আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক, সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, ‘খালেদা জিয়ার বিষয়টি অভ্যন্তরীণ। এই অভ্যন্তরীণ ব্যাপারে বাইরের হস্তক্ষেপ যুক্তিসঙ্গত নয়। তার স্বাস্থ্যের চেয়ে তাকে নিয়ে রাজনীতি করাটাই মুখ্য। রাজনৈতিকভাবে এমন কোনো চাপ সৃষ্টি করতে পারেনি যে তাকে মুক্তি দিতে হবে। তার মুক্তির বিষয়টি আইনমন্ত্রী বলতে পারবেন।’
বুধবার দুপুরে বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে বাংলাদেশ সড়ক নিরাপত্তা প্রকল্প (বিআরএসপি) উদ্বোধনী অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।
ওবায়দুল কাদের বলেন, আওয়ামী লীগ হিউম্যান রাইটস ওয়াচের প্রেসক্রিপশনে চলে না। কোনো চাপের কাছে নতি স্বীকার করে না, করবেও না। বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে, যাবে।
প্রত্যেককে নিজের চেহারা আয়নায় দেখার পরামর্শ দিয়ে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, যুক্তরাষ্ট্রে গণতন্ত্রের নামে যা হয়েছে তা আমরা দেখেছি। ট্রাম্প আজ পর্যন্ত পরাজয় স্বীকার করেননি। গণতন্ত্রের ত্রুটি আছে, প্রাতিষ্ঠানিক রূপ খুঁজে পাওয়া দুষ্কর। আমাদের গণতন্ত্রও ত্রুটিমুক্ত নয়।
সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী বলেন, বিএনপির আমলে আজিজ মার্কা নির্বাচন কমিশন আমরা দেখেছি। এগুলো দেশের মানুষের মনে আছে।
তিনি বলেন, গাজীপুর ও বরিশাল খুলনা সিটি নির্বাচন হয়েছে। এ ধরনের নির্বাচন হলে কি কারও সন্তুষ্ট হওয়ার কথা। জনপ্রিয়তা প্রমাণে নির্বাচনে আসতে হবে।
ওবায়দুল কাদের বলেন, খালেদা জিয়ার জেল ও তত্ত্বাবধায়ক সরকার- এ দুটো আওয়ামী লীগ করেনি। বেগম জিয়াকে মুক্ত করতে তারা একটি ভালো আন্দোলনও করতে পারেনি। এই ব্যর্থতায় বিএনপি নেতাদের টপ টু বটম পদত্যাগ করা উচিত।
জামায়াতে ইসলামীর রাজনীতি নিয়ে তিনি বলেন, এ বিষয়টি উচ্চ আদালতে বিচারাধীন। কোনো চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয়নি। জামায়াত তো নিবন্ধিত দল নয়, তারা নির্বাচন কিভাবে করবে?