চট্টগ্রামের হাটহাজারী উপজেলায় পারিবারিক দ্বন্দ্বে বড় ভাইকে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে ছোট ভাই মুহাম্মদ ইউসুফের (৫০) বিরুদ্ধে। নিহত বড় ভাই হলেন মো. আবু তাহের (৫৮)। গতকাল শনিবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে উপজেলার গড়দুয়ারা ইউনিয়নের লোহারপুর বাজার এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। এ সময় আহত হন আবু তাহেরের স্ত্রী, ছেলে ও অন্তঃসত্ত্বা পুত্রবধূ। এ ঘটনায় ইউসুফের স্ত্রী জহুরা খাতুনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
আজ রোববার সকালে মুহাম্মদ ইউসুফসহ সাতজনকে আসামি থানায় হত্যা মামলা করেন নিহতের ছেলে মুহাম্মদ এমরান।
পুলিশ ও স্থানীয় লোকজন জানান, গতকাল রাতে ওই বাড়ির উঠানে একটি বৈঠকখানা সরিয়ে নেওয়াকে কেন্দ্র করে দুই ভাইয়ের পরিবারের মধ্যে ঝগড়া হয়। বড় ভাই আবু তাহের এবং তাঁর ছেলেরা বৈঠকখানাটি ভেঙে দেন। এতে ক্ষুব্ধ হয়ে ছোট ভাই মুহাম্মদ ইউসুফ ও তাঁর ছেলেরা মিলে আবু তাহেরের ঘরে গিয়ে দা, কিরিচ ও লাঠিসোঁটা দিয়ে আবু তাহেরসহ পরিবারের সদস্যদের ওপর হামলা করেন। একপর্যায়ে আবু তাহের মাটিতে লুটিয়ে পড়লে তাঁকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন। এ ঘটনায় নিহতের ছেলে মুহাম্মদ আজম (৩৫) ও স্ত্রী নূর নাহার বেগম (৫০) এবং অন্তঃসত্ত্বা পুত্রবধূ এ্যানি আকতার (২২) আহত হন। আহতরা বর্তমানে বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
মুহাম্মদ এমরান বলেন, বাড়ির উঠানে বৈঠকখানায় বখাটেদের নিয়ে আড্ডা দিতেন তাঁর চাচার ছেলেরা। পরিবারের শৃঙ্খলা রক্ষার্থে বৈঠকখানাটি ভেঙে দিলে তাঁদের ওপর হামলা করা হয়। এতে তাঁর মা, ভাবি ও বড় ভাই গুরুতর আহত হন। ঘটনার পর হামলাকারীরা তাঁর বাবাকে নিয়ে হাসপাতালে যেতেও বাধা দেন।
গড়দুয়ারা ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান সরোয়ার মোরশেদ তালুকদার বলেন, দুই ভাইয়ের মধ্যে জায়গাজমির দখল এবং বাড়ির উঠানে একটি বৈঠকখানা নিয়ে দ্বন্দ্ব ছিল।
হাটহাজারী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুহাম্মদ মনিরুজ্জামান বলেন, গতকাল রাতে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে পুলিশ লাশ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়। আজ সকালে লাশটি ময়নাতদন্তের জন্য চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ফরেনসিক বিভাগে পাঠানো হয়েছে। মামলার এক আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বাকি আসামিরা পালাতক।