পুলিশ ও ভুক্তভোগী ছাত্রীর পরিবারের ভাষ্য অনুযায়ী, ছাত্রলীগ নেতা রায়মোহন কুমার উপজেলার আটঘর ইউনিয়নের একটি গ্রামের এক ছাত্রীকে দীর্ঘদিন ধরে উত্ত্যক্ত করে আসছিলেন। এ নিয়ে সালিস বৈঠকও হয়। ওই ছাত্রী বর্তমানে ফরিদপুর শহরের একটি মেসে থেকে সরকারি একটি কলেজে একাদশ শ্রেণিতে পড়ছে। রায়মোহন মুঠোফোনে ওই ছাত্রীকে উত্ত্যক্ত করতেন। একপর্যায়ে তাকে তুলে নেওয়ার হুমকিও দেয়। ওই ছাত্রী বিষয়টি তার পরিবারের সদস্যদের জানায়।
১০ মার্চ সালথায় উত্ত্যক্তের প্রতিবাদ করায় মেয়ের বাবা, চাচা ও চাচাতো ভাইকে পিটিয়ে আহত করার অভিযোগ ওঠে সালথা উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি রায়মোহন কুমার রায়ের বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় ১৩ মার্চ জেলা ছাত্রলীগ ছয় সদস্য বিশিষ্ট একটি তদন্ত কমিটি গঠন করে।
ছাত্রলীগ নেতা রায়মোহন কুমারের দাবি, ওই ছাত্রীর সঙ্গে তাঁর প্রেমের সম্পর্ক ছিল। তাঁর বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ মিথ্যা। উল্টো তিনিই সেদিন মারধরের শিকার হন।
সালথা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শেখ মো. সাদিক বলেন, রায়মোহনকে আজ আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে পাঠানো হবে।


















