ছাত্রদল-যুবদলের নেতাদের সঙ্গে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সহসভাপতি ইব্রাহিম হোসেনের একটি পুরোনো ছবি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। এ নিয়ে আলোচনা-সমালোচনা চলছে। ইব্রাহিমকে ‘অনুপ্রবেশকারী’ বলছেন নিজ সংগঠনের নেতা-কর্মীরা।
ইব্রাহিম দাবি করেছেন, ছবিটি তাঁর কলেজজীবনের শুরুর দিকের হতে পারে। তিনি জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের কাছের একটি কলেজে পড়েছেন। তিনি অনুপ্রবেশকারী নন। শাখা ছাত্রলীগের শীর্ষ পদপ্রত্যাশী হওয়ায় তাঁর বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র হচ্ছে।
ছড়িয়ে পড়া ছবিতে ইব্রাহিমের সঙ্গে যাঁদের দেখা যায়, তাঁরা সবাই ছাত্রদল-যুবদলের বিভিন্ন পর্যায়ের শীর্ষ পদে ছিলেন। ছবিটি সামনে আসার পর জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা ক্ষোভ প্রকাশ করছেন।
শাখা ছাত্রলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মীর মুকিত প্রথম আলোকে বলেন, ‘রাজনৈতিক আদর্শ গোপন করে ইব্রাহিম ছাত্রলীগে পদ নেওয়ায় আমরা বিব্রত। অনেকে বছরের পর বছর ছাত্রলীগে সক্রিয় থেকেও পদ পান না। সেখানে বিতর্কিত কেউ পদ পেলে খারাপ লাগে।’
ইব্রাহিমের ঘটনা নিয়ে আলোচনা-সমালোচনার প্রেক্ষাপটে শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক আক্তার হোসাইন বলেন, ‘আমাদের সংগঠনে অনুপ্রবেশকারীদের কোনো স্থান নেই।’
ইব্রাহিমের ভাষ্য, ছাত্রদলের সঙ্গে তিনি কখনোই সম্পৃক্ত ছিলেন না। বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হওয়ার পর থেকে তিনি ছাত্রলীগের রাজনীতি করে আসছেন। তিনি এখন শাখা ছাত্রলীগের শীর্ষ পদপ্রত্যাশী। এ কারণে তাঁর প্রতিপক্ষ ষড়যন্ত্র করে বিষয়টি সামনে এনেছে। তা ছাড়া সম্প্রতি কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি ক্যাম্পাসে পালন করেন তিনি। এতে শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি-সাধারণ সম্পাদক তাঁর ওপর মনঃক্ষুণ্ন হয়েছেন।
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রদলের সভাপতি আসাদুজ্জামান বলেন, ‘ছাত্রলীগের এই সহসভাপতিকে (ইব্রাহিম) আমি ব্যক্তিগতভাবে চিনি না। আমাদের সংগঠনের অন্য কারও সঙ্গে তাঁর সখ্য আছে কি না, তা জানি না।’
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি ইব্রাহিম ফরাজি বলেন, ‘বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি নিয়ে আমাদের মনঃক্ষুণ্ন হওয়ার যে কথা বলা হচ্ছে, তা ভিত্তিহীন। ইব্রাহিমের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ তদন্তের মাধ্যমে ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য আমরা কেন্দ্রের সঙ্গে কথা বলব।’