তীব্র শিলাবৃষ্টিতে অসময়ে বরফে ঢেকে গেছে ভারতের দার্জিলিং-সিকিম। বুধবার সকাল থেকে দার্জিলিংয়ের সান্দাকফু, মানেভঞ্জন, ঘুম, সোনাদা, গ্যাটক এবং জোরথাং ভ্যালিতে তীব্র শিলাবৃষ্টির ফলে এমন অবস্থার সৃষ্টি হয়।
দক্ষিণবঙ্গের জেলাগুলো যখন গরমে রীতিমতো পুড়ছে, তখন উত্তরবঙ্গের দার্জিলিংয়ে বৃষ্টি ও শিলাবৃষ্টি অনেকটাই স্বস্তি দিয়েছে পাহাড়বাসীকে। বৃষ্টি ও শিলাবৃষ্টির জেরে একধাক্কায় আরও তাপমাত্রা নেমে এসেছে উত্তরবঙ্গের পাহাড়ি এলাকায়। তবে অসময়ে এমন তীব্র শীলাবৃষ্টির ফলে ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন পাহাড়ের কমলালেবু ও অ্যাবোকাডো চাষিরা।
কলকাতার আলিপুর আবহাওয়া অধিদপ্তর জানায়, পশ্চিমবঙ্গের উত্তরবঙ্গ এবং দক্ষিণবঙ্গে বজ্রপাতসহ ভারী বৃষ্টি হতে পারে। উত্তরবঙ্গের কিছু জেলায় শিলা বৃষ্টি অব্যাহত থাকতে পারে। দার্জিলিং, জলপাইগুড়ি, কালিম্পং, কোচবিহারে ১৫ ও ১৬ তারিখে শিলাবৃষ্টি এবং ১৯ তারিখে দমকা হাওয়াসহ বৃষ্টি হতে পারে।
এছাড়া দক্ষিণবঙ্গে ১৬ মার্চ বজ্রপাতসহ বৃষ্টি, ১৭ তারিখে কিছু জেলায় শিলাবৃষ্টিসহ ঝোড়ো হাওয়া এবং ১৮ মার্চ থেকে কমতে পারে বৃষ্টি ও বাতাসের পরিমাণ।
আলিপুর আবহাওয়া অধিদপ্তরের অধিকর্তা সঞ্জিব বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, মানুষকে দামিনী মোবাইল অ্যাপ ডাউনলোড করতে বলব। আশেপাশের ২০ কিলোমিটার এলাকায় বজ্রপাত হবে কি না, তা দামিনী অ্যাপ থেকে জানা যাবে।
তিনি বলেন, শিলাবৃষ্টিতে সমতলের জমিতে নতুন আলু, আমের মুকুল, গরমের সবজি চাষে ক্ষতি হতে পারে। তাই কৃষকদের আগাম সতর্কবার্তা থেকে ব্যবস্থা নিতে বলব। শেষ বৃষ্টি দক্ষিণবঙ্গে হয়েছিল গত বছরের ২৫ অক্টোবর।