১ লাখ ৩০ হাজার ডলারে ‘মহাশূন্যের কিনারে’ খাওয়া যাবে ‘মিশেলিন স্টার’

0
131
‘মহাশূন্যের কিনারে’ বসেই খাওয়া যাবে ‘মিশেলিন স্টার

‘মহাশূন্যের কিনারে’ বসেই খাওয়া যাবে ‘মিশেলিন স্টার’(অতি উৎকৃষ্ট মানের খাবার)। শুনতে অবাক লাগলেও যদি ফরাসি কোম্পানি জেফাল্টো চায় তবে সামনের বছরেই এটি সত্যি হতে পারে।

সাবেক এয়ার ট্রাফিক কন্টোলার ভিনসেন্ট ফ্যারেট ডি অস্তিসের মহাকাশ পর্যটন কেন্দ্রটি বর্তমানে একটি স্ট্র্যাটোস্ফিয়ারিক বেলুনের সঙ্গে সংযুক্ত ক্যাপসুলে করে ভ্রমণের জন্য অগ্রিম টিকিট বিক্রি শুরু করেছে। খবর সিএনএনের

এই ক্যাপসুলটি ভূপৃষ্ট থেকে ২৫ কিলোমিটার উচুতে আরোহণ করবে। যেখান থেকে ভ্রমণকারীরা পৃথিবীর বক্রতা দেখতে পারবে। এই বিস্ময়কর দৃশ্য উপভোগের সঙ্গে ভ্রমণপিপাসুরা মদ পান করতে পারবেন এবং দামি খাবার খেতে পারবেন।

অগ্রিম টিকিট বুকিং দেওয়া যাচ্ছে ১০ হাজার ইউরোতে। একটি টিকিট বিক্রির পর ক্রেতারা আরেকটি টিকিট সংরক্ষণ করার সুযোগ পান।

জেফাল্টো সিএনএন ট্রাভেলকে জানিয়েছে, ২০২৪ সালের শেষ থেকে ২০২৫ সালের মাঝামাঝি পর্যন্ত ফ্লাইটের আসনগুলো ইতিমধ্যে বাড়ানো হয়েছে। তারা এখন ২০২৫ সালের মাঝামাঝি সময়ের জন্য অগ্রিম টিকিট বিক্রি করছে।

এটি ছয়জন যাত্রী এবং দুইজন পাইলট নিয়ে প্রতি সেকেন্ডে চার মিটার গতিতে ৯০ মিনিটে সর্বোচ্চ উচ্চতায় নিয়ে যাওয়ার প্রতিজ্ঞা করছে। বলা হচ্ছে, ক্যাপসুলটি তিন ঘণ্টার জন্য পৃথিবীর উপরে ভাসবে এবং এটি কয়েক দফা খাবার খাওয়ার জন্য এবং ফ্রেঞ্চ ওয়াইন পানের জন্য পর্যাপ্ত সময়।

ভিনসেন্ট ফ্যারেট ডি অস্তিস সিএনএন ট্রাভেলকে বলেছেন, খাবার এবং পানীয়গুলো বিলাসবহুল হবে। মূলত পৃথিবীর দৃশ্য এবং সামগ্রিক যাত্রাটাই এর আকর্ষণের মূল কেন্দ্রবিন্দু। যা ভ্রমণপিপাসুদের প্রশংসা করতেই হবে বলে মনে করেন তিনি।

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.