খালেদা জিয়ার বিদেশে চিকিৎসার আবেদনে আইন মন্ত্রণালয়ের ‘না’

0
123
খালেদা জিয়া

বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার বিদেশে চিকিৎসার আবেদন বিবেচনার সুযোগ নেই বলে জানিয়ে দিয়েছে আইন মন্ত্রণালয়। বিদেশে যেতে হলে জেলে গিয়ে আদালতে আবেদন করতে হবে বলে মত দিয়েছে মন্ত্রণালয়।

আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, ‘বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশে যেতে তাঁর পরিবারের পক্ষ থেকে নতুন করে আবেদন বিবেচনার কোনো সুযোগ নেই। আমরা এই মতামত দিয়ে আবেদনটি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে ফেরত পাঠিয়ে দিয়েছি।’ আজ রোববার দুপুরে সচিবালয়ে তার কার্যালয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন আইনমন্ত্রী।

আনিসুল হক বলেন, ‘স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে যে আবেদন এসেছে তাতে খালেদা জিয়ার স্থায়ী জামিন ও চিকিৎসার জন্য বিদেশে নেওয়ার অনুমতি চাওয়া হয়েছে। এর আগে ফৌজদারি কার্যবিধির ৪০১-এর উপধারা অনুযায়ী দুটি শর্তে তাঁকে বাসায় থেকে চিকিৎসা নেওয়ার অনুমতি দেওয়া হয়। কাজেই আমরা নতুন করে আরেকটি আবেদন গ্রহণ করতে পারি না। আমাদের এই সুযোগ নেই। তাছাড়া ফৌজদারী কার্যবিধির ৪০১ ধারা আদালতে চ্যালেঞ্জ করার কোনো নজির উপমহাদেশে নেই। তাই আমরা ফৌজদারি কার্যবিধির ৪০১ ধারার আদেশ বাতিল করব না, এটা করা হলে তা হবে অমানবিক।’

বিদেশে যেতে হলে জেলে গিয়ে আদালতে আবেদন করতে হবে বলে মত দিয়েছে আইন মন্ত্রণালয়।

এর আগে গত ২৫ সেপ্টেম্বর খালেদা জিয়ার স্থায়ী মুক্তি ও বিদেশে চিকিৎসার সুযোগ চেয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে আবেদন করেন ছোট ভাই শামীম এস্কান্দার। ওই আবেদন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে পরে আইন মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়।

২০১৮ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে দুর্নীতি দমন কমিশনের দায়ের করা জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় সাজা হলে কারাগারে যেতে হয় সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়াকে। পরে জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায়ও তাঁর সাজার রায় আসে।

দেশে করোনাভাইরাস মহামারি শুরুর পর খালেদা জিয়ার পরিবারের আবেদনে ২০২০ সালের ২৫ মার্চ তাকে নির্বাহী আদেশে সাময়িক মুক্তি দেয় সরকার। শর্ত দেওয়া হয়, তাঁকে দেশেই থাকতে হবে।

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.