সড়ক পরিবহন আইনের দাঁড়ি-কমাও পরিবর্তন হয়নি: সড়ক পরিবহন সচিব

0
296
রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবের মাওলানা আকরম খাঁ মিলনায়তনে নিরাপদ সড়ক চাই (নিসচা) আয়োজিত ‘রাউন্ড দ্য ওয়ার্ল্ড, রাউন্ড দ্য টেবিল’ শীর্ষক অনুষ্ঠানে বক্তব্য দিচ্ছেন নিসচার চেয়ারম্যান ইলিয়াস কাঞ্চন। ঢাকা, ২৭ অক্টোবর।

সড়ক পরিবহন আইনটি যেভাবে সংসদে পাস হয়েছে, সেভাবেই কার্যকর করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. নজরুল ইসলাম। তিনি বলেন, এই আইনে কোনো দাঁড়ি-কমা কিছুই পরিবর্তন করা হয়নি। সব শ্রেণি-পেশার মানুষের সহযোগিতা লাগবে। পুলিশের ভয় দেখিয়ে আইনটি কার্যকর করা সমীচীন হবে না।

রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবের মাওলানা আকরম খাঁ মিলনায়তনে আজ রোববার দুপুর সোয়া ১২টার দিকে ‘রাউন্ড দ্য ওয়ার্ল্ড, রাউন্ড দ্য টেবিল’ শীর্ষক অনুষ্ঠানে সচিব মো. নজরুল ইসলাম এসব কথা বলেন। নিরাপদ সড়ক চাই (নিসচা) এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে সচিব মো. নজরুল ইসলাম বলেন, সড়ক পরিবহন আইন ১ নভেম্বর থেকে কার্যকর হতে যাচ্ছে। গেজেট প্রকাশিত হয়েছে। এই আইন বিষয়ে সচেতনতা তৈরি করতে নিসচা কাজ করছে। আইন মেনে চলার জন্য পরিবেশ সৃষ্টি প্রয়োজন। এই আইনটি কিন্তু ঘরে বসে তৈরি হয়নি। আইনটি করার সময় বিভিন্ন সভা করে সব অংশীজনের মতামত নেওয়া হয়েছে।

মো. নজরুল ইসলাম জানান, নিরাপদ সড়কের ক্ষেত্রে এই সরকারের আন্তরিকতা আছে। সরকার এই বিষয়টিকে গুরুত্ব দিচ্ছে। অনেক উদ্যোগের মধ্যে তিন লাখ চালককে প্রশিক্ষণ দেওয়ার পরিকল্পনা আছে। দূরপাল্লার চালকদের বিশ্রামের জন্য দেশের খুলনা, সিলেট, চট্টগ্রাম ও রংপুর—এই চারটি অঞ্চলে প্রাথমিক পর্যায়ে জাতীয় মহাসড়ক বিশ্রামাগার তৈরি করা হচ্ছে।

অনুষ্ঠানে নিসচা এবং সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের মধ্যে একটি চুক্তি সম্পাদিত হয়। ওই সমঝোতা চুক্তি অনুযায়ী, মন্ত্রণালয় ও নিসচার যৌথ উদ্যোগে ২০২৫ সালের মধ্যে প্রায় পাঁচ লাখ চালককে যথাযথ প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে। পাশাপাশি সড়ক পরিবহন আইন যেন সব চালক মেনে চলেন, তার জন্য ২০২৫ সালের মধ্যে ‘জিরো টলারেন্স নীতি’ বাস্তবায়ন করা হবে। ঢাকা, ২৭ অক্টোবর।

সভাপতির বক্তব্যে নিসচার চেয়ারম্যান ইলিয়াস কাঞ্চন বলেন, ‘রাউন্ড দ্য ওয়ার্ল্ড, রাউন্ড দ্য টেবিল মানে জাতিসংঘে যেসব দেশ সই করেছে যে ৫০ ভাগ দুর্ঘটনা কমিয়ে আনবে, সেসব দেশেই এই আয়োজন হচ্ছে। ২০২৫ সালের মধ্যে পাঁচ লাখ চালককে প্রশিক্ষণের আওতায় নিয়ে আসব, আমরা কথা দিচ্ছি।’

অনুষ্ঠানে আলোচনা শেষে নিসচা এবং সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের মধ্যে একটি চুক্তি সম্পাদিত হয়। ওই সমঝোতা চুক্তি অনুযায়ী, মন্ত্রণালয় ও নিসচার যৌথ উদ্যোগে ২০২৫ সালের মধ্যে প্রায় পাঁচ লাখ চালককে যথাযথ প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে। পাশাপাশি সড়ক পরিবহন আইন যেন সব চালক মেনে চলেন, তার জন্য ২০২৫ সালের মধ্যে ‘জিরো টলারেন্স নীতি’ বাস্তবায়ন করা হবে। প্রশিক্ষণের প্রকল্পটি আগামী ডিসেম্বর থেকে শুরু হতে যাচ্ছে। ৬০ ভাগ চালককে প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে। বাকি ৪০ ভাগ চালকের প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে সরকারি ও বেসরকারি পর্যায় থেকে।

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.