হেডের স্পিন ঘূর্ণির পর শর্টের ঝড়ে ইংল্যান্ডকে হারিয়ে সিরিজ অস্ট্রেলিয়ার

0
53
অস্ট্রেলিয়া

বৃষ্টিবিঘ্নিত পঞ্চম ওয়ানডেতে ডাকওয়ার্থ লুইস-স্টার্ন (ডিএলএস) পদ্ধতিতে ইংল্যান্ডকে ৪৯ রানে হারিয়েছে অস্ট্রেলিয়া। ফলে পাঁচ ম্যাচের সিরিজ ৩-২ ব্যবধানে জিতলো অজিরা। আগে ব্যাট করতে নেমে বেঙ ডাকেকের সেঞ্চুরির পাশাপাশি হ্যারি ব্রুকের বিধ্বংসী ইনিংসে বড় রানের দিকে ছুটছিল স্বাগতিকরা। তবে ট্রাভিস হেডের স্পিন ঘূর্ণিতে ৪৯.২ ওভারে ৩০৯ রানে অলআউট হয় ইংল্যান্ড। লক্ষ্য তাড়ায় ম্যাথু শর্টের ঝড়ো ইনিংসে প্রথম ১০ ওভারেই ১০৩ রান তুলে নেয় সফরকারীরা। ২০.৪ ওভারে ২ উইকেটে ১৬৫ রান তোলার পর বৃষ্টি নামলে খেলা বন্ধ হয়ে যায়। এরপর আর খেলার পরিবেশ না ফেরায় রান রেটে এগিয়ে থাকায় জয় পায় অজিরা।

রোববার (২৯ সেপ্টেম্বর) ব্রিস্টলের কাউন্টি গ্রাউন্ডে টস জিতে আগে বোলিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন অস্ট্রেলিয়া অধিনায়ক স্টিভেন স্মিথ। ব্যাট করতে নেমে শুরুটা দারুণ হয় ইংল্যান্ডের। ৬.৫ ওভারে কোনো উইকেট না হারিয়ে ৭০ রান করেন ইংলিশ দুই ওপেনার ফিল সল্ট এবং বেন ডাকেট। সপ্তম ওভারের শেষ বলে সল্টকে আউট করে জুটি ভাঙেন অ্যারন হার্ডি। ৩ ছক্কা ও ৫ চারে ২৭ বলে ৪৫ রান করে ফেরেন সল্ট।

তিনে নেমে হার্ডির পরের ওভারে শূন্য রানে বিদায় নেন উইল জ্যাকস। পাওয়ার প্লেতে ইংল্যান্ড করে ২ উইকেটে ৭৩ রান। ব্রুক শুরুতে সময় নেন কিছুটা। প্রথম ২০ বলে তার রান ছিল ৯। এরপর জ্যাম্পাকে পরপর চার ও ছক্কায় রানের গতিতে দম দেন তিনি। জ্যাম্পার পরের ওভারে মারেন তিনটি ছক্কা। ডাকেট ফিফটি করেন ৪৫ বলে। ব্রুক পঞ্চাশ ছুঁয়ে ফেলেন ৩৯ বলেই। ২৪.৫ ওভারে ২ উইকেটে ২০২ রান তুলে নেয় স্বাগতিকরা।

এরপর ব্রুককে থামান জ্যাম্পা। ব্রুক যখন আউট হন তখন ৪০০ রানের বেশি করার সম্ভাবনা ছিল ইংলিশদের। তবে অধিনায়কের বিদায়ের পর হুট করেই ভেঙে পড়ে ইংলিশ ব্যাটিং লাইন। জেমি স্মিথ, লিয়াম লিভিংস্টোন কেউই হাল ধরতে পারেননি। তবে অন্যপ্রান্তে ঠিকই সেঞ্চুরি তুলে নেন ইংল্যান্ডের ওপেনার ব্যাটার ডাকেট। বাঁহাতি এই ব্যাটার সেঞ্চুরি পূর্ণ করেন ৮৬ বলে। ওয়ানডে ক্যারিয়ারের দুটি সেঞ্চুরিই করলেন তিনি একই মাঠে। গত বছর আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে তিনি ৭৮ বলে অপরাজিত ১০৭ রান করার পর বৃষ্টিতে ভেসে গিয়েছিল ম্যাচ।

সেঞ্চুরির পর ইনিংস টেনে নিতে পারেননি ডাকেট। প্রথমবার আক্রমণে এসে একটি ছক্কা হজমের পর তাকে বিদায় করেন হেড। নিজের তৃতীয় ও চতুর্থ ওভারে তিনি ফিরিয়ে দেন জেকব বেথেল ও ব্রাইডন কার্সকে। টেকেননি ম্যাথু পটসও। একটা পর্যায়ে ২ উইকেটে ২০২ থেকে ইংল্যান্ডের স্কোর হয়ে যায় ৯ উইকেটে ২৭৬! সেখান থেকে আদিল রাশিদের ৩৫ বলে ৩৬ রানের সুবাদে তিনশ ছাড়াতে পারে তারা।

বৃষ্টির পূর্বাভাস থাকায় জবাব দিতে নেমে ঝোড়ো শুরু করেন দুই অজি ওপেনার ট্রাভিস হেড এবং ম্যাথু শর্ট। ২৬ বলে ৩১ রান করে দলীয় ৭৮ রানে আউট হন হেড। শর্ট ফেরেন ১৩তম ওভারে দলীয় ১১৮ রানের মাথায়। তৃতীয় উইকেটে স্টিভ স্মিথ এবং জশ ইংলিশও রানের ধারা বজায় রেখেছেন আগের মতোই। ৪৮ বলে তারা গড়েন ৪৭ রানের জুটি।

অস্ট্রেলিয়ার ইনিংসের যখন ২০.৪ ওভার, তখন বৃষ্টি নামে। এই বৃষ্টির কারণে এরপর আর খেলা মাঠে গড়ায়নি। ডাকওয়ার্থ লুইস মেথডে অস্ট্রেলিয়া ৪৯ রানে এগিয়ে থাকায় তারা জয় পায়।

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.