শবনম বুবলী।চিত্রনায়িকা। আসছে কোরবানির ঈদে তাঁর অভিনীত ‘প্রহেলিকা’ ও ‘ক্যাসিনো’ নামে দুটি ছবি মুক্তি পাচ্ছে। ছবি দুটি নিয়ে প্রত্যাশা, ঈদ উদযাপন, সন্তান ও সংসারের নানা প্রসঙ্গ নিয়ে কথা হয় তাঁর সঙ্গে–
দুটি ছবি নিয়েই প্রত্যাশার জায়গাটা বেশ। ছবির গল্প, নির্মাণশৈলী ও কনসেপ্ট একেবারেই আলাদা। তাই ‘প্রহেলিকা’ ও ‘ক্যাসিনো’ আলাদা অভিজ্ঞতা দেবে দর্শককে। এর মধ্যে ‘প্রহেলিকা’ প্রেম ও দ্রোহের গল্প। আর ‘ক্যাসিনো’ হচ্ছে ক্যাসিনো নিয়ে অন্ধকার এক জগতের গল্প। আমি মনে করি, দুটি ছবিই আমার ক্যারিয়ারের অন্যতম ভালো ছবি। এর মধ্য দিয়ে দর্শক ভিন্ন এক বুবলীকে খুঁজে পাবেন। তাই প্রত্যাশা একটু বেশিই কাজ করছে বলতে পারেন।
আমরা সব সময়ই বলি, সিনেমা হচ্ছে সন্তানের মতো। ‘প্রহেলিকা’ ও ‘ক্যাসিনো’ আমার দুই সন্তান। এর কোনোটিই পিছিয়ে রাখার অবকাশ নেই। আমি চাই, দুটি ছবিই নিজ নিজ গুণে সাফল্য পাক।
শাকিব খান সুপারস্টার। তাঁর অভিনীত ছবি মানেই ভক্তদের উন্মাদনা। এত বড় একজন তারকার ছবি তো দর্শক দেখবেই। অন্যদিকে নিশো ভাই নাটকের পরীক্ষিত অভিনেতা। সিনেমায় তাঁকে ওয়েলকাম। তাঁরও বড় একটা ফ্যানবেজ আছে। তাঁদের ছবির পাশে আমার ‘প্রহেলিকা’ ও ‘ক্যাসিনো’ও কিন্তু এড়িয়ে যাওয়ার মতো ছবি নয়। ‘প্রহেলিকা’তে মাহফুজ আহমেদ, নাসিরউদ্দিন ভাইয়ের মতো দুর্দান্ত অভিনেতা রয়েছেন; সেই সঙ্গে রয়েছে দারুণ গল্প। আর ‘ক্যাসিনো’ বিগ বাজেটের ছবি। কমার্শিয়াল সব উপাদান এতে আছে। কাজেই ‘প্রহেলিকা’ ও ‘ক্যাসিনো’র সাফল্য নিয়ে আমি আশাবাদী।
সিনেমার বাইরে আমার ব্যস্ততা ও পরিকল্পনা শেহজাদ খান বীরকে নিয়ে। ঈদে তো পুরোটা সময় বীরকে নিয়েই থাকব। পাশাপাশি বাবা-মা, ভাইদের নিয়েও ঈদের পরিকল্পনা রয়েছে। মুসলিমদের জন্য এটা ত্যাগের ঈদ। প্রতিবারই আমার কোরবানির গরুর নামকরণ করা হয়। এর আগের বার পঙ্খিরাজ, বাহাদুর রাখা হয়েছিল। এবার গরুর নামকরণ হয়েছে মহারাজ। ভালোবেসেই নামগুলো রাখা হয়।
এই কোরবানির গোশত বিলিবণ্টন নিয়েও ঈদের দিনটা বেশ ব্যস্ততায় কাটে।
‘প্রিয়তমা’ ছবির সঙ্গে আমি দীর্ঘদিন কানেক্টেড ছিলাম। ছবির নামটিও আমাদের একসঙ্গে মিটিং করেই রাখা। কাজেই ‘প্রহেলিকা’ ও ‘ক্যাসিনো’ দেখার পর ‘প্রিয়তমা’ দেখারও একটা প্ল্যান থাকবে।
এ বিষয়ে আমি কথা বলতে চাই না। একদমই চাই না।
বীরের বাবা আমি, মাও আমি। সবখানে আমাকেই বীরের বাবা ও মায়ের ভূমিকা পালন করতে হচ্ছে। বীর তো এখন বাবা-মায়ের সঙ্গেই আছে। ঈদেও থাকবে। এর বাইরে তেমন কিছু আর বলার নেই। কাজের বাইরে আমার পুরোটা সময় শেহজাদের জন্যই থাকে। এবারের ঈদ শেহজাদকে নিয়েই কাটবে।