পেট্রল পাম্প মালিকদের আজ রোববার থেকে জ্বালানি তেল উত্তোলন ও পরিবহন বন্ধ রাখার কথা থাকলেও ঢাকার পাম্প থেকে জ্বালানি তেল সরবরাহ স্বাভাবিক আছে। সকালে ঢাকায় একাধিক পেট্রল পাম্প ঘুরে এ চিত্র দেখা গেছে।পেট্রল পাম্প মালিকদের একাংশ এ ধর্মঘট ডাকলেও মূল অংশটি এতে সমর্থন দেয়নি।
তিন দফা দাবি আদায়ে আজ থেকে ধর্মঘট পালন করার কথা পেট্রলপাম্পের মালিকদের একাংশের। সরকারি সংস্থার কাছ থেকে জ্বালানি তেল (ডিজেল, পেট্রল, অকটেন) কিনে, তা বিভিন্ন ডিপো ও পেট্রলপাম্পে পরিবহন এবং গ্রাহকের কাছে বিক্রি করেন তাঁরা।
তবে গতকাল রাতেই মালিকদের দাবির একটি পূরণ করে প্রজ্ঞাপন প্রকাশ করেছে জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগ।তাদের কমিশন এজেন্ট হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে।
জ্বালানি তেল উত্তোলন ও পরিবহন বন্ধের ঘোষণা দিয়েছিল পেট্রলপাম্প ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন ও ট্যাংকলরি ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন। সংগঠনের মহাসচিব মিজানুর রহমান আজ সকালে বলেন, একটি দাবি পূরণ হলেও কমিশন বাড়ানোর মূল দাবি মানা হয়নি।সরকারের পক্ষ থেকে আলোচনার জন্যও ডাকা হয়নি।তাই কর্মসূচি চলমান থাকবে।পাম্প থেকে তেল সরবরাহ এখনো স্বাভাবিক।তবে তেল উত্তোলন বন্ধ থাকলে কাল থেকেই পাম্পে তেল সরবরাহ কমতে থাকবে বলেন তিনি। আগামীকাল অনেক পাম্প থেকে সরবরাহ বন্ধ হয়ে যেতে পারে বলে দাবি করেন তিনি ।
তবে পেট্রলপাম্পের মালিকদের একাংশের সংগঠন এটি। এর বাইরে বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম ডিলার্স, ডিস্ট্রিবিউশন, এজেন্টস অ্যান্ড পেট্রলপাম্প ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন নামে একটি সংগঠন আছে। এটি পেট্রলপাম্পের মালিকদের পুরোনো ও বড় সংগঠন হিসেবে পরিচিত। আজ দুপুরে তাদের একটি সংবাদ সম্মেলন করার কথা রয়েছে।
জ্বালানি তেল পরিবহনে বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম ট্যাংকার ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন নামেও একটি সংগঠন আছে। দাবি আদায়ে এই দুই সংগঠনের কোনো কর্মসূচি নেই। সরকারের সঙ্গে এক বৈঠকে আগামী ৩০ সেপ্টেম্বরের মধ্যে তাদের দাবি মানার বিষয়ে আশ্বাস দেওয়া হয়েছে। তাই জ্বালানি উত্তোলন স্বাভাবিক রাখার আহ্বান জানিয়েছে তারা।
যেসব দাবিতে ধর্মঘট
বর্তমানে প্রতি লিটার জ্বালানি তেল বিক্রি করে ২০ পয়সা কমিশন পায় পেট্রলপাম্প। এটি বাড়িয়ে বিক্রয়মূল্যের সাড়ে ৭ শতাংশ করার দাবি তাদের। বাকি দাবির মধ্যে আছে পেট্রলপাম্পের ব্যবসায়ীরা কমিশন এজেন্ট ও ট্যাংকলরি ভাড়ার ওপর ভ্যাট সংযুক্ত নয়; এটি আলাদা প্রজ্ঞাপন আকারে প্রকাশ। ২৫ বছরের বেশি বয়সী ট্যাংকলরির ইকোনমিক লাইফের জন্য পৃথকভাবে প্রজ্ঞাপন প্রকাশ।
সরকার অনুমোদিত পরিবেশকদের নিয়মিত জ্বালানি তেল সরবরাহ করে বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম করপোরেশনের (বিপিসি) অধীন থাকা তিন রাষ্ট্রায়ত্ত কোম্পানি পদ্মা, মেঘনা ও যমুনা। এ জ্বালানি তেল কিনে নিয়ে পরিবেশকেরা নিজস্ব পেট্রলপাম্প থেকে ডিজেল, পেট্রল ও অকটেন বিক্রি করে গ্রাহকের কাছে।