সাবেক সাধারণ সম্পাদক আবু নাঈম সোহাগ থাকার সময় বাফুফেতে যারা ফুরফুরে মেজাজে সময় কাটতেন সেই স্টাফদের মধ্যে এখন ভয় কাজ করছে। মুখ ফুটে কেউ কিছু বলতে চাচ্ছে না। কারণ, ঈদের পরই তদন্ত কমিটির মুখোমুখি হতে হবে তাঁদের।
সেখানে দোষী প্রমাণিত হলে বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনে যাঁরা যে পদে আছেন, তা স্বেচ্ছায় ছাড়তে হবে নয়তো তাঁদের চাকরিচ্যুত করা হবে বলে জানিয়েছেন বাফুফের শীর্ষ কর্মকর্তারা। বুধবার ঈদের ছুটি দেওয়া হয়েছে ফেডারেশন কর্মকর্তাদের। কিন্তু আতঙ্কে থাকা স্টাফদের কাছে এবারের ঈদটা যে অতীতের মতো আনন্দের নয়।
তাই ছুটিতে গেলেও মনে চাকরি হারানোর ভয় কাজ করছে বলে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বেশ কয়েকজন এক্সিকিউটিভ জানিয়েছেন।
দরপত্রে অনিয়ম, ফিফা ফান্ডের অপব্যবহারে দুই বছরের জন্য সাবেক সাধারণ সম্পাদক আবু নাঈম সোহাগ নিষিদ্ধ হওয়ার পর তাঁর অনুসারীরা রয়েছেন অস্বস্তিতে। চাকরি হারানোর আতঙ্ক কাজ করছে সোহাগের আস্থাভাজন এক্সিকিউটিভদের মধ্যে। আবার ভবনে সোহাগের বাজে আচরণের শিকার অনেক কর্মকর্তাই এখন স্বস্তিতে রয়েছেন।
২০১৬-১৭ সাল থেকেই বাফুফেতে আর্থিক অনিয়ম হয়ে আসছে বলে উঠে এসেছে বিশ্ব ফুটবলের নিয়ন্ত্রক সংস্থার ৫১ পৃষ্ঠার প্রতিবেদনে। এর সবই ফাইন্যান্স বিভাগের অন্তর্ভুক্ত, যার চেয়ারম্যান বাফুফে সিনিয়র সহসভাপতি আবদুস সালাম মুর্শেদী। সব ধাপ পার হওয়ার পরই চূড়ান্ত অনুমোদনের জন্য কাগজপত্র তাঁর কাছে আসে। এরপর যাচাই-বাছাই করে সই করেন সালাম। কিন্তু ফিফার প্রতিবেদনে সালাম মুর্শেদীর নাম নেই। মূলত অভিযুক্ত হয়েছেন সোহাগ।
বাফুফের প্রশাসনিক কর্মকর্তার প্রধান বিষয়ে সবকিছুই দেখভাল করেন সোহাগ। আর দরপত্র আহ্বান, কেনাবেচার বিষয়গুলো ধাপে ধাপে সম্পন্ন করতে হয়। ক্রয়সংক্রান্ত বিভাগ পূর্ণাঙ্গভাবে কাজ সম্পন্ন করার পরই চূড়ান্ত অনুমোদনের জন্য তা চলে যায় আর্থিক বিভাগে। ফিফার তদন্তে গাফিলতিটা এ দুটি ডিপার্টমেন্টের বিরুদ্ধেই উঠেছে। ফিফার পর বাফুফে থেকেও আবু নাঈম সোহাগ নিষিদ্ধ হওয়ার পর এ বিভাগে কর্মরত বাফুফে স্টাফরা আছেন চাকরি হারানোর শঙ্কায়।