জিল্লুর রহমানের সিজিএসের তিন কর্মকর্তাকে সিআইডির জিজ্ঞাসাবাদ

0
128
‘তৃতীয় মাত্রা’র উপস্থাপক ও পরিচালক জিল্লুর রহমান, ছবি: সংগৃহীত

টক শো ‘তৃতীয় মাত্রা’র উপস্থাপক জিল্লুর রহমানের ব্যাংক হিসাব তলবের পর এবার তাঁর প্রতিষ্ঠান সেন্টার ফর গভর্ন্যান্স স্টাডিজের (সিজিএস) সাবেক ও বর্তমান তিন কর্মকর্তাকে ডেকে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)। আজ সোমবার সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত পৃথকভাবে তাঁদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়।

তিনজনের মধ্যে সিজিএসের সাবেক একজন কর্মকর্তা রয়েছেন। তাঁর নাম এমিল মাইকেল বটলেরু। অপর দুজন হলেন জুলিয়ান অংকন রোজারিও ও হিমাংশু শেখর কুণ্ডু।

জিল্লুর রহমান গবেষণা প্রতিষ্ঠান সিজিএসের নির্বাহী পরিচালক। তিনি আজ বলেন, ‘আমার সহকর্মীদের সিআইডি কার্যালয়ে ডেকে নিয়ে সিজিএসের আর্থিক বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। তাঁদের কাছে জানতে চাওয়া হয়েছে বিদেশ থেকে অর্থসহায়তা আসে কি না, টাকা কীভাবে খরচ হয়। আমার পারিবারিক নানা বিষয়েও তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়।’

জিজ্ঞাসাবাদের বিষয়ে জানতে সিআইডির মুখপাত্র অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আজাদ রহমানের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি  বলেন, বিষয়টি তাঁর জানা নেই।

এর আগে ৯ আগস্ট জিল্লুর রহমানের ব্যাংক হিসাবের তথ্য তলব করে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের আর্থিক গোয়েন্দা বিভাগ বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট (বিএফআইইউ)। এ বিষয়ে সব ব্যাংক, আর্থিক প্রতিষ্ঠানসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের কাছে পাঠানো চিঠিতে সিজিএসের ব্যাংক হিসাবের তথ্যও চাওয়া হয়।

তার আগে গত বছরের ডিসেম্বরে জিল্লুর রহমানের শরীয়তপুর জেলার গ্রামের বাড়িতে তথ্য সংগ্রহে গিয়েছিল পুলিশ। গত বছরের ২২ ডিসেম্বর রাতে জিল্লুর রহমান এক ফেসবুক পোস্টে লিখেছিলেন, পুলিশ তথ্য সংগ্রহের জন্য শরীয়তপুরে তাঁর পৈতৃক বাড়িতে গেছে। এটা জেনে তিনি বিস্মিত হয়েছেন। তিনি ঢাকায় থাকেন, তাঁর একটি অফিসও রয়েছে। কোনো তথ্য দরকার হলে পুলিশ সদস্যরা সরাসরি তাঁর কাছে যেতে পারতেন বা তাঁকে টেলিফোন করতে পারতেন। তারপরও তাঁরা তাঁর পৈতৃক বাড়িতে গেছেন। জিল্লুর মনে করেন, তাঁকে, তাঁর পরিবার ও প্রতিবেশীদের ভয় দেখানোর জন্য এটা করা হয়েছে। উপস্থাপক হিসেবে তাঁর ভূমিকা এবং সেন্টার ফর গভর্ন্যান্স স্টাডিজের (সিজিএস) কর্মকাণ্ডে প্রতিবন্ধকতা তৈরির উদ্দেশ্যে পুলিশ এটা করেছে।

নতুন করে সিজিএসের কর্মকর্তাদের ডেকে নিয়ে সিআইডির জিজ্ঞাসাবাদের বিষয়ে জিল্লুর রহমান বলেন, ‘যেকোনো তদন্তে আমার সমস্যা নেই। কিন্তু কোনো গল্প যেন সাজানো না হয়।’

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.