ফরিদপুরের ভাঙ্গা উপজেলার ঘারুয়া ইউনিয়নের কুমারখালি গ্রামে শনিবার সকালে দু’দল গ্রামবাসীর মধ্যে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ হয়েছে। কয়েক ঘণ্টাব্যাপী চলা সংঘর্ষে উভয়পক্ষের কমপক্ষে ৫০ জন আহত হয়েছেন। তাদের উদ্ধার করে প্রথমে ভাঙ্গা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে গুরুতর আহত ২০ জনকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
খবর পেয়ে ভাঙ্গা থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। বর্তমানে পরিস্থিতি পুরোপুরি পুলিশের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে বলে জানিয়েছেন ভাঙ্গা থানার পরিদর্শক (তদন্ত) নিখিল অধিকারি।
স্থানীয়রা জানায়, শুক্রবার বিকালে ক্রিকেট খেলাকে কেন্দ্র করে ছোট ছেলেদের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। এলাকাবাসী ঘটনাটি মীমাংসা করে বাড়িতে ফেরার সময় নাসির মাতুব্বর নামে একজনকে মারধর করে একটি গ্রুপ। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে শনিবার সকালে তারা মাতুব্বর ও কাউস মাতুব্বরের লোকজন দেশীয় অস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে ঝড়িয়ে। প্রায় দুই ঘণ্টাব্যাপী চলে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়াসহ ইট পাটকেল ছোড়াছুড়ি। সংঘর্ষে উভয়পক্ষের কমপক্ষে ৫০ জন আহত হয়।
যাদের হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে তারা হলেন, তারা মাতুব্বর, বেলায়েত মাতুব্বর, দেলোয়ার মাতুব্বর, মোকলেস মাতুব্বর, সলেমান মাতুব্বর, ছরোয়ার মাতুব্বর, মজিবর হাওলাদার, মন্নু মিয়া, উজ্জ্বল শেখ, মহিদুল শেখ, বাচ্চু শেখ, রিফাত মাতুব্বর, নাসির মাতুব্বর, মনিরুজ্জামান খান, সুলতান খান, বালাম খান, আবুল হাওলাদার, রাজ্জাক খান, বারেক হাওলাদার, আব্বাস মাতুব্বর, সৈয়াদ আলী হাওলাদার, শাহাদাৎ খান, রমজান মাতুব্বর, নুরুল হক খালাশি, কাশেম খালাশি, নুর আমিন শেখ, মিনি বেগম, বিউটি বেগম, হাফেজ মাতুব্বর, শাওন মাতুব্বর, শাকির হাওলাদার, আ. হাই মাতুব্বর, ইলিয়াছ মাতুব্বর, মতিয়ার হাওলাদার, মোশারফ হাওলাদার, আসাদ মাতুব্বর ও ইকবাল মাতুব্বর।
নিখিল অধিকারি বলেন, ‘তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে দু’দল গ্রামবাসী নিজেদের আধিপত্য ধরে রাখার জন্যই সংঘর্ষে লিপ্ত হয়। খবর পেয়ে আমরা দ্রুত ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনি। ঘটনার তদন্ত করে পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’