অনেক শব্দ। কোথায় আপনি?
আমি একটু শপিংয়ে এসেছি। নিজের জন্য কেনা সহজ। কিন্তু অন্যদের জন্য গিফট কেনা কঠিন। তা–ও আবার শিশু। মার্কেটে এসে ঘুরতে ঘুরতে বৃষ্টির মধ্যে পড়েছি।
এখন নিজে শপিং করতে পারেন?
নিজের শপিং নিজে করতেই পছন্দ করি। কিন্তু ব্যস্ততার জন্য করা হয় না। আমার এক কাজিনের বিদেশে কাপড়ের ব্যবসা আছে। তিনি নিয়মিত দেশের বাইরে যান। তাঁকে দিয়েই অনেক পোশাক বিদেশ থেকে আনাই।
শুটিংয়ের জন্য বাইরে থেকে কি কখনো কস্টিউম কেনা হয়?
গল্প অনুযায়ী পরিচালক ও কস্টিউম ডিরেক্টর বলে দেন, কী ধরনের পোশাক পরতে হবে। বেশির ভাগ সময়ই কস্টিউম দিয়ে দেন। কিন্তু অনেক সময় আমি আমার পছন্দমতো সিনেমার অনেক পোশাক বিদেশ থেকে আনিয়েছি।
গ্ল্যামারাস সব চরিত্রে এর আগে আপনাকে দেখা গেছে। এবার ‘আদম’ সিনেমায় আটপৌরে লুক, অভিব্যক্তি আনতে নতুন কী যোগ করেছেন?
আশির দশকের একটি গ্রামের মেয়ে কেমন হতে পারে, সিনেমা দেখে, সেই সময়ের অনেকের সঙ্গে কথা বলে জানার চেষ্টা করেছি। সেই অভিজ্ঞতা চরিত্রের কথা বলার স্টাইল, অঙ্গভঙ্গিতে ব্যবহার করেছি। সিনেমার একটি দৃশ্যের জন্য পরিচালককে জানিয়েছিলাম, দুধ দিয়ে গোসল করলে কেমন হয়? পরে গায়েহলুদের দৃশ্যধারণের দিন দেখি, এক কলস দুধ হাজির। পরে দুধ দিয়ে গোসল করি।
আগে একবার জানিয়েছিলেন, প্রতিটা সিনেমা থেকেই অভিনয়ের খুঁটিনাটি শিখতে চান। এবার কী শিখলেন?
পরিচালক, প্রযোজক বেশির ভাগ সময়ই আমাকে নরমসরম, একটু কিউট, আধুনিক—এমন সব চরিত্রে ভাবেন। সেখানে আমি আদম সিনেমা দিয়ে নিজেকে ভাঙার সুযোগ পেয়েছি। আমি সব ধরনের গল্পেই অভিনয় করতে চাই।
গল্প বাছাইয়ের ক্ষেত্রে কোন দিকগুলোকে গুরুত্ব দেন?
পিকে সিনেমার প্রধান চরিত্র আমির খান। তাহলে কি আনুশকা পার্শ্বচরিত্র! আবার পিকু সিনেমার প্রধান চরিত্রে অমিতাভ বচ্চন ছিলেন। দীপিকা কিন্তু পার্শ্বচরিত্রে ছিলেন না। আমার কাছে একটা গল্প অনেকগুলো প্রধান চরিত্র নিয়ে। এখন আমিই যদি ‘পিকে’ হতে চাই, তাহলে সমস্যা। আমি প্রধান চরিত্রের অভিনয়শিল্পীর সঙ্গে অভিনয় করতে চাই। আমি নায়িকা হতে চাই।
নায়িকা বলতে আপনি কী বোঝাতে চান?
নায়িকা হতে হলে গ্ল্যামার লাগবেই, নাচগান থাকবেই, ওয়েস্টার্ন কাপড় পরতে হবে, খোলামেলা পোশাক পরতে হবে—এগুলোকে জরুরি মনে করি না। আমি সেই নায়িকা হতে চাই, যে গল্পের প্রধান বা গুরুত্বপূর্ণ নারী চরিত্র রয়েছে।
সিনেমা মুক্তি পেলেই দর্শকদের সঙ্গে হলে বসে দেখেন। তাঁদের কাছ থেকে আপনার সম্পর্কে কী শোনেন?
প্রায়ই একটা কথা শোনা হয়, আমি অভিনয় করি না। আমি চরিত্র হয়ে উঠি। ন্যাচারাল অভিনয় করি। আমি নিজেকে খুব বেশি ভালো অভিনেত্রী মনে করি না। তবে প্রশংসা আমার জন্য অনেক বড় অনুপ্রেরণা। এবার আদম সিনেমার দর্শকেরা লুকের কারণে আমাকে চিনতেই পারেননি। হল থেকে বের হওয়ার পর কেউ কেউ বলছিলেন, ওই দেখ আদম সিনেমার নায়িকা। এবার সিনেপ্লেক্সে বয়স্ক এক ব্যক্তি সবার সামনে বলছিলেন, আপনি আদম সিনেমার নায়িকা, বিশ্বাস হচ্ছে না। সিনেমা আর বাস্তবের সঙ্গে তিনি মেলাতেই পারেননি। এই ট্রান্সফর্মই আমার কাছে সফলতা। নূরসহ যে সিনেমাগুলো মুক্তির অপেক্ষায় রয়েছে, সেখানেও ব্যতিক্রম চরিত্রে দেখবেন দর্শক।