সরল অঙ্কের জটিল সমীকরণে ঝুলে ছিল ইংল্যান্ডের সেমিফাইনালে যাওয়ার সম্ভাবনা। হাতে থাকা সবগুলো ম্যাচ জিততে হবে, নিউজিল্যান্ডের সব ম্যাচ হারতে হবে; ছিল এমন আরও হিসাব-নিকাশ। এই অঙ্ক মিলবে না; মেনে নিয়েছিল ইংল্যান্ড। ভারতের বিপক্ষে ১০০ রানের বড় ব্যবধানে হেরে অঙ্ক শেষ হওয়ার আগেই একপ্রকার উত্তর মিলে গেল। তিন ম্যাচ হাতে থাকতে বিশ্বকাপ থেকে ইংল্যান্ডের বিদায় ঘণ্টা বেজে গেল। টানা ছয় জয়ে সেমিফাইনালের পথে পা বাড়িয়ে দিল ভারত।
লক্ষ্নৌর ভারত রত্ন স্টেডিয়ামে টস হেরে ব্যাট করতে নামে ভারত। রোহিত শর্মা ঝড়ো শুরু করলেও শুভমান গিল (৯), দুর্দান্ত ছন্দে থাকা বিরাট কোহলি (০) ও শ্রেয়াস আয়ারকে (৪) হারিয়ে বিপদে পড়ে দলটি। ৪০ রানে ৩ উইকেট হারায় স্বাগতিকরা। পাঁচে নামা কেএল রাহুলকে নিয়ে ৯১ রানের জুটিতে ওই ধাক্কা সামাল দেন ওপেনার ও অধিনায়ক রোহিত।
রাহুল ফিরে যান ৫৮ বলে ৩৯ রান করে। তিনটি চার মারেন তিনি। অন্য প্রান্তে লড়াই করা রোহিত ১০১ বলে ৮৭ রান করে আউট হন। তার ব্যাট থেকে ১০টি চার ও তিনটি ছক্কা আসে। পরে সূর্যকুমার যাদব ৪৭ বলে ৪৯ রান করেন। চারটি চার ও একটি ছক্কা মারেন। জবাব দিতে নেমে বিধ্বংসী ক্রিকেটের বার্তা দিয়ে ভারতে আসা বিশ্বচ্যাম্পিয়ন ইংল্যান্ড ৩৪.৫ ওভারে ১২৯ রানে অলআউট হয়েছে।
ব্যাট হাতে কোন ইংলিশ ব্যাটার উইকেটে দাঁড়াতে পারেননি। দুই ওপেনার ডেভিড মালান (১৬) ও জনি বেয়ারস্টো (১৪) দুই অঙ্কের ঘরে ঢুকতেই ফিরে যান। জো রুট গোল্ডেন ডাক মারেন। ধুঁকে ধুঁকে ডাক মেরে ফেরেন বেন স্টোকসও। এরপর জস বাটলার ১০ করে ফিরলে ৫২ রানে ৫ উইকেট হারায় ইংল্যান্ড। ওই বিপর্যয় থেকে উঠতে পারেনি তারা। শেষে মঈন আলী (১৫), লিভিংস্টোন (২৭) ও ডেভিড উইলি (১৬) ছোট ছোট রান করলেও দলের হারের ব্যবধান কমেনি।
ভারতের হয়ে এই ম্যাচে ৭ ওভারে মাত্র ২২ রান দিয়ে ৪ উইকেট নিয়েছেন মোহাম্মদ শামি। আগের ম্যাচে ৫ উইকেট নিয়েছিলেন তিনি। এছাড়া জাসপ্রিত বুমরাহ নিয়েছেন ৩ উইকেট। দুই উইকেট দখল করেছেন কুলদীপ। ইংল্যান্ডের হয়ে ডেভিড উইলি ৩টি এবং ক্রিস ওকস ও আদিল রশিদ দুটি করে উইকেট নিয়েছেন।