সারাদেশে চলমান কুয়াশা ও শৈত্যপ্রবাহ থাকতে পারে আগামী তিন দিন। এরপর হালকা বৃষ্টি হতে পারে। আবহাওয়া অধিদপ্তরের পূর্বাভাসে এমন তথ্য জানা গেছে।
দেশের বিভিন্ন জায়গায় বুধবার (৩১ জানুয়ারি) থেকে আবারও গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি শুরু হতে পারে। শুক্রবার (২ ফেব্রুয়ারি) পর্যন্ত চলতে পারে হালকা বৃষ্টি। এমন আভাস দিয়েছেন আবহাওয়া অধিদপ্তরের আবহাওয়াবিদ এ কে এম নাজমুল হক। তিনি বলেন, ৩১ জানুয়ারি থেকে ২ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত রাজশাহী, ময়মনসিংহ, ঢাকা ও চট্টগ্রামসহ দেশের অনেক জায়গায় বৃষ্টি হতে পারে।
আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, আজ শনিবার অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ সারাদেশের আবহাওয়া শুষ্ক থাকতে পারে। মধ্যরাত থেকে সকাল পর্যন্ত দেশের নদী-অববাহিকার কোথাও কোথাও মাঝারি থেকে ঘনকুয়াশা পড়তে পারে। দেশের অন্যত্র কোথাও কোথাও হালকা থেকে মাঝারি কুয়াশা পড়তে পারে। ঘনকুয়াশার কারণে অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন চলাচল ব্যাহত হতে পারে।
শৈত্যপ্রবাহ: কিশোরগঞ্জ, গোপালগঞ্জ, মৌলভীবাজার, যশোর, কুষ্টিয়া ও চুয়াডাঙ্গা জেলাসহ রংপুর ও রাজশাহী বিভাগের ওপর দিয়ে মৃদু থেকে মাঝারি ধরনের শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে এবং তা অব্যাহত থাকতে পারে।
তাপমাত্রা: সারাদেশে রাতের তাপমাত্রা সামান্য কমতে পারে। প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে দিনের তাপমাত্রা।
রোববারও অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ সারাদেশের আবহাওয়া শুষ্ক থাকতে পারে। মধ্যরাত থেকে সকাল পর্যন্ত দেশের নদী-অববাহিকার কোথাও কোথাও মাঝারি থেকে ঘনকুয়াশা পড়তে পারে। দেশের অন্যত্র কোথাও কোথাও হালকা থেকে মাঝারি কুয়াশা পড়তে পারে। ঘনকুয়াশার কারণে অভ্যন্তরীণ নৌ পরিবহন চলাচল ব্যাহত হতে পারে। সারাদেশে রাত ও দিনের তাপমাত্রা সামান্য বাড়তে পারে।
পরের দিন সোমবার অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ সারাদেশের আবহাওয়া শুষ্ক থাকতে পারে। মধ্যরাত থেকে সকাল পর্যন্ত দেশের নদী-অববাহিকার কোথাও কোথাও মাঝারি থেকে ঘনকুয়াশা পড়তে পারে এবং দেশের অন্যত্র কোথাও কোথাও হালকা থেকে মাঝারি কুয়াশা পড়তে পারে। ঘনকুয়াশার কারণে অভ্যন্তরীণ নৌ পরিবহন চলাচল ব্যাহত হতে পারে। এ দিন সারাদেশে রাতের সামান্য বৃদ্ধি পেতে পারে। প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে দিনের তাপমাত্রা।
রাতভর কুয়াশা, মিলছে না সূর্যের উষ্ণতা: দেশে বেশ কয়েকদিন ধরে বয়ে চলছে মৃদু থেকে মাঝারি শৈত্যপ্রবাহ। শুক্রবার সর্বউত্তরের জনপদ পঞ্চগড়ে ছিল তীব্র শৈত্যপ্রবাহ। এ দিন শীত অনুভূত হয়েছে সবচেয়ে বেশি।
উত্তরাঞ্চলে কুয়াশা থাকছে রাতভর। সকাল হলেও মিলছে না সূর্যের উষ্ণতা। তেঁতুলিয়ায় কয়েকদিন ধরে তাপমাত্রা ৭ থেকে ১০-এর মধ্যে ওঠানামা করলেও শুক্রবার তা নেমে আসে ৫ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াসে। চলতি শীত মৌসুমে তাপমাত্রা এতটা আর কখনও নামেনি।
মাঘের হাড় কাঁপানো শীতে একইভাবে তাপমাত্রার পারদ নেমেছে কুড়িগ্রাম ও দিনাজপুরেও। কুড়িগ্রামে শুক্রবার সকালে তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ৬ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস, যা এই জেলায় এই মৌসুমে সর্বনিম্ন। দিনাজপুরে রেকর্ড করা হয়েছে ৭ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
এ দিন ১২ জেলায় শৈত্যপ্রবাহ বয়ে গেছে। তাপমাত্রার নিম্নগতির সঙ্গে ঘন কুয়াশা আর হিমেল হাওয়ায় বেড়েছে শীতের তীব্রতা। ফলে কনকনে ঠান্ডায় বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে উত্তরের এই জেলাগুলোর জনজীবন।