নেইমারকে বেচে দিতে উঠেপড়ে লেগেছে পিএসজি। ক্লাবটির টার্গেট এখন ইংল্যান্ড। যেখানে চেলসি ছাড়াও ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড, নিউক্যাসলকে প্রস্তাব দিয়েছে। আর ফরাসি একাধিক দৈনিকের খবর, এরই মধ্যে নেইমারের প্রাইস ট্যাগও বেঁধে দিয়েছে তারা। যার অঙ্কটা বাংলাদেশি মুদ্রায় ৬৭৪ কোটিরও বেশি।
এর আগে ২০১৭ সালে বার্সা থেকে নেইমারকে আনতে ২২২ মিলিয়ন ইউরো খরচা করেছিল পিএসজি। সেই হিসাবে এই অর্থ কিছুই না। তবে অর্থের হিসাবটা না কষে সোজা অন্য কোনো ক্লাবে তাঁকে বেচে দিতেই চাইছে লিগ ওয়ানের জায়ান্টরা।
নেইমারের সঙ্গে রসায়নটা মিলছে না কিলিয়ান এমবাপ্পের। বিশ্বকাপের আগেই দু’জনের মধ্যে রশি টানাটানি চলেছিল। বিশ্বকাপের পর সেটা আরও বেড়ে যায়। এর পর তো কিলিয়ান চোটে পড়লে সব দায় পড়ে নেইমারের কাঁধে। লিগে মোনাকোর বিপক্ষে মেসি এবং কিলিয়ান খেলেননি। ওই ম্যাচে আক্রমণের মূল দায়িত্বে ছিলেন নেইমার। কিন্তু ম্যাচটা হেরে যাওয়ায় মেজাজ হারিয়ে বসেন ব্রাজিলিয়ান তারকা। সতীর্থদের ওপর চটে যাওয়ার পাশাপাশি দলের স্পোটিং ডিরেক্টর মারিও ক্যাম্পোসকেও শাসিয়েছেন। যেটা মোটেও ভালোভাবে নেননি পিএসজির ঊর্ধ্বতন কর্তারা। এর পরই তাঁকে বেচে দিতে আরও বেশি দৌড়ঝাঁপ শুরু করেন।
প্রথমে তাঁরা চেলসির সঙ্গে কথা বলেন। ফরাসি দৈনিক এল ইকুয়েপে জানিয়েছে, প্যারিসে ব্লুজদের অন্যতম মালিক বোহেলির সঙ্গে গোপন মিটিংও করেন পিএসজির মালিক খেলাইফি, যা নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমেও কানাঘুষা হয়।
গতকাল এক প্রতিবেদনে মার্কা বলেছে, নেইমারকে বেচতে প্রিমিয়ার লিগের আরও কয়েকটি ক্লাবের সঙ্গে প্রাথমিক কথা বলেছে পিএসজি। তাঁর ফি হিসাবে ৬০ মিলিয়ন ইউরো চাইছে ক্লাবটি। যদিও চুক্তি অনুযায়ী ২০২৫ সালের ৩০ জুন অবধি নেইমার পিএসজির খেলোয়াড়। এখন তার আগে দলটি চাইলে নামমাত্র মূল্যে কিংবা ধারেও অন্য কোনো ক্লাবে তাঁকে পাঠিয়ে দিতে পারবে।