প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ২০০৮-এ ঘোষণা দিয়েছিলাম ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ে তুলব, সারা দেশে ডিজিটাল সেন্টার গড়ে তুলেছি। প্রথমে তথ্যকেন্দ্র পরে ডিজিটাল সেন্টার করি। আজ সারা দেশে প্রায় ৮ হাজারের মতো ডিজিটাল সেন্টার আছে। যেখান থেকে মানুষকে বিভিন্ন ধরনের সেবা দিয়ে যাচ্ছে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, সমগ্র গ্রামবাংলার ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ পৌঁছে দিয়েছি।ওয়াইফাই কানেকশনের মাধ্যমে সারা বিশ্বের সঙ্গে যোগাযোগের সুযোগটাও আমরা করে দিয়েছি।
রোববার (২৫ ফেব্রুয়ারি) সকালে বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে জাতীয় স্থানীয় সরকার দিবস-২০২৪ উদযাপন অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
সরকারপ্রধান বলেন, আওয়ামী লীগ যখন বিরোধী দলে ছিল তখন একটি কমিশন গঠন করি। ৯৬ সালে যখন সরকারে আসি তখনই ওয়ার্ড থেকে নিয়ে ইউনিয়ন পর্যায়ে, উপজেলা, জেলা পর্যন্ত আইন পাস করি। জেলা পরিষদ আইন সেসময় করে দেই। জনপ্রতিনিধির মাধ্যমে উন্নয়নের সার্বিক কাজ হয়, সে ব্যবস্থাটাও আমরা নিয়েছিলাম।
সরকারপ্রধান আরও বলেন, মানুষের আত্মসামাজিক উন্নয়ন এবং শোষণ থেকে রক্ষা করার জন্য জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান দেশ স্বাধীন করেন। একটা যুদ্ধ বিধ্বস্ত দেশের দায়িত্বভার তিনি হাতে নেন। তার স্বপ্ন ছিল বাংলাদেশের মানুষের অন্য, বস্ত্র, বাসস্থান, শিক্ষা, চিকিৎসা ব্যবস্থা করা। সেই স্বপ্ন নিয়ে তিনি স্বাধীনতা পর একটি সংবিধান দেন। মাত্র ১০ মাসের মধ্যে সংবিধান প্রণয়ন করা হয়।
শেখ হাসিনা বলেন, ২০০৯ সালে ক্ষমতায় আসার পর আমরা ইউনিয়ন, উপজেলা, জেলা, পৌরসভা, সিটি কর্পোরেশনকে শক্তিশালী করি। জনপ্রতিনিধিদের নেতৃত্বে যেন এগুলো গড়ে ওঠে সেই ব্যবস্থাটা আমরা নিয়েছি। আমাদের লক্ষ্য হচ্ছে দেশের সার্বিক উন্নয়ন।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম।
এসময় আরো বক্তব্য রাখেন- ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়র আতিকুল ইসলাম, বরিশাল সিটি করপোরেশনের মেয়র আবুল খায়ের আব্দুল্লাহ, শরীয়তপুর জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ছাবেদুর রহমান খোকা সিকদার, পঞ্চগড় পৌরসভা মেয়র জাকিয়া খাতুন, জগদল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান হুমায়ুন রশিদ লাভলু ও বাঘা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান অ্যাড. মো. লায়েব উদ্দিন লাভলু প্রমুখ।