টাকা নিয়ে গান না গাওয়ার অভিযোগে দায়ের হওয়া প্রতারণা মামলায় জামিন পেয়েছেন সংগীতশিল্পী মাইনুল আহসান নোবেল। ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) আদালতের ম্যাজিস্ট্রেট শফি উদ্দিন আজ সোমবার এ আদেশ দেন। ঢাকা মহানগর পুলিশের অপরাধ ও তথ্য বিভাগের সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) অলিউল্লাহ প্রথম আলোকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
এক দিন রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ শেষে নোবেলকে আজ সকালে ঢাকার সিএমএম আদালতে হাজির করে পুলিশ। নোবেলের পক্ষে তাঁর আইনজীবী জামিন চেয়ে আবেদন করেন। মামলার বাদী আদালতে হাজির হয়ে বলেন, নোবেল জামিন পেলে তাঁর আপত্তি নেই। তিনি আসামিপক্ষের থেকে এক লাখ টাকা বুঝে পেয়েছেন। উভয় পক্ষের শুনানি নিয়ে আদালত এক হাজার টাকা মুচলেকায় নোবেলের জামিন মঞ্জুর করেন।
সাফায়েত ইসলাম নামের এক ব্যক্তি গত মঙ্গলবার রাজধানীর মতিঝিল থানায় নোবেলের বিরুদ্ধে এ মামলা করেন। তাতে নোবেলের বিরুদ্ধে প্রতারণার মাধ্যমে ১ লাখ ৭২ হাজার টাকা আত্মসাতের অভিযোগ আনা হয়। ওই মামলায় গত শনিবার নোবেলকে গ্রেপ্তার করে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) গোয়েন্দা বিভাগ (ডিবি)।
সেদিনই তাঁকে আদালতে হাজির করে তিন দিন রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের আবেদন করা হয়। শুনানি নিয়ে আদালত তাঁর এক দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
মামলায় সাফায়েত ইসলাম অভিযোগ করেন, তিনি শরীয়তপুরের ভেদরগঞ্জ হেডকোয়ার্টার পাইলট উচ্চবিদ্যালয়ের প্রাক্তন ছাত্র। ২০১৬ সালে যাঁরা ওই প্রতিষ্ঠানের এসএসসি পরীক্ষার্থী ছিলেন, তাঁরা পুনর্মিলনী উপলক্ষে একটি সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করেন। পরে শিল্পী হিসেবে নোবেলের সঙ্গে তিনি মুঠোফোনে যোগাযোগ করেন। গত ২৫ মার্চ রাজধানীর মতিঝিলের হীরাঝিল রেস্তোরাঁর দ্বিতীয় তলায় নোবেলের সঙ্গে তিনি ও তাঁর এক বন্ধু বৈঠক করেন। সেখানে তাঁদের কলেজের অনুষ্ঠানে গান গাওয়ার জন্য নোবেলকে ১ লাখ ৭৫ হাজার টাকা দেওয়ার চুক্তি হয়।
সেদিনই নোবেলকে ১৫ হাজার টাকা দেওয়া হয়। তখন এই শিল্পী বলেন, অনুষ্ঠানের আগেই সব টাকা পরিশোধ করতে হবে। এরপর দুই দফায় তাঁর ব্যাংক হিসাবে ১ লাখ ৭২ হাজার টাকা দেওয়া হয়। নোবেল সেই টাকা তুলেও নেন। কিন্তু ২৮ এপ্রিল তিনি অনুষ্ঠানে আসেননি।