রুতুরাজ গায়কোয়াড়, শিবাম দুবে বা মঈন আলী—পারলেন না কেউই। জয়পুরে রাজস্থান রয়্যালসের রেকর্ড ২০২ রানের অনেক আগেই থামল মহেন্দ্র সিং ধোনির চেন্নাই সুপার কিংস।
যশস্বী জয়সোয়ালের ঝোড়ো ফিফটির পর রবিচন্দ্রন অশ্বিন ও অ্যাডাম জাম্পার দুর্দান্ত বোলিংয়ে টানা দুই ম্যাচ হারের পর জয়ের দেখা পেল রাজস্থান। ৩২ রানের জয়ে চেন্নাই ও গুজরাট টাইটানস–দুই দলকেই টপকে পয়েন্ট তালিকার শীর্ষে উঠল সঞ্জু স্যামসনের দল।
আট ম্যাচে চেন্নাই ও রাজস্থান দুই দলই জিতেছে সমান পাঁচ ম্যাচ, তবে রান রেটে এগিয়ে রাজস্থান। এ হারের পর এক থেকে চেন্নাই নেমে গেছে তিন নম্বরে, গুজরাট আছে দুইয়ে।
২০৩ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে শুরু থেকেই রাজস্থান বোলারদের চাপের মুখে পড়েন চেন্নাইয়ের ব্যাটসম্যানরা। পাওয়ারপ্লের প্রথম ৬ ওভারে ওঠে মাত্র ৪২ রান। চেন্নাই ওপেনার ডেভন কনওয়ে এদিন তাঁর ইনিংসের কোনো কুলকিনারাই খুঁজে পাননি। করেছেন ১৬ বলে মাত্র ৮ রান। যদিও একদিকে সাবলীল ব্যাটিংটা চালিয়ে যাচ্ছিলেন গায়কোয়াড়। এই ওপেনার করেন ২৯ বলে ৪৭ রান।
চেন্নাইয়ের দুই ওপেনারকেই ফেরান ট্রেন্ট বোল্টের বদলে দলে আসা লেগ স্পিনার জাম্পা। দুর্দান্ত ছন্দে থাকা অজিঙ্কা রাহানেও এদিন ইনিংসটা বড় করতে পারেননি। করেছেন ১৩ বলে ১৫ রান। রাহানের পর ইমপ্যাক্ট বদলি আম্বাতি রাইডু ফেরেন অশ্বিনের একই ওভারে।
মঈন ও দুবের ২৫ বলে ৫১ রানের জুটিতে কিছুটা আশা হয়তো পেয়েছিল চেন্নাই, তবে শেষ পর্যন্ত সেটি ব্যবধানই কমাতে পেরেছে শুধু। ১৫তম ওভারে ব্যক্তিগত ২৩ রানে জাম্পার বলে মঈন আউট হলে ম্যাচ পরিণত হয় আনুষ্ঠানিকতায়। এই নিয়ে সর্বশেষ সাতবারের দেখায় ছয়বারই চেন্নাইকে হারাল রাজস্থান। অশ্বিন ও জাম্পার মিলে নেন ৫ উইকেট।
কমপক্ষে ২০টি আইপিএল ম্যাচ হয়েছে, এমন মাঠগুলোর মধ্যে শুধু এটিতেই এর আগে কখনো ২০০ রানের স্কোর দেখা যায়নি। টসে জিতে ব্যাটিংয়ে নেমেছিল রাজস্থান, জয়সোয়াল ও জস বাটলারের ওপেনিং জুটি যেন নেমেছিলেন সে রেকর্ডটা ভাঙতেই। পাওয়ার প্লেতেই রাজস্থান তোলে ৬৪ রান।
যদিও সে পর্যায়ে ২১ বলে ৪০ রান করা জয়সোয়ালের সহকারির ভূমিকায় ছিলেন ১৫ বলে ২৩ রান করা বাটলার। ফিফটি করতে জয়সোয়ালের লাগে মাত্র ২৬ বল, ৮ ওভারে রাজস্থানের স্কোর ছিল ৮৫ রান। তাদের প্রথম ছন্দপতন হয় বাটলারের আউটে। নবম ওভারে রবীন্দ্র জাদেজাকে তুলে মারতে গিয়ে লং অনে ধরা পড়েন ২১ বলে ২৭ রান করে।
স্যামসন ও শিমরন হেটমায়ার—মাঝে দুজন করতে পারেন ২৭ বলে ২৫ রান। ১৪তম ওভারে ৪৩ বলে ৭৭ রান করা জয়সোয়ালও ফিরলে রাজস্থানের ২০০ রানের স্কোর মনে হচ্ছিল বেশ দূরের পথ। সেটিই তারা পেয়ে যায় ধ্রুব জুড়েল ও দেবদূত পাডিক্কালের শেষের ঝড়ে। শেষ ওভারে রানআউট হওয়া জুড়েল ১৫ বলে করেন ৩৪ রান, শেষ পর্যন্ত অপরাজিত ছিলেন ১৩ বলে ২৭ রানের ক্যামিও খেলা পাডিক্কাল। শেষ ৩ ওভারে রাজস্থান যোগ করে ৪৯ রান।