আধিপত্য বিস্তার নিয়ে পাবনা শহরে ছাত্রলীগের দুই পক্ষের মধ্যে ব্যাপক গোলাগুলির ঘটনা ঘটেছে। এতে অন্তত ৮ জন গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। তাদের হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। শনিবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে পাবনা বাস টার্মিনালের মাসুম বাজারের সামনে এ ঘটনা ঘটে। তাৎক্ষণিকভাবে আহতদের নাম জানা যায়নি।
প্রত্যক্ষদর্শী ও পুলিশ জানায়, সম্প্রতি পাবনা মহিলা কলেজের সামনে জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সহ-সভাপতি মেহেদী হাসান এবং পৌর ছাত্রলীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক ইফতে আরাফাত সিফাত গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। সেই ঘটনা নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা ছিল। পাশাপাশি অফিস হওয়ায় রাত ১০টার দিকে মেহেদী গ্রুপের লোকজন সিফাতের অফিসের সামনে দিয়ে যাওয়ার সময় দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ শুরু হয়। এতে ৮ জন গুলিবিদ্ধ হয়। বেশ কয়েকজন আহত হয়েছে। তাদের উদ্ধার করে পাবনা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। আহতদের মধ্যে বেশির ভাগই মেহেদী গ্রুপের লোকজন।
মেহেদী হাসান জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি মিজানুর রহমান সবুজের এবং ইফতে আরাফাত সিফাত জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মীর রাফিউল ইসলাম সীমান্তের অনুসারী হিসেবে পরিচিত।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন পাবনা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কৃপা সিন্ধু বালা। তিনি জানান, মেহেদী হাসান লোকজন নিয়ে পার্টি অফিসে যাওয়ার সময় সিফাত গ্রুপের লোকজন গুলি করে। এতে ৮ জন গুলিবিদ্ধ হয়েছে। সেখানে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। এখন পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে।
এ ব্যাপারে জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি মিজানুর রহমান সবুজ বলেন, ‘সিফাতের লোকজন মেহেদীর লোকজনের ওপর হামলা করেছে। তাদের মধ্যে আগে থেকেই ঝামেলা চলছিল। আমরা বারবার গিয়ে সমাধান করলেও কয়েক দিন পর আবারও তারা ঝামেলায় জড়ায়।’
তবে আগে হামলার বিষয়টি অস্বীকার করেছেন পাবনা পৌর ছাত্রলীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক ইফতে আরাফাত সিফাত। তিনি বলেন, ‘আমি আমার অফিসের সামনে দাঁড়িয়ে মোবাইলে কথা বলছিলাম। এ সময় হঠাৎ ২০-৩০ জনকে নিয়ে মেহেদী আমার ওপর হামলা ও গুলি করে। এতে আমি কোনো মতে প্রাণে রক্ষা পেয়েছি।’