ময়মনসিংহ নগরীতে মিছিলে লোক নেওয়াকে কেন্দ্র করে ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে। পূর্বের বিরোধ মেটাতে চলা সালিশে দুই পক্ষের সংঘর্ষে দু’জন গুলিবিদ্ধসহ অন্তত ১৫ জন আহত হয়েছেন। গুলিবিদ্ধ দু’জনকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এলাকায় পুলিশ মোতায়েন হয়েছে।
স্থানীয়রা জানান, নগরীর ১৩ নম্বর ওয়ার্ডের ধোপাখলা বাঁশবাড়ি কলোনি এলাকায় শুক্রবার রাতে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। ছাত্রলীগের এক নেতার কর্মসূচিতে লোক নেওয়াকে কেন্দ্র করে ওয়ার্ড ছাত্রলীগ আহ্বায়ক শ্রাবণ ও ছাত্রলীগ কর্মী সাদমান গ্রুপের কর্মীদের মধ্যে দ্বন্দ্ব তৈরি হয়। দ্বন্দ্বের জেরে বৃহস্পতিবার বিকেলে দুই গ্রুপের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ায় কয়েকজন আহত হন। বিষয়টি মীমাংসার জন্য শুক্রবার রাতে বাঁশবাড়ি কলোনি বাজারে সালিশের আয়োজেন করেন স্থানীয় ওয়ার্ড কাউন্সিলর মো. দেলোয়ার হোসেন। সালিশ চলাকালে পেছনের দিকে দুই গ্রুপের কর্মীরা রাত ৯টার দিকে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। দেশীয় অস্ত্রের পাশাপাশি গুলি বিনিময় ও ককটেল বিস্ফোরণের শব্দ পান স্থানীয় লোকজন। সংঘর্ষে দুই পক্ষে অন্তত ১৫ জন আহত হন। গুরুতর আহত বাঁশবাড়ি কলোনি এলাকার আব্দুস সালামের ছেলে জয় (২০) ও আদিল মিয়ার ছেলে আসফুনকে (২১) উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেলে পাঠানো হয়েছে। খবর পেয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এলাকায় পুলিশ মোতায়েন করা হয়।
স্থানীয় কাউন্সিলর দেলোয়ার হোসেন বলেন, মহানগর ছাত্রলীগ নেতা অনির কর্মসূচিতে লোক নেওয়াকে কেন্দ্র করে বিরোধ তৈরি হয়। বৃহস্পতিবার মারামারি হলে শুক্রবার বিষয়টি মিমাংসার জন্য বসেন। কিন্তু পেছনের দিকে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়লে সালিশ ভেঙে দেওয়া হয়। দেশীয় অস্ত্রের পাশপাশি গুলি বিনিময় হয়। দু’জন গুলিবিদ্ধ হয়েছে।
কোতোয়ালি মডেল থানার ওসি মোহাম্মদ শাহ কামাল আকন্দ বলেন, ছোট ভাই, বড় ভাই দ্বন্দ্বে সংঘর্ষ হয়। দু’জনকে গুরুতর অবস্থায় ঢাকা পাঠানো হয়েছে। এলাকায় পুলিশ মোতায়েন আছে। মামলার প্রস্তুতি চলছে।