ঢেঁড়স গরমের সবজি হিসেবে পরিচিত হলেও আজকাল সারা বছরই পাওয়া যায়। ঢেঁড়স পুষ্টিগুণে সমৃদ্ধ একটি সবজি। এতে অল্প পরিমাণে ক্যালরি, কার্বোহাইড্রেট থাকে। এতে বিদ্যমান প্রোটিন ও ফাইবার শরীরের জন্য দারুণ উপকারী। এছাড়াও এতে ভিটামিন সি, ই, কে , ক্যালসিয়াম এবং বিভিন্ন খনিজ রয়েছে।
বিশেষজ্ঞদের মতে, সস্তার সবজি হিসেবে পরিচিত ঢেঁড়স বহু রোগ নিরাময়ে কাজ করে। নিয়মিত এই সবজি খেলে নানা উপকারিতা পাওয়া যায়।
স্বাস্থ্যবিষয়ক ওয়েবসাইট মেডিকেল নিউজ টুডের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ক্যানসার প্রতিরোধের ক্ষেত্রে ভীষণ কার্যকরী ঢেঁড়স। ২০১৪ সালের একটি গবেষণায় দেখা গেছে, ঢেঁড়সে থাকা লেকনিন নামক উপাদান ক্যানসার কোষ ধ্বংস করতে পারে।
গর্ভাবস্থায় নারীর শরীর নানা ধরনের প্রতিকূলতার মধ্য দিয়ে যায়। এই সময়ে দেহে ফোলেটের চাহিদা বাড়ে। নিয়মিত ঢেঁড়স খেলে সেই চাহিদা পূরণ হয়।
ঢেঁড়সে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার থাকায় এটি হজমের জন্য দারুণ উপকারী।
বিভিন্ন গবেষণায় দেখা গেছে, ঢেঁড়সে কিছু অ্যান্টিডায়াবেটিক উপাদান রয়েছে। এ কারণে ঢেঁড়স খেলে রক্তে শর্করার পরিমাণ সহজে বাড়ে না। এ কারণে এই সবজি ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য উপকারী।
রক্তে জমাট বাঁধার অন্যতম কারণ ভিটামিন কের স্বল্পতা। ঢেঁড়স ভিটামিন কের অভাব পূরণ করতে সাহায্য করে। সেই সঙ্গে হাড়ের শক্তি বৃদ্ধি করে।
আমেরিকান হার্ট অ্যাসোসিয়েশনের মতে, ফাইবারযুক্ত খাবার খেলে কোলেস্টেরলের মাত্রা কমে। আর কোলেস্টেরল কমলেই হৃদরোগ, স্ট্রোকের ঝুঁকি কমে। ঢেঁড়সে পর্যাপ্ত পরিমাণে ফাইবার থাকায় ওজন এবং কোলেস্টেরল কমাতে ভূমিকা রাখে। এমনকী নিয়মিত ঢেঁড়স খেলে পেটের স্বাস্থ্যেরও উন্নতি হয়।
ফাইবারসমৃদ্ধ ঢেঁড়স কোষ্টকাঠিন্য দূর করতে সাহায্য করে।