বাংলাদেশের জন্য ৪৭০ কোটি ডলার ঋণ অনুমোদনের প্রায় তিন মাস পর ঢাকায় স্টাফ কনসালটেশন মিশন পাঠাচ্ছে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ)। মঙ্গলবার ভোরে সংস্থাটির এশিয়া ও প্যাসিফিক বিভাগের প্রধান রাহুল আনন্দের নেতৃত্ব পাঁচ সদস্যের একটি প্রতিনিধিদলের ঢাকায় পৌঁছার কথা রয়েছে।
প্রতিনিধিদলটি মঙ্গলবার সকাল ৯টা থেকে বাংলাদেশ ব্যংকের বিভিন্ন বিভাগের সঙ্গে এবং বেলা সাড়ে ১২টায় অর্থ মন্ত্রণালয়ের অর্থ বিভাগের সিনিয়র সচিব ফাতিমা ইয়াসমিনের সঙ্গে বৈঠক করবে। তাছাড়া মিশনটির ২ মে পর্যন্ত আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগ ও অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগ (ইআরডি) জাতীয় রাজস্ব বোর্ডসহ সরকারের বিভিন্ন সংস্থার সঙ্গে বৈঠক করার কথা রয়েছে। মূলত বাজেট-সহায়তা হিসেবে দেওয়া অর্থের ব্যবহারের শর্ত পূরণের বিষয়ে এসব বৈঠকে আলোচনা হবে। একই সঙ্গে ঋণ কর্মসূচিও আলোচনায় থাকবে বলে অর্থ বিভাগ সূত্রে জানা গেছে।
আইএমএফ গত ৩০ জানুয়ারি বাংলাদেশের জন্য ৪৭০ কোটি ডলার ঋণ প্রস্তাব অনুমোদন করে। এর মধ্যে এক্সটেনডেড ক্রেডিট ফ্যাসিলিটি (ইসিএফ) বা বর্ধিত ঋণসুবিধা ও এক্সটেনডেড ফান্ড ফ্যাসিলিটি (ইএএফএফ) বা বর্ধিত তহবিল সুবিধার আওতায় ৩ দশমিক ৩ বিলিয়ন বা ৩৩০ কোটি মার্কিন ডলার এবং নতুন গঠিত তহবিল রেজিলিয়েন্স অ্যান্ড সাসটেইনেবিলিটি ফ্যাসিলিটির (আরএসএফ) আওতায় আরও ১ দশমিক ৪ বিলিয়ন বা ১৪০ কোটি ডলারের ঋণ অনুমোদন করা হয়েছে। ঋণ প্রস্তাব অনুমোদনের তিন দিন পরই প্রথম কিস্তিতে ছাড় করে ৪৭ কোটি ৬২ লাখ ৭০ হাজার ডলার। ২০২৬ সাল পর্যন্ত সাড়ে তিন বছরে মোট সাত কিস্তিতে ঋণের পুরো অর্থ দেবে আইএমএম।
জানা গেছে, আইএমএফের ঋণ নিতে ছোট-বড় ৩৮টি শর্ত পূরণ করতে হবে বাংলাদেশকে। শর্তগুলোর মধ্যে বেশির ভাগই আর্থিক খাতের সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত। আর্থিক খাতের মধ্যে আবার বড় অংশ জুড়ে রয়েছে ব্যাংক খাত, যার মধ্যে উল্লেখযোগ্য অংশ রয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের দায়িত্বে। এর মধ্যে গত মার্চ পর্যন্ত অর্জন এবং আগামী জুন ও সেপ্টেম্বরের মধ্যে যেগুলো বাস্তবায়ন করতে হবে সেগুলোর বাস্তবায়ন পরিস্থিতি যাচাই করবে এবারের মিশন। এছাড়া ২০২৪ সালের জুনের মধ্যে যেসব শর্ত বাস্তবায়নের অঙ্গীকার করেছে সরকার, সেগুলো বাস্তবায়নের জন্য আসছে বাজেটে কী কী উদ্যোগ থাকছে, তা-ও পর্যালোচনা করা হবে।