দিনের প্রথম সেশনে দ্রুত দুই উইকেট নিয়ে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে চাপে ফেলেছিল বাংলাদেশ। কিন্তু সময় গড়াতেই বাংলাদেশের মাথাব্যথার কারণ হয়ে দাঁড়ায় দুই ক্যারিবিয়ান ব্যাটার মিকাইল লুইস ও আলিক অ্যাথানেজকে। জুটি গড়ে দুজনের ছুটতে থাকেন শতকের পথে। কিন্তু দুজনের কারও প্রত্যাশা পূরণ হতে দেয়নি বাংলাদেশ। দিনের শেষভাগে নার্ভাস নাইন্টিতে দুজনকে মাঠ ছাড়া করে প্রথম দিনের ইতি টানে বাংলাদেশ। আলোর স্বল্পতায় দিনের খেলার ছয় ওভার বাকি থাকতেই শেষ হয়েছে প্রথম দিনের খেলা। লুইসের ৯৭, অ্যাথানেজের ৯০ রানে ভর করে পাঁচ উইকেটে ২৫০ রান তুলে প্রথম দিনের খেলা শেষ করেছে উইন্ডিজ।
এন্টিগায় ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে সিরিজের প্রথম টেস্টে টস জিতে বোলিং নেয় বাংলাদেশ। ভালো শুরু করা উইন্ডিজের ব্যাটিং অর্ডারে প্রথম ধাক্কা দেন তাসকিন আহমেদ। অধিনায়ক ক্রেগ ব্রাথওয়েটকে ফেরান তিনি। এক ওভার বাদে আবার বোলিংয়ে ফিরে আউট করে দেন কেসি কার্টিকে। ৮ বল খেলে কোনো রান না করেই সাজঘরে ফেরেন এই ব্যাটসম্যান।
দ্বিতীয় সেশনে সাবধানী ব্যাটিংয়ে চাপ সামাল দেওয়ার চেষ্টা করতে থাকেন লুইস-হজ। কিন্তু এ জুটি হাফ সেঞ্চুরি পেরোতেই আবারও ছন্দপতন। ৩৮ ওভারের তৃতীয় বলে দুই রান নিতে গিয়ে তাইজুলের থ্রোতে রান আউট হন হজ। ভেঙে যায় ৫৯ রানের জুটি। ফেরার আগে করেন ৬৩ বলে ২৫ রান।
তার বিদায়ের পর থেকে সাবধানী ব্যাটিং শুরু করেন লুইস ও অ্যাথানেজ। প্রথম দুই সেশনে রান তোলার গতি কিছুটা মন্থর থাকলেও তৃতীয় সেশনে হাত খোলেন এই দুই ব্যাটার। তাদের ওপর ভর করে দলের দুইশ রানও হয়, জুুটিতে আসে একশ। শেষ অবধি স্বস্তির উইকেটটি এনে দেন মিরাজ। লুইসের ক্যাচ ফেলে দেওয়া এই ক্রিকেটারের বলেই ফিরেন তিনি। ২১৮ বলে ৯৭ রান আসে তার ব্যাট থেকে। চতুর্থ উইকেটে অ্যাথানজের সঙ্গে ১৪০ রানের জুটি ছিল তার। সেঞ্চুরি করতে না পারার আফসোস সঙ্গী হয়েছে অ্যাথানজেরও। ১৩০ বলে ৯০ রান করে তাইজুলকে সুইপ করতে গিয়ে উইকেটরক্ষক লিটনের হাতে ক্যাচ দেন তিনি। দিনশেষেও এতটুকুতেই সন্তুষ্ট থাকতে হয়েছে বাংলাদেশকে।
জশুয়া দা সিলভা ১৪ ও গ্রিভস ১১ রানে ক্রিজে অপরাজিত। দ্বিতীয় দিনে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে যত দ্রুত সম্ভব অলআউট করতে চাইবে বাংলাদেশ। বিপরীতে ওয়েস্ট ইন্ডিজ চাইবে আরও অন্তত দুইটা সেশন পার করে বাংলাদেশের সামনে যতটা সম্ভব চ্যালেঞ্জিং লিড রাখতে।