চলতি মাসের শুরুর দিকে বেইজিংয়ে চীনের মধ্যস্ততায় এক চুক্তিতে পৌঁছায় ইরান ও সৌদি আরব। এর মধ্য দিয়ে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কে উষ্ণতা ফেরাতে উদ্যোগ নেওয়ার কথা জানায় মধ্যপ্রাচ্যের ভূরাজনীতিতে চির বৈরী এই দুই দেশ। কূটনৈতিক ও বাণিজ্যিক সম্পর্ক পুনঃস্থাপনে ঐকমত্যে পৌঁছায় দেশ দুটি।
বিশ্লেষকদের অনেকের মতে, মধ্যপ্রাচ্যে চীনের ক্রমবর্ধমান প্রভাবের প্রমাণ মেলে ইরান ও সৌদি আরবের সম্পর্ক পুনঃস্থাপনের এই উদ্যোগে।
ওই সময় সৌদি আরবের রাষ্ট্রায়ত্ত্ব সংবাদমাধ্যম এসপিএর এক প্রতিবেদনে বলা হয়, সুন্নি সৌদি আরবের সঙ্গে শিয়া ইরানের সম্পর্কোন্নয়নের প্রক্রিয়ায় সমর্থন রয়েছে যুবরাজ সালমানের।
সৌদি ও ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রীরা শিগগির সাক্ষাৎ করবেন
২০১৬ সালে শিয়া সম্প্রদায়ের প্রভাবশালী ধর্মীয় নেতা নিমর আল-নিমরের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করে সৌদি আরব। এই ঘটনার প্রতিবাদে তেহরানে অবস্থিত সৌদি দূতাবাসে হামলা চালান ইরানের বিক্ষোভকারী ব্যক্তিরা। এর জেরে ইরানের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক ছেদ করে সৌদি আরব।
এখন সমঝোতা অনুযায়ী, আগামী দুই মাসের মধ্যে দেশ দুটি আবার দূতাবাস ও কনস্যুলেট চালু করবে। এ ছাড়া ২০ বছরের বেশি আগে দুই দেশের মধ্যে সই হওয়া নিরাপত্তা ও অর্থনৈতিক সহযোগিতা চুক্তি তারা বাস্তবায়ন করবে বলে আশা করা হচ্ছে।
চীনের মধ্যস্থতায় সৌদি–ইরান চুক্তি যে বার্তা দিচ্ছে
এ ছাড়া পবিত্র রমজান মাস শেষ হওয়ার আগেই সাক্ষাৎ করার পরিকল্পনা করেছেন সৌদি আরবের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ফয়সাল বিন ফারহান ও ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী হোসেইন আমির আবদুল্লাহিয়ান।
সম্পর্কোন্নয়নের অংশ হিসেবে ইরানের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসি সৌদি আরবের বাদশাহ সালমানের কাছ থেকে রিয়াদ সফরের আমন্ত্রণ পেয়েছেন।