চ্যানেল পরিবর্তন
রাউটার মূলত চ্যানেল বা ফ্রিকোয়েন্সির মাধ্যমে সংকেত পাঠায়। এই চ্যানেলের কারণেও অনেক সময় রাউটারের গতি কমে যেতে পারে। বিশেষ করে আপনি যে ভবনে থাকেন, সেখানে আরও অনেকেই আলাদা ওয়াই-ফাই নেটওয়ার্ক ব্যবহার করতে পারেন। এখন তাঁদের ব্যবহার করা রাউটারও যদি একই চ্যানেল বা ফ্রিকোয়েন্সি ব্যবহার করেন, তবে আপনার ওয়াই-ফাইয়ের গতি কমে যাবে। এ সমস্যা সমাধানে রাউটারের চ্যানেল পরিবর্তন করতে হবে।
মেঝে থেকে ওপরে ও খোলা জায়গায় রাউটার রাখতে হবে
অনেকেই টেবিলের ওপরে রাউটার রাখেন। ফলে আশপাশে ভারী বস্তু বা আসবাব থাকার কারণে ওয়াই-ফাইয়ের সিগন্যালের গতি কমে যায়। এ সমস্যা সমাধানে ঘরের মাঝামাঝি স্থানে মেঝে থেকে ওপরের দিকে রাউটার রাখতে হবে। এতে ঘরের সব দিকে সমানভাবে ওয়াই-ফাই সিগন্যাল পাওয়া যাবে। জানালার পাশে রাউটার রাখা যাবে না। এতে রাউটারের সিগন্যাল ঘরের বাইরে পাওয়া গেলেও ভেতরে ঠিকমতো পাওয়া যাবে না।
ইথারনেট কেব্ল ব্যবহার
নির্দিষ্ট কোনো যন্ত্রে যদি ওয়াই-ফাই সিগন্যালের গতি কম পাওয়া যায়, তবে সেই যন্ত্রের ওয়্যারলেস রিসিভার অপশনেও সমস্যা থাকতে পারে। অনেক সময় একই রাউটারে বেশিসংখ্যক যন্ত্র যুক্ত থাকলে ওয়াই-ফাইয়ের গতি কমে যায়। ইথারনেট কেব্লের মাধ্যমে রাউটারের সঙ্গে যন্ত্র যুক্ত করে এ সমস্যার সমাধান করা সম্ভব।
রাউটারের অ্যানটেনার অবস্থান পরিবর্তন
রাউটারে থাকা অ্যানটেনাগুলো ইন্টারনেটের গতি বাড়াতে সাহায্য করে। অনেকে রাউটারের অ্যানটেনাগুলো এলোমেলোভাবে ব্যবহার করেন। মনে রাখতে হবে, প্রতিটি অ্যানটেনাই ৯০ ডিগ্রি কোণে আলাদাভাবে সিগন্যাল পাঠিয়ে থাকে। আর তাই আপনি যদি একতলা ভবনে থাকেন, তবে অ্যানটেনাগুলো উল্লম্বভাবে রাখুন। আর যদি বহুতল ভবনে থাকেন, তবে অ্যানটেনাগুলো উল্লম্ব ও অনুভূমিক দুভাবেই রাখতে হবে।
ওয়াই-ফাইয়ের পরিসর বাড়ানো
বাসা বা অফিসের আকার বড় হলে একটি রাউটার দিয়ে সব স্থানে সমান গতির সিগন্যাল পাওয়া যায় না। এ ছাড়া একাধিক দেয়ালের কারণেও ওয়াই-ফাইয়ের গতি কমে যায়। এ সমস্যা সমাধানে রেঞ্জ এক্সটেন্ডার বা মেশ নেটওয়ার্ক ব্যবহার করতে হবে। এক্সটেন্ডারগুলো মূলত রাউটার থেকে সিগন্যাল গ্রহণ করে আবার পাঠিয়ে থাকে। এরপরও সমস্যার সমাধান না হলে রাউটার হালনাগাদ বা পরিবর্তন করতে হবে।
সূত্র: ডেইলি মেইল