জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রী ফাইরুজ সাদাফ অবন্তিকার আত্মহত্যার ঘটনায় গ্রেপ্তার হওয়ার দেড় মাসের বেশি সময় পর জামিনে মুক্তি পেয়েছেন শিক্ষক দ্বীন ইসলাম। আজ বুধবার কুমিল্লা কারাগার থেকে তিনি মুক্তি পান।
কুমিল্লার কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ফিরোজ হোসেন বলেন, অবন্তিকার আত্মহত্যায় প্ররোচনার মামলার আসামি জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের অব্যাহতিপ্রাপ্ত সহকারী প্রক্টর দ্বীন ইসলাম হাইকোর্ট থেকে জামিন পেয়েছেন। আজ দুপুরে তিনি বিষয়টি জানতে পেরেছেন।
গত ১৫ মার্চ রাতে ফেসবুকে একটি পোস্ট দিয়ে কুমিল্লা শহরের বাসায় আত্মহত্যা করেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের স্নাতকের শিক্ষার্থী অবন্তিকা। তাঁর কয়েকজন বন্ধু বলেন, তিনি ফেসবুক পোস্টে বিশ্ববিদ্যালয়ের এক সহপাঠীর বিরুদ্ধে যৌন হয়রানিসহ নানা ধরনের নিপীড়নের অভিযোগ করেন। ওই পোস্টে একজন সহকারী প্রক্টরের বিরুদ্ধে ছেলেটির পক্ষ নিয়ে তাঁর সঙ্গে খারাপ আচরণের অভিযোগও করেছেন।
এ ঘটনার পরদিন অবন্তিকার মা তাহমিনা বেগম বাদী হয়ে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যবস্থাপনা বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ও সহকারী প্রক্টর দ্বীন ইসলাম এবং অবন্তিকার সহপাঠী রায়হান সিদ্দিকীর বিরুদ্ধে কুমিল্লার কোতোয়ালি মডেল থানায় আত্মহত্যার প্ররোচনার অভিযোগে মামলা করেন। ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি) ১৭ মার্চ দুজনকে গ্রেপ্তার করে কুমিল্লা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করে।
দ্বীন ইসলামের গ্রামের বাড়ি কুমিল্লার মুরাদনগর উপজেলায়। অবন্তিকাকে যৌন হয়রানি করা শিক্ষার্থীকে সহায়তা করায় তাঁকে সাময়িক বরখাস্ত ও প্রক্টরিয়াল বডি থেকে অব্যাহতি দেয় জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।