ঋণ মেয়াদোত্তীর্ণ হলেই দেড় শতাংশ হারে দণ্ড সুদ

0
110

এখন থেকে কোনো ঋণ মেয়াদোত্তীর্ণ হলেই দেড় শতাংশ হারে দণ্ড সুদ নিতে পারবে ব্যাংক। চলমান ঋণের মোট স্থিতি এবং মেয়াদি ঋণে বকেয়া কিস্তির ওপর এ দণ্ড সুদ নেওয়া যাবে। আগে কোনো ঋণ খেলাপি হওয়ার পর থেকে ২ শতাংশ হারে দণ্ড সুদ নেওয়া যেত। এ ছাড়া প্রাক জাহাজীকরণ রপ্তানি ঋণে ১৮২ দিন মেয়াদি ট্রেজারি বিলের গড় সুদের সঙ্গে সর্বোচ্চ ২ শতাংশ যোগ করা যাবে।

বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে এ সংক্রান্ত নির্দেশনা ব্যাংকগুলোর প্রধান নির্বাহীদের কাছে পাঠানো হয়।

সংশ্লিষ্টরা জানান, এতদিন মেয়াদোত্তীর্ণ ঋণের বিপরীতে দণ্ড সুদের বিষয়ে কিছু বলা ছিল না। তবে কোনো ঋণ খেলাপি হওয়ার পর তার ওপর ২ শতাংশ হারে দণ্ড সুদ নিতে পারত ব্যাংক। এখন থেকে মেয়াদোত্তীর্ণ হলেই দণ্ড সুদ আরোপ করা যাবে। বিষয়টি এমন– কোনো ঋণের কিস্তি পরিশোধের তারিখ নির্ধারিত আছে হয়তো ৩০ জুন। এ সময়ের মধ্যে পরিশোধ না হলে পরদিন থেকে তা মেয়াদোত্তীর্ণ হিসেবে বিবেচিত। আর ঋণটি খেলাপি হবে মেয়াদোত্তীর্ণ হওয়ার ছয় মাস পর।

বাংলাদেশ ব্যাংকের সার্কুলারে বলা হয়েছে, কোনো ঋণ বা ঋণের কিস্তি সম্পূর্ণ বা আংশিক মেয়াদোত্তীর্ণ হিসেবে চিহ্নিত হলে যে সময়ের জন্য মেয়াদোত্তীর্ণ হবে, ওই সময়ে চলমান ও তলবি ঋণের ক্ষেত্রে সম্পূর্ণ স্থিতির ওপর এবং মেয়াদি ঋণের ক্ষেত্রে মেয়াদোত্তীর্ণ কিস্তির ওপর সর্বোচ্চ দেড় শতাংশ হারে দণ্ড সুদ আরোপ করা যাবে। এতে আরও বলা হয়েছে, প্রি-শিপমেন্ট রপ্তানি ঋণের সুদহার নির্ধারণের ক্ষেত্রে ‘স্মার্ট’ বা সিক্স মান্থ মুভিং অ্যাভারেজ রেট অব ট্রেজারি বিলের সঙ্গে সর্বোচ্চ ২ শতাংশ যোগ করা যাবে। গত জুনের স্মার্ট ছিল ৭ দশমিক ১৩ শতাংশ। ফলে এ ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ সুদ হবে ৯ দশমিক ১৩ শতাংশ। সুদহারের নতুন ব্যবস্থা চালুর আগে প্রাক জাহাজীকরণ রপ্তানি ঋণে সর্বোচ্চ সুদ ছিল ৭ শতাংশ।

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.