সাম্প্রতিক সময়ে রাশিয়ার অভ্যন্তরে, এমনকি মস্কোর কাছেও ড্রোন হামলা হয়েছে। এসব হামলার লক্ষ্য রাশিয়ান বিমানঘাঁটিতে বিমানের ক্ষতি করা, বাণিজ্যিক বিমান চলাচল ও শিপিং ব্যাহত করা কিংবা ক্রিমিয়ায় রাশিয়ার বিমান প্রতিরক্ষার ওপর আঘাত করা। কিন্তু যুক্তরাষ্ট্রের শর্ত রয়েছে, পশ্চিমাদের সরবরাহ করা অস্ত্র দিয়ে রাশিয়ার অভ্যন্তরে হামলা করা যাবে না। ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কিও এ ব্যাপারে যুক্তরাষ্ট্রকে আশ্বস্ত করেছন, পশ্চিমা অস্ত্র দিয়ে রাশিয়ায় হামলা করা হবে না। ফলে রাশিয়ার অভ্যন্তরে হামলার বিষয়ে নতুন করে ভাবতে হচ্ছে ইউক্রেনকে। এ অবস্থায় নিজেদের স্বাবলম্বী করতে অস্ত্রশিল্পে নজর দিচ্ছে কিয়েভ।
দেশটি এরই মধ্যে এমন ক্ষেপণাস্ত্র তৈরিতে সফল হয়েছে, যেটি ৭০০ কিলোমিটার দূরেও হামলা করতে সক্ষম। খবর সিএনএন ও আলজাজিরার।
বর্তমানে ফ্রন্টলাইন থেকে অনেক দূরে হামলা করছে ইউক্রেন, যা দেশটির ক্রমবর্ধমান ক্ষমতার প্রমাণ করে। এসব হামলা পশ্চিমা সরঞ্জামের ওপর নির্ভর নয়, বরং স্থানীয় অস্ত্রের ওপর নির্ভর করে। এ অবস্থায় ইউক্রেন একটি অস্ত্রশিল্প তৈরিতে নজর দিয়েছে। এরই মধ্যে ১৫৫ মিলিমিটার আর্টিলারি শেল থেকে দীর্ঘ পাল্লার ড্রোন পর্যন্ত সবকিছু তৈরি হচ্ছে সেখানে।
ইউক্রেনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা একটি নতুন ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র তৈরির বিষয়ে ইঙ্গিত দিয়েছেন। জেলেনস্কিও একটি গোপন নোটে শিল্প মন্ত্রণালয়কে অভিনন্দন জানিয়ে বলেছেন, ‘আমাদের দূরপাল্লার অস্ত্রের সফল ব্যবহার। লক্ষ্য ৭০০ কিলোমিটার দূরে আঘাত করা হয়েছিল।’
এদিকে, অত্যাধুনিক আন্তঃমহাদেশীয় ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র মোতায়েন করেছে রাশিয়া। রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন বলেছেন, এখন হুমকি দেওয়ার আগে অন্তত ‘দুইবার চিন্তা’ করতে হবে রাশিয়ার শত্রুদের। রাশিয়ার মহাকাশ সংস্থা রসকসমসের প্রধান ইয়ুরি বোরিসভ বলেন, সারমত ক্ষেপণাস্ত্রগুলোকে ‘যুদ্ধকালীন দায়িত্বে মোতায়েন’ করা হয়েছে।
অন্যদিকে, আন্তর্জাতিক চাপের মুখে গম রপ্তানি চুক্তির মেয়াদ বাড়াতে আবারও তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তায়েপ এরদোয়ানের সঙ্গে বৈঠকে বসতে যাচ্ছেন পুতিন। আগামীকাল সোমবার রাশিয়ার ব্ল্যাক সি রিসোর্ট সোচিতে এই বৈঠক হতে পারে।