ঈদুল আজহা উদযাপন করতে বাড়ি ফিরছেন দক্ষিণ-পশ্চিম বঙ্গের মানুষ। তবে এবার ঢাকা-মাওয়া-ভাঙ্গা এক্সপ্রেসওয়েতে গাড়ির চাপ বাড়লেও যানজট দেখা যায়নি। যানবাহনের চাপ নেই টোল প্লাজা এলাকায়ও।মঙ্গলবার দুপুরে পদ্মা সেতুর টোল প্লাজা এলাকা ও ঢাকা-মাওয়া ভাঙ্গা এক্সপ্রেসওয়েতে এমন চিত্র দেখা গেছে।
মুন্সীগঞ্জ সড়ক ও জনপদের নির্বাহী প্রকৌশলী মোহাম্মদ নাহীন রেজা সমকালকে বলেন, ‘ঢাকা-মাওয়া-ভাঙ্গা এক্সপ্রেসওয়ের ধলেশ্বরী টোল প্লাজায় টোল বুথ রয়েছে ১৪টি। অতিরিক্ত জনবলও নিয়োজিত রয়েছে। ঈদযাত্রায় এখনও গাড়ির তেমন একটা চাপ পড়েনি। দুই প্রান্তে আসা-যাওয়ায় দুটি অটোমেটিক টোল কালেকশন বুথ রয়েছে। কোনো দুর্ঘটনা না ঘটলে যানবাহনের তেমন একটা চাপ পড়বে না টোলপ্লাজা এবং মহাসড়কে।’ তিনি বলেন, যেহেতু বৃষ্টি হচ্ছে, যানবাহনের চালকদের প্রতি অনুরোধ থাকবে অতিরিক্ত স্পিড ও ওভারটেকিং না করে নির্দিষ্ট গতিতে গাড়ি চালানোর।
পদ্মা সেতু সাইট অফিসের অতিরিক্ত পরিচালক মো. আমিরুল হায়দার চৌধুরী বলেন, যানবাহনের শৃঙ্খলা আর যাত্রীদের নিরাপত্তায় রাতে বিশেষ তৎপর আইনশৃংখলা বাহিনী। দুর্ঘটনা এড়াতে চালকদের সতর্ক থাকতে হবে।
তিনি বলেন, মঙ্গলবার দুপুর পর্যন্ত পদ্মা সেতুর টোল প্লাজার সামনে তেমন চাপ নেই। নির্বিঘ্নে গাড়ি আসছে, টোল দিয়ে পাড়ি দিতে পারছে পদ্মা সেতু।
হাসাড়া হাইওয়ের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা এস এম রাশেদ জানান, মঙ্গলবার সকাল থেকে মহাসড়কে গাড়ির চাপ বেড়েছে। তবে কোনো যানজট নেই। পদ্মা সেতু ট্রোল এলাকায় যানজট খুব একটা লক্ষ্য করা যায়নি। অল্প সমযয়ে টোল দিয়ে এক্সপ্রেসওয়ে টোল বুথ ও পদ্মা টোল বুথ অতিক্রম করা যাচ্ছে।
পুলিশের এই কর্মকর্তা বলেন, এক্সপ্রেসওয়ের বিভিন্ন পয়েন্টে আমাদের অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়ন রয়েছে। গাড়ির অতিরিক্ত গতি রোধে কাজ করে যাচ্ছি।