গাজীপুর সিটি করপোরেশনের মেয়র পদ থেকে জাহাঙ্গীর আলমকে সাময়িক বরখাস্তের বৈধতা প্রশ্নে রায় পিছিয়েছে। এ বিষয়ে আগামী ২ মে রায়ের দিন ধার্য করেছেন হাইকোর্ট।
বিচারপতি জাফর আহমেদ ও বিচারপতি মো. বশির উল্লাহ সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ মঙ্গলবার রাষ্ট্রপক্ষের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে রায়ের এ দিন ধার্য করেন। গত ৩০ মার্চ রায় ঘোষণার দিন আজকের দিন ধার্য করা হয়েছিল।
আদালতে জাহাঙ্গীরের পক্ষে এই মামলায় শুনানি করেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী ইউসুফ হোসেন হুমায়ন, এম কে রহমান, ব্যারিস্টার বেলায়েত হোসেন। অন্যদিকে রাষ্ট্রপক্ষে শুনানিতে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল নওরোজ মো. রাসেল চৌধুরী। আর গাজীপুর সিটি করপোরেশনের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী সানজিদা খানম।
২০২১ সালের সেপ্টেম্বরে গোপনে ধারণ করা জাহাঙ্গীর আলমের কথোপকথনের একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়। এতে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও জেলার কয়েকজন গুরুত্বপূর্ণ নেতা এবং মুক্তিযুদ্ধ সম্পর্কে বিতর্কিত মন্তব্য করার অভিযোগ ওঠে। এর পরিপ্রেক্ষিতে ওই বছরের ১৯ নভেম্বর আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সভায় জাহাঙ্গীরকে দল থেকে বহিষ্কার করা হয়। ২৫ নভেম্বর তাকে মেয়র পদ থেকে সাময়িক বহিষ্কার করা হয়।
এরপর ওই বরখাস্তের বিরুদ্ধে ২০২২ সালে হাইকোর্টে রিট করেন তিনি। এরপর ওই বছরের ২৩ আগষ্ট ওই রিটের শুনানি নিয়ে রুল জারি করেন হাইকোর্ট।
রুলে মেয়র পদ থেকে জাহাঙ্গীর আলমকে সাময়িক বরখাস্তের সিদ্ধান্ত কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চাওয়া হয়। এরই ধারাবাহিকতায় রুলের চূড়ান্ত শুনানি নিয়ে রায়ের দিন ধার্য করেন হাইকোর্ট।
এদিকে, জাহাঙ্গীর আলম বঙ্গবন্ধু ও মুক্তিযুদ্ধ সম্পর্কে বিতর্কিত বক্তব্যের জন্য ক্ষমা চাইলে সম্প্রতি আওয়ামী লীগের হাই কমান্ড থেকে তা শর্তসাপেক্ষে মঞ্জুর করা হয়েছে।