জামালপুরের বকশীগঞ্জে সাংবাদিক গোলাম রব্বানি হত্যার ঘটনায় অভিযুক্ত সাধুরপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান মাহমুদুল আলম ওরফে বাবুকে আটক করা হয়েছে। জামালপুর জেলা পুলিশের এক কর্মকর্তা এই তথ্য জানিয়েছেন।
এ বিষয়ে পঞ্চগড়ের দেবীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জামাল হোসেন বলেন, আজ শনিবার সকালে উপজেলার চিলাহাটি ইউনিয়নের চর তিস্তাপাড়া থেকে র্যাবের একটি দল মাহমুদুল আলমকে ধরে নিয়ে গেছেন বলে শুনেছেন। তবে আনুষ্ঠানিকভাবে তাঁদের কিছু জানানো হয়নি।
চিলাহাটি ইউনিয়ন পরিষদের ৩ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য লুৎফর রহমান বলেন, ভোর সাড়ে ৫টার দিকে র্যাবের একটি দল এসে মাহমুদুল আলমসহ তিনজনকে ধরে নিয়ে গেছে। এই তিনজন গতকাল শুক্রবার সন্ধ্যায় চর তিস্তাপাড়ার ওই বাড়িতে এসেছিলেন।
মাহমুদুল আলম সাধুরপাড়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় তাঁকে গতকাল রাতে বহিষ্কার করেছে বকশীগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগ। তাঁর নির্দেশেই সাংবাদিক গোলাম রব্বানিকে হত্যা করা হয়েছে বলে অভিযোগ স্বজন ও সহকর্মীদের। পুলিশও প্রাথমিক তদন্তে এ অভিযোগের সত্যতা পেয়েছে।
গত বুধবার রাত ১০টার দিকে বাড়িতে ফেরার পথে বকশীগঞ্জের পাটহাটি মোড়ে সন্ত্রাসী হামলার শিকার হন সাংবাদিক গোলাম রব্বানি। এ সময় তাঁকে ব্যাপক মারধর করা হয়। একপর্যায়ে তিনি অচেতন হয়ে পড়লে সন্ত্রাসীরা তাঁকে ফেলে পালিয়ে যায়। ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় গত বৃহস্পতিবার দুপুরে তাঁর মৃত্যু হয়।
জামালপুরের পুলিশ সুপার নাছির উদ্দিন আহমেদ আজ শনিবার সকাল ১০টা ৪০ মিনিটে বলেন, এ ঘটনায় মামলা দায়েরের প্রক্রিয়া চলছে। খুব দ্রুত সময়ের মধ্যে মামলা দায়ের হবে। পরে একটি সংবাদ সম্মেলনও হবে। সেখানে বিস্তারিত জানানো হবে।
রব্বানি অনলাইন নিউজ পোর্টাল বাংলা নিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমের জামালপুর জেলা প্রতিনিধি ছিলেন। একই সঙ্গে তিনি একাত্তর টিভির বকশীগঞ্জ উপজেলার সংবাদ সংগ্রাহক হিসেবে দায়িত্ব পালন করতেন। উপজেলা শহরের গরুহাটি কাছারিপাড়ায় পরিবার নিয়ে বসবাস করতেন গোলাম রব্বানি।