টানা ৫ ম্যাচে গোল করে মায়ামিকে সেমিতে তুললেন মেসি

0
114
টানা ৫ ম্যাচে গোল পেয়েছেন লিওনেল মেসি, ছবি : এএফপি

আগের চার ম্যাচে ৭ গোল। লিগস কাপে ইন্টার মায়ামির ম্যাচ মানেই যেন লিওনেল মেসির গোল। পঞ্চম ম্যাচে এসেও সেই নিয়মের ব্যতিক্রম হলো না। তবে এবার গোলের জন্য মেসি ভক্ত-সমর্থকদের অপেক্ষায় রাখলেন ম্যাচের ৮৭ মিনিট পর্যন্ত। শেষ পর্যন্ত টানা ৫ ম্যাচে গোল করে ইন্টার মায়ামিকে লিগস কাপের সেমিফাইনালে নিয়ে গেলেন মেসি। এই ম্যাচে করা ১ গোলসহ ইন্টার মায়ামির জার্সিতে তাঁর গোলসংখ্যা এখন ৮।

ঘরের মাঠ ডিআরভি পিএনকে স্টেডিয়ামে আজ মেসির গোলের আগেই অবশ্য নিশ্চিত হয়ে যায় ইন্টার মায়ামির সেমিতে ওঠা। প্রথমার্ধে ২ গোলের পর দ্বিতীয়ার্ধে ম্যাচের ৭৮ মিনিটে পাওয়া আত্মঘাতী গোলে মায়ামি এগিয়ে যায় ৩-০ গোলে। এরপর মেসির গোলটি যেন ‘চেরি অন দ্য কেক’। শেষ পর্যন্ত মেসির পায়ে গোলের দেখা মিললে পূর্ণ তৃপ্তি নিয়েই মাঠ ছেড়েছে মায়ামির সমর্থকেরা।

এদিন আগের ম্যাচগুলোর তুলনায় প্রথমার্ধে মেসিকে কিছুটা চুপ করিয়ে রাখতে পেরেছিল শার্লট। এই অর্ধে মেসি লক্ষ্যে শুধু একটি শটই নিতে পেরেছিলেন। ৩০ মিনিটে মেসির সেই শট ঠেকিয়ে দেন প্রতিপক্ষ গোলরক্ষক। তবে মেসির গোল ঠেকিয়ে রাখতে পারলেও তাঁকে পেয়ে উজ্জীবিত সতীর্থদের আটকাতে পারেনি শার্লট। প্রথমার্ধেই ২ গোলে এগিয়ে যায় ইন্টার মায়ামি।

এরপরও মেসির সুযোগ ছিল গোল আদায়ের। ম্যাচের ১২ মিনিটে পাওয়া পেনাল্টি মেসি নিলে গোলটি লেখা হতে পারত তাঁর নামের পাশে। কিন্তু তাঁর বদলে সেই শট নেন হোসেফ মার্তিনেজ। এই ফরোয়ার্ড অবশ্য ভুল করেননি। ঠান্ডা মাথার নিখুঁত শটে এগিয়ে দেন দলকে। এগিয়ে যাওয়ার পর আরও আত্মবিশ্বাসী হয়ে ওঠে মায়ামি। আক্রমণ ও বল দখলে এগিয়ে ছিল তারাই, যা দলটিকে দ্বিতীয়বারের মতো এগিয়ে দেয় ম্যাচের ৩২ মিনিটে।

ডান প্রান্তে শার্লট ডিফেন্সের কাছাকাছি জায়গা থেকে ডিআন্দ্রে ইয়েডলিন বল বাড়ান রবার্ট টেইলরের উদ্দেশে। প্রতিপক্ষ ডিফেন্ডারদের ফাঁদ এড়িয়ে ডান পায়ে বাঁ কোনা ঘেঁষে শট নেন টেইলর। বলের গতিপথ বুঝতেই পারেননি শার্লট গোলরক্ষক। মায়ামি এগিয়ে যায় ২-০ গোলে। আর কোনো গোল না পেলেও ইন্টার মায়ামির দাপটেই শেষ হয় ম্যাচের প্রথমার্ধ।

বিরতির পর দুই দলই চেষ্টা করে গোল আদায়ের। শার্লট এ সময় কিছুটা খোলস ছেড়ে বেরিয়ে আসে। বেশ কয়েকবার গোলের কাছাকাছি জায়গাও পৌঁছে যায়। তবে ইন্টার মায়ামির শেষ বাধাটি অতিক্রম করা হচ্ছিল না তাদের। অন্যদিকে মায়ামিও চেষ্টা করে ব্যবধান বাড়ানোর। মেসিও একাধিকবার প্রতিপক্ষ রক্ষণে হুমকি তৈরি করেছিলেন। ৬৯ মিনিটে ডি বক্সের ভেতর বল পেয়ে গোল প্রায় পেয়েই গিয়েছিলেন আর্জেন্টাইন কিংবদন্তি। কিন্তু তাঁর নেওয়া শট শালর্ট খেলোয়াড়ের পায়ে লেগে বাইরে চলে যায়।

তবে মেসি গোল না পেলেও তাঁর তৈরি করা আক্রমণ থেকেই তৃতীয় গোলটি আদায় করে নেয় ইন্টার মায়ামি। পাল্টা আক্রমণ থেকে বল ক্লিয়ার করতে গিয়ে নিজেদের জালেই জড়ায় শার্লট। দলের ৩ গোলের পরও মেসি গোল না পেলে কি হয়! অবশেষে কিছুটা অপেক্ষা করিয়েই মায়ামির দর্শকদের মেসি মাতিয়ে তুললেন ম্যাচের ৮৭ মিনিটে। ডি বক্সের ভেতর বল পেয়ে সহজেই লক্ষ্যভেদ করেন ইন্টার মায়ামি অধিনায়ক। তাঁর গোলেই নিশ্চিত হয় মায়ামির ৪-০ ব্যবধানের জয়। আর এই জয়ে ইন্টার মায়ামি পৌঁছে গেছে লিগস কাপের সেমিফাইনালে।

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.