মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার সময় নির্বাচন কমিশনে দাখিল করা সম্পদ বিবরণীর হলফনামায় হিরো আলম এসব তথ্য উল্লেখ করেছেন। হলফনামায় তিনি বলেছেন, তিনি স্বশিক্ষিত। আর তাঁর পেশা ব্যবসা।
হিরো আলম ২০১৮ সালের ৩০ ডিসেম্বর নির্বাচনে বগুড়া-৪ আসন থেকে স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়ে নির্বাচন করেন। ওই নির্বাচনে মনোনয়নপত্র ও হলফনামার সঙ্গে নির্বাচনী ব্যয় নির্বাহে অর্থপ্রাপ্তির সম্ভাব্য উৎস বিবরণী দাখিল করেছিলেন। সেখানে তিনি নির্বাচনে ১০ লাখ টাকা ব্যয়ের কথা জানিয়েছিলেন। এর মধ্যে নিজের অভিনয় ও ব্যবসা থেকে ৫ লাখ এবং শ্বশুর, ফুফা ও ভগ্নিপতির কাছ থেকে আরও ৫ লাখ টাকা ধার করে নির্বাচনী ব্যয় মেটানোর কথা জানিয়েছিলেন। তবে এবারের নির্বাচনী ব্যয়ের উৎস সম্পর্কে জানা যায়নি।
আয় সম্পর্কে জানতে চাইলে হিরো আলম বলেন, ‘সবাই জানে আমার কোনো কালোটাকা নেই। স্টেজ শো করে উপার্জন করি। চলচ্চিত্র প্রযোজনা ও অভিনয় করি। নাটক, চলচ্চিত্র ও মিউজিক ভিডিও নির্মাণের ব্যবসা করি। ইউটিউব থেকে আয় করি। এসব আয় থেকেই সৎভাবে জীবন যাপন করছি। একটু একটু করে সঞ্চয় জমিয়ে কিছু করার চেষ্টা করছি। হলফনামায় সম্পদের যে তথ্য দিয়েছি, সবই সৎভাবে উপার্জিত। কোনো অসৎ রোজগারের অর্থ আমার নেই।’
বগুড়া-৪ ও বগুড়া-৬ আসনের উপনির্বাচনে ন্যূনতম ১ শতাংশ ভোটারের স্বাক্ষরসহ সমর্থনসূচক তালিকায় গরমিল থাকার কথা জানিয়ে গতকাল রোববার হিরো আলমের মনোনয়নপত্র বাতিল করেন রিটার্নিং কর্মকর্তা ও জেলা প্রশাসক সাইফুল ইসলাম।
এলাকার ভোটারদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, বগুড়ার প্রত্যন্ত এরুলিয়া গ্রামে একসময় সিডি বিক্রি করতেন আশরাফুল আলম। সিডি যখন চলছিল না, তখন কেব্ল সংযোগ ব্যবসা শুরু করেন। সেই ব্যবসার সুবাদে তিনি মিউজিক ভিডিও তৈরি শুরু করেন। ইউটিউবে প্রায় ৫০০ মিউজিক ভিডিও ছাড়ার পর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ও গণমাধ্যমে আলোচনায় আসেন হিরো আলম। ইউটিউবে প্রকাশ করা তাঁর নিজস্ব ভিডিওগুলোও অনেক জনপ্রিয়। ভিডিওগুলোর নির্দেশনাও দেন তিনি। ভিডিওগুলোর মূল চরিত্রে তিনি নিজে অভিনয় করেন। ‘মার ছক্কা’ ও ‘সাহসী হিরো’ নামে দুটি চলচ্চিত্রে নায়ক চরিত্রে অভিনয় করেন তিনি। সব মিলিয়ে তাঁকে নিয়ে বেশ আলোচনা-সমালোচনা আছে।