পাকা কাঁঠাল ভীষণ পুষ্টিকর ফল, এ তথ্য প্রায় সবাই জানি। কিন্তু কাঁচা কাঁঠালও ভীষণ উপকারী। কাঁচা কাঁঠালে রয়েছে পর্যাপ্ত পরিমাণে আঁশ, যার অপর নাম ডায়াটারি ফাইবার। আঁশজাতীয় খাবার দীর্ঘ সময় আমাদের পেট ভরে রাখতে সাহায্য করে, দূর করে কোষ্ঠকাঠিন্য। কাঁঠালের আঁশ কোলন ক্যানসারের ঝুঁকি কমায়।
কাঁচা ও পাকা—উভয় ধরনের কাঁঠালে ভিটামিন সি এবং ভিটামিন এ রয়েছে। তবে কাঁচা কাঁঠালে ভিটামিন সি থাকে তুলনামূলক বেশি। ভিটামিন সি আমাদের রোগ প্রতিরোধ শক্তিকে করে দ্বিগুণ শক্তিশালী। তারুণ্য বজায় রাখতে সাহায্য করে। ত্বক, নখ, চুল, দাঁতের পুষ্টি জোগায়। চর্মরোগ প্রতিরোধে কাজ করে।
কাঁঠালের মধ্যে রয়েছে পটাশিয়াম, যা রক্তচাপ কমাতে সাহায্য করে। পরিণামে হৃদ্রোগ প্রতিরোধ হয়। আমাদের ত্বকের পুষ্টির জন্য কোলাজেন নামের একধরনের প্রোটিন বা আমিষের দরকার। কাঁঠালের ভিটামিন সি কোলাজেন তৈরিতে ভূমিকা রাখে।
পাকা কাঁঠালে চিনির পরিমাণ থাকে তুলনামূলক বেশি। মিষ্টি কাঁঠাল ডায়াবেটিসের রোগীদের জন্য ক্ষতিকর। কিন্তু কাঁচা কাঁঠাল রান্না করে খাওয়া যায়। কাঁচা কাঁঠাল রক্তে চিনির মাত্রা বাড়ায় না। কাঁচা কাঁঠালের আঁশজাতীয় উপাদান টাইপ টু ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে অবদান রাখে। আমাদের দাঁত, হাড়, চুল, নখের দৃঢ়তার জন্য আয়োডিন, খনিজ লবণ ভীষণ জরুরি। কাঁচা কাঁঠালে রয়েছে উচ্চমাত্রার খনিজ লবণ। রোগ প্রতিরোধ শক্তি বাড়াতে খনিজ লবণ খুবই দরকারি। কাঁঠালের বিচিও ভীষণ পুষ্টিকর।
কাঁঠালের বিচিতে রয়েছে পর্যাপ্ত পরিমাণে ভিটামিন বি১২, আয়রন, আমিষ, খনিজ লবণ। আমাদের শরীরে মাকড়সার জালের মতো ছড়িয়ে আছে বিভিন্ন ধরনের নার্ভ বা স্নায়ু। এসব স্নায়ুর পুষ্টির জন্য ভিটামিন বি১২ ভীষণ জরুরি।
কাঁচা কাঁঠালে ফোলেট আয়রনও রয়েছে উচ্চমাত্রায়। ফোলেট, আয়রন রক্ত তৈরি করে। গর্ভস্থ শিশুর বৃদ্ধি ও বর্ধনের জন্য ফোলেট ভীষণ দরকারি। বাড়ন্ত শিশুরা হঠাৎ লম্বা হয়ে যায়। তাদের বিভিন্ন ধরনের শারীরিক পরিবর্তন হয়। বাড়ন্ত শিশুদের জন্যও কাঁচা কাঁঠাল খুবই উপকারী।