চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের শাটল ট্রেনের ছাদে গাছের ধাক্কায় ১৫ শিক্ষার্থী আহতের ঘটনায় কিছু শিক্ষার্থী মধ্য রাতে উপাচার্যের বাসভবনে ভাঙচুর করেছে। তারা তিনতলা ভবনে থাকা আসবাবপত্রসহ অনেক কিছু ভেঙে ফেলেছে। পরে ক্যাম্পাসে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করা হয়।
রাত ১টা পর্যন্ত শিক্ষার্থীরা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকে তালা দিয়ে ক্যাম্পাসের জিরো পয়েন্টে অবস্থান করছিল। এরপর তারা অবস্থান ত্যাগ করে।
হাটহাজারী থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. নুরুল আলম জানান, শিক্ষার্থীরা রাত ১১টার দিকে ক্যাম্পাসের প্রধান ফটকে তালা লাগিয়ে দেয়। নতুন ট্রেন ও নিরাপত্তার দাবিতে পুলিশ বক্স, জিরো পয়েন্টের প্রক্টর বুথ ও ভিসি অফিস এলাকায় তারা ভাঙচুর করেছে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, শহরের বটতলী স্টেশন থেকে শহরগামী রাত সাড়ে ৮টার শাটলে এ দুর্ঘটনা ঘটে। প্রতিদিনই এ ট্রেনে তুলনামূলক ভিড় বেশি থাকে। ভেতরে জায়গা না পেয়ে অনেকেই শাটলের ছাদে উঠেন। বৃষ্টির কারণে বৃহস্পতিবার সকালে চৌধুরীহাঁটে একটি গাছের ডাল নিচু হয়ে যায়। ওইদিন বিকেলেও এক শিক্ষার্থী ওই গাছের ধাক্কায় আহত হন। তবে রাতে অন্ধকার থাকায় গাছের ডালের ধাক্কায় অনেক শিক্ষার্থী আহত হয়। তাদের মধ্যে কয়েকজনের অবস্থা গুরুতর। গাছের ধাক্কায় অনেকে ছাদ থেকে পড়ে যান। তাদের মধ্যে চারজনের অবস্থা গুরুত্বর। এ ঘটনায় ক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা উপাচার্যের বাসভবন ঘেরাও করে।
আহতদের অনেককে স্থানীয় বেসরকারি হাসপাতাল ফতেহপুর গ্রিন হেলথে নেওয়া হয়। ওই হাসপাতালের চিকিৎসক আকরাম হোসেন জানান, তাদের কাছে ৮ জন চিকিৎসা নিয়েছেন। এর মধ্যে চারজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। তাদের কারও জ্ঞান ছিল না। নাক ও কান দিয়ে রক্ত বের হচ্ছিল। অবস্থা গুরুত্বর হওয়ার তাদের চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী প্রক্টর নাজেমুল আলম মুরাদ বলেন, শিক্ষার্থীদের উন্নত চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।