নিষিদ্ধ রাজনৈতিক দল কুর্দিস্তান ওয়ার্কার্স পার্টি (পিকেকে) এই হামলার দায় স্বীকার করেছে।

তুরস্কের আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও গোয়েন্দা সংস্থার তদন্তে জানা গেছে, রোববারের হামলাটি ঘটিয়েছে আসলে ওয়াইপিজি নামের একটি সশস্ত্র গোষ্ঠী। একসময় ওয়াইপিজি একটি পৃথক রাজনৈতিক গোষ্ঠী থাকলেও বর্তমানে এর একটি অংশ পিকেকের অঙ্গসংগঠনে পরিণত হয়েছে।

অপর অংশটি আবার যুক্তরাষ্ট্রের মদপুষ্ট সশস্ত্র গোষ্ঠী তুর্কি স্পেশাল ডেমেক্রেটিক ফোর্সের (তুর্কি এসডিএফ) অঙ্গসংগঠন। এসডিএফের প্রধান মিশন হলো সিরিয়ায় সক্রিয় আইএস জঙ্গিদের দমন করা।

পাশাপাশি যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপীয় ইউনিয়ন পিকেকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করলেও ওয়াপিজিকে নিষিদ্ধ করেনি। তবে তুরস্কে ওয়াইপিজি নিষিদ্ধ।

বৃহস্পতিবারের অভিযানে যারা নিহত হয়েছেন, তারা সবাই ওয়াইপিজির সদস্য ছিলেন বলে ধারণা করা হচ্ছে। কারণ সিরিয়ার উত্তরাঞ্চলের যে এলাকায় তুরস্ক অভিযান চালিয়েছে, সেটি ওয়াইপিজির অন্যতম ঘাঁটি এলাকা।

এদিকে বৃহস্পতিবারের এই অভিযানের পর তুরস্কের প্রতি নিন্দা জানিয়েছে সিরিয়ার এসডিএফ।

এই অভিযোগ অস্বীকার করে আঙ্কারা বলেছে, হামলার উদ্দেশে পাঠানো ড্রোনটি তুর্কি সেনাবাহিনীর নয়।

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.