মার্কিন দুই মুসলিম নারী আইনপ্রণেতার ইসরায়েল সফরে নিষেধাজ্ঞা

0
537
রাশিদা তালিব (বাঁয়ে) ও ইলহান ওমর। ছবি: রয়টার্স

মার্কিন কংগ্রেসের দুই মুসলিম নারী সদস্যের ইসরায়েল সফরে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের আহ্বানের পর পর ইসরায়েল আজ বৃহস্পতিবার এই নিষেধাজ্ঞার কথা জানায়।

ওই দুই মুসলিম নারী কংগ্রেস সদস্য হলেন ইলহান ওমর ও রাশিদা তালিব। গত বছরের নভেম্বরে মধ্যবর্তী নির্বাচনে ডেমোক্রেটিক পার্টির প্রার্থী হিসেবে মার্কিন কংগ্রেসের সদস্য নির্বাচিত হন তাঁরা। তাঁরাই প্রথম দুই মুসলিম নারী, যাঁরা মার্কিন কংগ্রেসের সদস্য হয়েছেন। আগামী রোববার তাঁদের ইসরায়েল সফরে যাওয়ার কথা ছিল।

বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়, আজ বৃহস্পতিবার ইসরায়েলের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক বিবৃতিতে মার্কিন কংগ্রেসের এই দুই সদস্যের সফরে নিষেধাজ্ঞার কথা জানানো হয়েছে। ইসরায়েলের আইন অনুযায়ী যাঁরা ইসরায়েলকে বর্জনের আহ্বান জানান, তাঁদের ইসরায়েল সফর করতে দেওয়া হয় না।

গত মাসে যুক্তরাষ্ট্রে নিযুক্ত ইসরায়েলি রাষ্ট্রদূত রন ডেরমার অবশ্য এই দুই কংগ্রেস সদস্যের ইসরায়েল সফরের ব্যাপারে ইতিবাচক অবস্থানের কথা জানিয়েছিলেন। রাষ্ট্রদূত ডেরমার বলেছিলেন, যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরায়েলের অসাধারণ বন্ধুত্ব ও মার্কিন কংগ্রেসের প্রতি সম্মান জানিয়ে ওই দুই মুসলিম নারী কংগ্রেস সদস্যকে ইসরায়েল সফরের অনুমতি দেওয়া হবে।

তবে আজ প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প টুইটারে এক বার্তায় বলেন, ‘ওই দুই কংগ্রেস সদস্যকে ইসরায়েল সফরের অনুমতি দেওয়া হলে তা হবে ইসরায়েলের দুর্বলতা। তাঁরা ইসরায়েল ও সব ইহুদিকে ঘৃণা করেন। কোনোভাবেই তাঁদের মানসিকতার পরিবর্তন ঘটানো যাবে না।’ ট্রাম্পের ওই টুইটার বার্তার পর ইসরায়েলের নিষেধাজ্ঞার কথা গণমাধ্যমে আসে।

সোমালি বংশোদ্ভূত ইলহান ওমর এবং ফিলিস্তিনি বংশোদ্ভূত রাশিদা তালিব প্রকাশ্যেই প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের অভিবাসীবিরোধী এবং মুসলিমবিরোধী নীতির কঠোর সমালোচক বলে পরিচিত। ইলহান ওমর মিনেসোটা অঙ্গরাজ্য ও রাশিদা তালিব মিশিগান অঙ্গরাজ্য থেকে কংগ্রেস সদস্য নির্বাচিত হন।

ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর ঘনিষ্ঠ বলে পরিচিত প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প বিভিন্ন সময়ে ইলহান-রাশিদার মতো অভিবাসনের মাধ্যমে যুক্তরাষ্ট্রে গিয়ে আইনপ্রণেতা নির্বাচিত হওয়া নেতাদের প্রতি বিতর্কিত মন্তব্য করছেন। ট্রাম্প বলেছেন, এ ধরনের আইনপ্রণেতারা তাঁদের পরিবার যে দেশ থেকে এসেছেন, সে দেশে ফিরে যান। ট্রাম্পের এই বক্তব্য ব্যাপক বিতর্কের জন্ম দেয়।

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.