অসময়ে পদ্মার দৌলতদিয়া ফেরিঘাট এলাকায় চলছে তীব্র নদীভাঙন। নদীভাঙনের কবলে পড়া আতঙ্কিত এলাকাবাসী বলছেন, ঘাটের দক্ষিণ পাশের বালু কেটে নেওয়ায় এ ভাঙন শুরু হয়েছে।
জানা যায়, রাজবাড়ীর গোয়ালন্দ উপজেলার দৌলতদিয়ার ৬ নম্বর ফেরিঘাট এলাকায় গত শুক্রবার (৩ মে) সকাল থেকে নতুন করে ভাঙন দেখা দেয়। ওই দিন থেকেই ৬ নম্বর ঘাটটি দিয়ে ফেরি পারাপার বন্ধ রয়েছে।
এক সপ্তাহ পর সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, শুক্রবার (১০ মে) বিকেল পর্যন্ত ফেরিঘাটের মূল রাস্তাসহ ২৫-৩০ মিটার এলাকা নদীতে বিলীন হয়ে গেছে।
এদিকে ভাঙনকবলিত আশপাশের অসহায় লোকজন ভাঙন আতঙ্কে অন্যত্র দোকান, ব্যবসা কেন্দ্র ও ঘরবাড়ি ভেঙে সরিয়ে নিচ্ছেন।
তবে ভাঙন প্রতিরোধে বৃহস্পতিবার ও শুক্রবার (১০ মে) এ দুদিন বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআইডব্লিউটিএ) এক হাজার বালুভর্তি জিও ব্যাগ ফেলেছে বলে জানানো হয়েছে।
এ সময় গোয়ালন্দ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) জ্যোতি বিকাশ চন্দ্র ভাঙন স্থান পরিদর্শন করেন এবং নির্দেশনা দেন।
ভাঙন এলাকা ঘুরে আরও দেখা যায়, বিআইডব্লিউটিএ’র সহযোগিতায় ট্রলার থেকে বালুভর্তি করে নদীতে জিও ব্যাগ ফেলছেন শ্রমিকরা।
ভাঙনে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের সদস্যরা ক্ষোভ প্রকাশ করে এ প্রতিবেদককে বলেন, আগেভাগে ভাঙন প্রতিরোধে ব্যবস্থা নিলে এত বড় ক্ষতি কখনও হতো না।
বিআইডব্লিউটিএ’র উপ-সহকারী প্রকৌশলী মো. শহিদুল ইসলাম বলেন, বৃহস্পতিবার সকাল থেকে ট্রলার থেকে বালুভর্তি করে ভাঙন স্থানে জিও ব্যাগ ফেলা হচ্ছে। আপাতত ভাঙন ঠেকাতে জিও ব্যাগগুলো ফেলা হচ্ছে। স্থায়ী ভাঙন ঠেকাতে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন।
এ বিষয়ে গোয়ালন্দ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) জ্যোতি বিকাশ চন্দ্র ভাঙন স্থান পরিদর্শন শেষে বলেন, দৌলতদিয়া ৬ নম্বর ফেরিঘাটে হঠাৎ ভাঙনের খবর শুনে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। আপাতত ভাঙন ঠেকাতে বালুভর্তি জিও ব্যাগ ফেলা হচ্ছে।