এবার বৃষ্টির অজুহাতে দাম বাড়ল সবজির

0
167
দাম বাড়ল সবজি

কয়েকদিন ধরে মাছের বাজার চড়া। এক সপ্তাহ ধরে ডিম বিক্রি হচ্ছে রেকর্ড দরে। এবার বাড়ল সবজির দাম। গত দু-তিন দিনের ব্যবধানে বেশির ভাগ সবজির দাম কেজিতে ১০ থেকে ২০ টাকা বেড়েছে। সবজি ব্যবসায়ীদের দাবি, কয়েকদিনের টানা বৃষ্টিতে কৃষকরা ক্ষেত থেকে সবজি তুলতে পারছেন না। কিছু সবজি ক্ষেতেই নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। এতে সরবরাহ কমে প্রভাব পড়েছে সবজির দামে।

গতকাল শুক্রবার রাজধানীর কারওয়ান বাজার, মগবাজার ও হাতিরপুল কাঁচাবাজার ঘুরে দেখা যায়, খুচরা বিক্রেতারা গত সপ্তাহে ৬০ থেকে ৭০ টাকায় বিক্রি হওয়া বরবটির দাম হাঁকছেন ৮০ থেকে ৯০ টাকা। এ ছাড়া কেজিতে ১০ টাকার মতো বেড়ে পটল ৪০ থেকে ৫০ টাকা, ঝিঙ্গে ৬০ থেকে ৭০, ঢেঁড়স ৩০ থেকে ৪০, পেঁপে ৩৫ থেকে ৪০, বেগুন ৬০ থেকে ৭০, গাজর ১২০ থেকে ১৩০, কচুরমুখি ৭০ থেকে ৮০ ও মুলা ৪০ থেকে ৫০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। কেজিতে ২০ টাকা বেড়ে করলা ও কাঁকরোল বিক্রি হচ্ছে যথাক্রমে ৭০ থেকে ৮০ এবং ৫০ থেকে ৬০ টাকা। টমেটোর দাম দেখা গেছে আরও বেশি। সালাদ তৈরির উপকরণটির কেজি বিক্রি হচ্ছে ২২০ থেকে ৩০০ টাকা দরে। তিন দিন আগে কাঁচামরিচের কেজি বিক্রি হয়েছিল ১৭০ থেকে ২০০ টাকা। গতকাল তা বিক্রি হয়েছে ২০০ থেকে ২৪০ টাকা দরে।

কারওয়ান বাজারের সবজি ব্যবসায়ী দুলাল আহমেদ বলেন, ‘একটানা কয়েকদিন বৃষ্টিতে কৃষকরা সবজি তুলতে পারছেন না। ক্ষেতেই ফসল পচে যাচ্ছে। এ কারণে ঢাকার বাজারে সবজি আসা কমে গেছে। বৃষ্টি কমে গেলে সবজির সরবরাহ বেড়ে দাম আবার পড়ে যাবে।’

মাছের বাজার আগের মতোই চড়া। আকারভেদে তেলাপিয়ার কেজি ২০০ থেকে ২৫০ টাকা, পাঙাশ ১৮০ থেকে ২০০ টাকা, রুই ও কাতলা ৩৫০ থেকে ৪৫০ টাকা এবং চাষের কই ও শিং আকারভেদে যথাক্রমে ২০০ থেকে ২৩০ এবং ৩৫০ থেকে ৬০০ টাকা দরে বিক্রি করছেন ব্যবসায়ীরা। তবে টেংরা, চিংড়ি ও পাবদা জাতীয় অভিযাত শ্রেণির মাছ বিক্রি হচ্ছে অস্বাভাবিক দামে। টেংরার কেজি ৫০০ থেকে ৬০০ টাকা, ছোট চিংড়ি ৬০০ থেকে ৭০০ এবং বড় চিংড়ি ৮০০ থেকে ১০০০ টাকা। এ ছাড়া পাবদার কেজি ৩৫০ থেকে ৫০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। নদীতে ইলিশ ধরার পরিমাণ বাড়লেও দাম এখনও নাগালের বাইরে থেকে গেছে। ৭০০ থেকে ৮০০ গ্রাম ওজনের ইলিশের কেজি ১০০০ থেকে ১২০০ টাকা। আর বিক্রেতারা এক কেজি ওজনের ইলিশের দাম নিচ্ছেন ১৫০০ থেকে ১৭০০ টাকা।

গত বছরের এই সময় ডিমের দাম উঠেছিল সর্বোচ্চ পর্যায়ে। তখন প্রতি ডজন ফার্মের মুরগির ডিম বিক্রি হয়েছিল ১৫৫ টাকা দরে। অবশ্য সরকারের নানা পদক্ষেপে তা কমে গিয়েছিল। এ বছর আবার ঊর্ধ্বমুখী ধারায় ডিম। গত বছরের রেকর্ড ভেঙে এখন ডজন বিক্রি হচ্ছে ১৬০ থেকে ১৬৫ টাকায়।

অন্যদিকে মুরগির বাজারও উচ্চমূল্যে স্থির হয়ে আছে। ব্রয়লারের কেজি ১৮০ থেকে ১৯০ এবং সোনালি জাতের মুরগির কেজি ৩০০ থেকে ৩২০ টাকা দরে বিক্রি করছেন খুচরা বিক্রেতারা।

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.