২০৩৫ সাল নাগাদ চীনের পারমাণবিক অস্ত্রসংখ্যা তিন গুণ হতে পারে: পেন্টাগন

0
150
পারমাণবিক অস্ত্র মজুতের দিক থেকে যুক্তরাষ্ট্রের চেয়ে অনেকটা পিছিয়ে আছে চীন, ফাইল ছবি: রয়টার্স

চীনকে যুক্তরাষ্ট্রের জন্য সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ চ্যালেঞ্জ হিসেবে চিহ্নিত করেছে ওয়াশিংটন। চীনের সেনাবাহিনীসংক্রান্ত এই বার্ষিক প্রতিবেদনে বলা হয়, বেইজিং তার পারমাণবিক ও প্রচলিত অস্ত্রের উন্নয়ন করছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়, যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষা দপ্তরের হিসাব অনুযায়ী, চীনের কাছে মজুত থাকা পারমাণবিক যুদ্ধাস্ত্রের সংখ্যা ৪০০ ছাড়িয়ে গেছে। চীন যদি পারমাণবিক অস্ত্রের সংখ্যা বাড়ানোর এই গতি অব্যাহত রাখে, তাহলে ২০৩৫ সাল নাগাদ তা প্রায় দেড় হাজারে গিয়ে দাঁড়াবে।

এএফপি বলছে, পারমাণবিক অস্ত্র মজুতের দিক থেকে যুক্তরাষ্ট্র ও রাশিয়ার চেয়ে অনেকটা পিছিয়ে আছে বেইজিং। বর্তমানে দুই দেশের প্রত্যেকের কাছে কয়েক হাজার করে পারমাণবিক যুদ্ধাস্ত্রর মজুত রয়েছে।

পেন্টাগনের প্রতিবেদনে বলা হয়, পারমাণবিক অস্ত্র বহনে সক্ষম ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্রের আধুনিকায়নে কাজ করছে চীন। দেশটি ২০২১ সালে প্রায় ১৩৫টি ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্রের পরীক্ষা চালিয়েছে।

পেন্টাগনের মূল্যায়ন হলো, চীনের বিমানবাহিনীর দ্রুত অগ্রগতি হচ্ছে। তারা দ্রুত পশ্চিমা বিমানবাহিনীগুলোর সক্ষমতার পর্যায়ে চলে আসছে।

প্রতিবেদনটি প্রকাশের আগে যুক্তরাষ্ট্রের এক জ্যেষ্ঠ প্রতিরক্ষা কর্মকর্তা বলেন, চীনের বিমানবাহিনী সব ক্ষেত্রে দ্রুত অগ্রগতির চেষ্টা করছে। সরঞ্জামের উন্নয়নের পাশাপাশি তারা পাইলটসহ সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের দক্ষতা বাড়াচ্ছে।

গত আগস্টে মার্কিন প্রতিনিধি পরিষদের স্পিকার ন্যান্সি পেলোসির তাইওয়ান সফর চীনকে ক্ষুব্ধ করেছিল। এই সফরের প্রতিক্রিয়ায় তাইওয়ান ঘিরে বড় ধরনের সামরিক মহড়া চালিয়েছিল চীন। এ সময় চীন তার সামরিক সক্ষমতার নমুনা প্রদর্শন করেছিল।

যুক্তরাষ্ট্রের জ্যেষ্ঠ প্রতিরক্ষা কর্মকর্তারা বলছেন, তাইওয়ান ঘিরে চীনের আগ্রাসী সামরিক তৎপরতা এখন কমেছে। এর ফলে তারা তাইওয়ানে চীনের আক্রমণ আসন্ন বলে মনে করছেন না।

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.