‘স্বপ্নের শহর’ ভিয়েনা যে কারণে বাসযোগ্য শহরের শীর্ষে

0
161
ভিয়েনা শহর

ডাক নাম ‘স্বপ্নের শহর’। বসবাস করার জন্য স্বপ্নের জায়গা হতে পারে আপনারও। বলছি অস্ট্রিয়ার রাজধানী ভিয়েনার কথা।

দানিউব নদীর তীরের এই শহরটির অবস্থান বর্তমানে বিশ্বের বাসযোগ্য শহরের শীর্ষে। দ্য ইকোনমিস্টের সহযোগী সংস্থা ইকোনমিস্ট ইন্টেলিজেন্স ইউনিট (ইআইইউ) বিশ্বের সবচেয়ে বাসযোগ্য শহরের তালিকা প্রকাশ করেছে। তাদের এই জরিপে ২০২৩ সালের জন্য ভিয়েনা আবারও শীর্ষে উঠে এসেছে। খবর-সিএনএন

স্বাস্থ্যসেবা, শিক্ষা, স্থিতিশীলতা, অবকাঠামো ও পরিবেশসহ বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ের উপর বিশ্বের ১৭৩টি শহরকে এই তালিকায় স্থান দিয়েছে ইআইইউ।

ভিয়েনার অবকাঠামো, সংস্কৃতি, বিনোদন, শিক্ষা ও স্বাস্থ্য সেবার প্রশংসা করা হয়েছে বৈশ্বিক এ তালিকায়। ভিয়েনা দীর্ঘদিন ধরে বাসযোগ্য শহরের তালিকায় রয়েছে।

ভিয়েনা কেন তালিকার শীর্ষে- এ নিয়ে গার্ডিয়ানের এক প্রতিবেদন বলছে, প্রায় ২০ লাখ জনসংখ্যার এই শহরের বাসিন্দাদের প্রধান আকর্ষণ হলো স্থিতিশীলতা ও শক্তিশালী অবকাঠামো। এছাড়া ভালো স্বাস্থ্যসেবা এবং সংস্কৃতি ও বিনোদনের প্রচুর সুযোগ রয়েছে এখানে।

ভিয়েনার পরের অবস্থান ডেনমার্কের কোপেনহেগেন। অস্ট্রেলিয়ার মেলবোর্ন ও সিডনি সাম্প্রতিক বছরগুলোতে তালিকার নিচে চলে গিয়েছিল। সিডনি সম্প্রতি শীর্ষ ১০ তালিকা থেকে বাদ পড়ে। মেলবোর্ন ২০২২ সালে জাপানের ওসাকার সঙ্গে ১০ তম স্থানে ছিল।

এই দুই শহরই তৃতীয় ও চতুর্থ স্থানে ফিরে এসেছে।

কানাডার তিনটি শহর রয়েছে এই তালিকায়। শহরগুলো হলো ক্যালগেরি, ভ্যাঙ্কুভার ও টরন্টো।

কানাডার ক্যালগেরি শহর

এছাড়া সুইজারল্যান্ডের দুটি শহর রয়েছে তালিকায়। জুরিখ ষষ্ঠ ও জেনেভা ক্যালগারির সঙ্গে যৌথভাবে সপ্তম স্থানে রয়েছে।

জাপানের ওসাকা রয়েছে দশম অবস্থানে।

ইআইইউ এর জরিপ বলছে, তালিকার শীর্ষে থাকা ১০ শহরে স্বাস্থ্যসেবার স্কোর সবচেয়ে বেশি উন্নত। এসব শহর শিক্ষা, সংস্কৃতি, বিনোদন ও অবকাঠামোর ক্ষেত্রেও এগিয়ে।

এদিকে আলজেরিয়ার আলজিয়ার্স, লিবিয়ার ত্রিপোলি ও সিরিয়ার দামেস্ক বিশ্বের এই তিনটি শহর সবচেয়ে কম বাসযোগ্য শহরের তালিকায় স্থান পেয়েছে।

দামেস্ক ধারাবাহিকভাবে জরিপের সর্বনিম্ন র‌্যাঙ্কের শহরগুলোর মধ্যে একটি। এই বছর বসবাস যোগ্যতার স্কোরে কোনো উন্নতি দেখাতে পারেনি।

বাসযোগ্য শহরের শীর্ষে ১০ দেশের তালিকা 

১. ভিয়েনা, অস্ট্রিয়া

অস্ট্রিয়ার রাজধানী ভিয়েনা।

২. কোপেনহেগেন, ডেনমার্ক

৩. মেলবোর্ন, অস্ট্রেলিয়া

৪. সিডনি, অস্ট্রেলিয়া

৫. ভ্যাঙ্কুভার, কানাডা

৬. জুরিখ, সুইজারল্যান্ড

৭. ক্যালগেরি, কানাডা

৮. জেনেভা, সুইজারল্যান্ড

৯. টরন্টো, কানাডা

১০. ওসাকা, জাপান

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.