দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় ( শুক্রবার সকাল ৮টা পর্যন্ত) ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে ৯৫৬ জন রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। তাদের নিয়ে এ বছর মোট ভর্তি রোগীর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২ লাখ ৯৯ হাজার ৫০ জন। এর আগে ২০১৯ সালে সর্বাধিক ১ লাখ ১ হাজার ৩৫৪ জন রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন। চলতি বছর আগস্টে ডেঙ্গুর ইতিহাসের আগের সব রেকর্ড ভেঙেছে।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্য বলছে, গত ২৪ ঘণ্টায় সারাদেশে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ১১ জন। এ নিয়ে চলতি বছর ডেঙ্গুতে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১ হাজার ৫৩৯। অন্যদিকে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি হাসপাতালে বর্তমানে চিকিৎসাধীন মোট ৫ হাজার ২৪৫ জন।
শুক্রবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ থেকে পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
এতে বলা হয়েছে, শুক্রবার সকাল ৮টা পর্যন্ত সারাদেশে হাসপাতালে ভর্তি হওয়া ডেঙ্গু রোগীদের মধ্যে ঢাকার বাসিন্দা ২০৬ ও ঢাকার বাইরের ৭৫০ জন। অন্যদিকে গত ২৪ ঘণ্টায় মারা যাওয়া ১১ জনের মধ্যে ঢাকার বাসিন্দা ৮ জন আর ঢাকার বাইরের ৩ জন।
চলতি বছরের ১ জানুয়ারি থেকে ১৭ নভেম্বর পর্যন্ত সারাদেশে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়েছেন মোট ২ লাখ ৯৯ হাজার ৫০ জন। তাদের মধ্যে ঢাকার বাসিন্দা ১ লাখ ৫ হাজার ৮৪ জন। আর ঢাকার বাইরের ১ লাখ ৯৩ হাজার ৯৬৬ জন।
গত ১ জানুয়ারি থেকে ১৭ নভেম্বর পর্যন্ত ডেঙ্গু আক্রান্তদের মধ্যে হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র পেয়েছেন ২ লাখ ৯২ হাজার ২৬৬ জন। তাদের মধ্যে ঢাকার বাসিন্দা ১ লাখ ২ হাজার ৮৪১ জন এবং ঢাকার বাইরের ১ লাখ ৮৯ হাজার ৪২৫ জন।
এ বছর ডেঙ্গুর প্রকোপ বেড়েছে জুন মাসে। ওই মাসে ৫ হাজার ৯৫৬ জন ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন, জুলাই মাসে তা বেড়ে দাঁড়ায় ৪৩ হাজার ৮৫৪ জনে। আর অগাস্টে ছিল আক্রান্ত ছিল ৭১ হাজার ৯৭৬ জন। সেপ্টেম্বরে ৭৯ হাজার ৫৯৮ জন। অক্টোবরে কিছু কমে ৬৭ হাজার ৭৬৯ জনে দাঁড়ায়। ১৭ নভেম্বর পর্যন্ত ২৭ হাজার ৮৭৫ জন শনাক্ত হয়েছে।
এ বছর এডিস মশা শনাক্তে চালানো জরিপে ঢাকায় মশার যে উপস্থিতি দেখা যায়, তাকে ঝুঁকিপূর্ণ বলছেন বিশেষজ্ঞরা। এ অবস্থায় সামনে ডেঙ্গুর প্রকোপ আরও বাড়ার আশঙ্কা করেছেন তারা। ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে এ বছর যাদের মৃত্যু হয়েছে, তাদের প্রায় সবাই ডেঙ্গু হেমোরেজিক ফিভারে ভুগছিলেন এবং শক সিনড্রোমে মারা গেছেন। এডিস মশাবাহিত এই রোগে আক্রান্ত হয়ে গত বছর ৬২ হাজার ৩৮২ জন রোগী হাসপাতালে ভর্তি হন।