বাসাবাড়িতে কীটনাশকের যথেচ্ছ ব্যবহারে স্বাস্থ্যঝুঁকি

0
164
বাবার সঙ্গে দুই ভাই শাহির মোবারত (৯) ও শায়ান মোবারত (১৫); এই দুই ভাই এখন শুধুই স্মৃতি

নিবন্ধিত–অনিবন্ধিত অসংখ্য প্রতিষ্ঠান বাসাবাড়িতে পোকামাকড় নিধনে কীটনাশক প্রয়োগের কাজ করছে। নেই কোনো নজরদারি

বাসাবাড়িতে মশা-মাছি, তেলাপোকা, ছারপোকা, ইঁদুরসহ নানা পোকামাকড় নিধনে কীটনাশক ব্যবহার করা হয়ে থাকে। কেউ বালাইনাশক প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে, আবার কেউ দোকান বা রাস্তার পাশের হকার থেকে কীটনাশক কিনে বাসায় ব্যবহার করেন।

অথচ এসব কীটনাশক বাসাবাড়িতে ব্যবহারের জন্য অনুমোদিত কি না, মানুষের স্বাস্থ্যের জন্য কতটা ক্ষতিকর—সেদিকে সংশ্লিষ্ট সরকারি প্রতিষ্ঠানের নজরদারি নেই। ভোক্তা ও ব্যবসায়ীদের কাছেও কখনো বিষয়টি গুরুত্ব পায়নি। এতে বড় ধরনের স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি হচ্ছে।

সম্প্রতি রাজধানীর বসুন্ধরা আবাসিক এলাকায় কীটনাশকের বিষক্রিয়ায় একই পরিবারের দুই শিশুর মৃত্যুর পর বিষয়টি সবাইকে ভাবিয়ে তুলেছে। টনক নড়েছে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উদ্ভিদ সংরক্ষণ উইংয়ের বালাইনাশক প্রশাসনের। তারা গণবিজ্ঞপ্তি প্রচারসহ বিভিন্ন তৎপরতা শুরু করেছে।

রাজধানীর বসুন্ধরা আবাসিক এলাকার এই ফ্ল্যাটে তেলাপোকা মারার ওষুধ দেওয়ার এক দিন পর অসুস্থ হয়ে দুই শিশুর মৃত্যু হয়েছে
রাজধানীর বসুন্ধরা আবাসিক এলাকার এই ফ্ল্যাটে তেলাপোকা মারার ওষুধ দেওয়ার এক দিন পর অসুস্থ হয়ে দুই শিশুর মৃত্যু হয়েছে

উদ্ভিদ সংরক্ষণ উইং বালাইনাশক প্রতিষ্ঠানকে লাইসেন্স দিয়ে থাকে। দেশে জনস্বাস্থ্যের সঙ্গে সরাসরি সম্পৃক্ত অনুমোদিত কীটনাশক আছে ৬১৩ ধরনের। আর বাসাবাড়িতে পোকামাকড় নিধন ও নিয়ন্ত্রণের কাজ করে—লাইসেন্সপ্রাপ্ত এমন প্রতিষ্ঠান আছে ১১৮টি।

২০১৮ সালের বালাইনাশক (পেস্টিসাইডস) আইনে বলা আছে, কোনো ব্যক্তি লাইসেন্স ছাড়া বালাইনাশক আমদানি, উৎপাদন, পুনরুৎপাদন, মোড়কজাতকরণ, বাণিজ্যিক ভিত্তিতে কীটপতঙ্গ নিয়ন্ত্রণ করার পদ্ধতি পরিচালনা, বিজ্ঞাপন প্রচারসহ কোনো কাজই করতে পারবে না।

ফেসবুকে পেজ খুলে এবং নামমাত্র কোম্পানি খুলে দেশে কয়েক হাজার প্রতিষ্ঠান পোকামাকড় নিধনে কাজ করছে। সরকারের উচিত নিবন্ধনহীন এসব প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া। তবে এসব প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে এখন পর্যন্ত কোনো অভিযান চালায়নি সরকারের সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠান।

লাইসেন্সপ্রাপ্ত প্রতিষ্ঠান টাইগার পেস্ট কন্ট্রোলের পরিচালক ইমরান হোসাইন

সামাজিক মাধ্যমে কীটনাশক ব্যবসা

বালাইনাশক প্রশাসনের কর্মকর্তারা নিজেরাই বলছেন, লাইসেন্স পাওয়া ১১৮টি প্রতিষ্ঠানের বাইরেও লাইসেন্সবিহীন অসংখ্য প্রতিষ্ঠান সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বিজ্ঞাপন দিয়ে কীটনাশক বিক্রি ও বাসাবাড়িতে পোকামাকড় নিধনে কাজ করছে। বেশি বেশি ভোক্তার কাছে পৌঁছাতে তারা তাদের ফেসবুক পেজ ও পণ্যকে ‘বুস্ট’ (বেশি লোকের কাছে পৌঁছানোর ব্যবস্থা) করে থাকে। কী পরিমাণ প্রতিষ্ঠান অনুমোদন ছাড়া সামাজিক মাধ্যমে ব্যবসা করছে, তার সঠিক কোনো সংখ্যা তাদের কাছে নেই।তেলাপোকা মারার ওষুধ: ঘরে ঢুকেই তীব্র ঝাঁজালো গন্ধ পেয়েছিলেন তাঁরা

রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় দেয়াল-বিজ্ঞাপন দিয়ে এবং ভাসমান ভ্যানে করেও কীটনাশক বিক্রি হচ্ছে। এ ছাড়া বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান গ্রাহকদের আকৃষ্ট করতে মোবাইল ফোনে খুদে বার্তা দিচ্ছে। রাজধানীর কারওয়ান বাজারে গতকাল বৃহস্পতিবার ঘুরে দেখা যায়, ভ্যানে করে বহুল আলোচিত অ্যালুমিনিয়াম ফসফাইড বিক্রি করা হচ্ছে। তবে দোকানিরা বলেন, এখন এই কীটনাশক খুব একটা বিক্রি হচ্ছে না। সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বলেন, অ্যালুমিনিয়াম ফসফাইড একধরনের কীটনাশকের জেনেরিক নাম। দেশে ট্যাবলেট আকারে এটি পাওয়া যায়। এই ট্যাবলেট থেকে ফুসফুসের জন্য ক্ষতিকর বিষাক্ত ফসফিন গ্যাস বের হয়।

ঘটনাটি হাইকোর্টেরও নজরে এসেছে। ৮ জুন দুই ভাইয়ের মৃত্যুর ঘটনাকে ‘হৃদয়বিদারক’ বলে মন্তব্য করেন হাইকোর্ট।

৮ জুন ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) অতিরিক্ত কমিশনার মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ বলেন, সেই বাসায় অ্যালুমিনিয়াম ফসফাইডযুক্ত কীটনাশক ব্যবহার করা হয়েছিল। এই কীটনাশক বড় পোশাক কারখানা (গার্মেন্টস), বীজ গুদাম বা অনাবাসিক এলাকায় ব্যবহারের জন্য, বাসার জন্য নয়।

ঘরে দেওয়া হয় তেলাপোকা মারার ওষুধ, অসুস্থ হয়ে স্কুলপড়ুয়া দুই ভাইয়ের মৃত্যু

লাইসেন্সপ্রাপ্ত প্রতিষ্ঠান টাইগার পেস্ট কন্ট্রোলের পরিচালক ইমরান হোসাইন বলেন, ফেসবুকে পেজ খুলে এবং নামমাত্র কোম্পানি খুলে দেশে কয়েক হাজার প্রতিষ্ঠান পোকামাকড় নিধনে কাজ করছে। সরকারের উচিত নিবন্ধনহীন এসব প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া। তবে এসব প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে এখন পর্যন্ত কোনো অভিযান চালায়নি সরকারের সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠান।

তদন্ত কমিটির কেউ আমার বাসায় আসেননি। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম, শহরের বিভিন্ন দেয়াল–বিজ্ঞাপন দিয়ে, এমনকি ভ্যানে করে মশা, মাছি, তেলাপোকা নিধনের কীটনাশক বিক্রি হচ্ছে। সরকারের সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠান কখনোই নজরদারি করেনি, মানুষকে সচেতন করেনি। এখন তারা তৎপর হচ্ছে।

বিষক্রিয়ায় মৃত দুই শিশুর বাবা মোবারক হোসেন

বাসায় গুদামের কীটনাশক

বালাইনাশক প্রশাসনের কর্মকর্তারা বলছেন, বাসাবাড়ির জন্য যেসব অনুমোদিত কীটনাশক রয়েছে, সেগুলোর পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া খুবই কম, স্বাস্থ্যের জন্যও ঝুঁকিপূর্ণ নয়। তবে তদারক সংস্থার নজরদারির অভাবে নিবন্ধিত–অনিবন্ধিত প্রতিষ্ঠান জেনে বা না জেনে বাসাবাড়িতে ব্যবহার নিষিদ্ধ কীটনাশকও ব্যবহার করছে।

বসুন্ধরা আবাসিক এলাকার ব্যবসায়ী মোবারক হোসেন (তুষার) ও শারমিন জাহান দম্পতির দুই ছেলে শায়ান মোবারত (১৫) ও শাহির মোবারত (১০) বেসরকারি একটি হাসপাতালে ৪ জুন একই দিনে মারা যায়। শায়ান মোবারতের মৃত্যুসনদে মৃত্যুর কারণ হিসেবে ‘অপরিচিত কীটনাশকের বিষ’ কথাটি উল্লেখ করা হয়েছে।

বাসার তেলাপোকা নিধনে ২ জুন ডিসিএস অর্গানাইজেশন লিমিটেড নামের বালাইনাশক (পেস্ট কন্ট্রোল) প্রতিষ্ঠানের দুই কর্মী সন্ধ্যায় মোবারকের বাসায় কীটনাশক দিয়ে চলে যান। এর আগেই মোবারক স্ত্রী–সন্তানদের বাসার বাইরে পাঠিয়ে দেন। তিনিও চলে যান। ১০ ঘণ্টা পর সবাই বাসায় ফেরেন। এরপর দুই ছেলে আর স্ত্রী বমি করতে থাকেন। দুই ছেলে অসুস্থ হয়ে পড়লে ৪ জুন তাদের হাসপাতালে নেওয়া হয়। ওই দিনই তারা মারা যায়। ৫ জুন মোবারক ভাটারা থানায় কীটনাশক প্রয়োগে বিষক্রিয়ায় প্রাণহানির অভিযোগে প্রতিষ্ঠানটির কর্মীদের বিরুদ্ধে মামলা করেন।

ভাটারা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এ বি এম আসাদুজ্জামান বলেন, মামলায় ডিসিএস অর্গানাইজেশনের চেয়ারম্যান আশরাফুজ্জামান, ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) ফরহাদুল আমিনসহ তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। মামলাটি সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে তদন্ত করা হচ্ছে।

ঘটনাটি হাইকোর্টেরও নজরে এসেছে। ৮ জুন দুই ভাইয়ের মৃত্যুর ঘটনাকে ‘হৃদয়বিদারক’ বলে মন্তব্য করেন হাইকোর্ট।

বালাইনাশক প্রশাসনের তৎপরতা

দুই শিশুর মৃত্যুর পর উদ্ভিদ সংরক্ষণ উইংয়ের বালাইনাশক প্রশাসন তদন্ত কমিটি গঠনসহ নানা উদ্যোগ নেয়। উপপরিচালক রফিকুল আলম খানকে আহ্বায়ক করে পাঁচ সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি করা হয়েছে।

আবার ১৪ জুন কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের ওয়েবসাইটে দেওয়া গণবিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, বাসাবাড়িতে বিভিন্ন পোকা দমনে উদ্ভিদ সংরক্ষণ উইংয়ের অনুমোদিত বালাইনাশক রয়েছে। অনুমোদিত বালাইনাশক ও পেস্ট কন্ট্রোল অপারেটরদের তালিকাও ওয়েবসাইটে দেওয়া হয়েছে। বাসাবাড়িতে কৃষিকাজে ব্যবহার করা বালাইনাশক ব্যবহারের সুযোগ নেই।

এই গণবিজ্ঞপ্তিতে দায়িত্বপ্রাপ্ত দুই কর্মকর্তার নাম ও মোবাইল ফোন নম্বর উল্লেখ করা হয়েছে। তবে ওই দুই কর্মকর্তা বলেন, তাঁরা জানেন না তাঁদের দায়িত্ব কী।

উপপরিচালক রফিকুল আলম গত মঙ্গলবার বলেন, গণমাধ্যম ও পুলিশের বরাতে তাঁরা জানতে পেরেছেন, ওই দুই শিশুর বাসায় নিবন্ধিত বালাইনাশক (পেস্ট কন্ট্রোল) প্রতিষ্ঠানটির কর্মীরা অ্যালুমিনিয়াম ফসফাইডের উপাদানযুক্ত কীটনাশক ব্যবহার করেছিলেন, যা বাসাবাড়িতে ব্যবহার নিষিদ্ধ। তবে তাঁরা ওই বাসায় তদন্তের পর সবকিছু জানা যাবে।

রফিকুল আলম বলেন, দুই শিশুর মৃত্যুর পর লাইসেন্স দেওয়ার প্রক্রিয়ায় পরিবর্তন আনা হচ্ছে। আগে লাইসেন্স পেতে হলে আবেদনকারীর নাম, ঠিকানা, শিক্ষাগত যোগ্যতা এ–সংক্রান্ত আইন ও বিধি সম্পর্কে জ্ঞান ইত্যাদি প্রশ্নের উত্তর জানতে চাওয়া হতো। এখন লাইসেন্স পেতে আবেদনকারীকে এর সঙ্গে নিজ খরচে এক মাসের প্রশিক্ষণ শেষে লিখিত ও মৌখিক পরীক্ষায় পাস করতে হবে।

বিষক্রিয়ায় মৃত দুই শিশুর বাবা মোবারক হোসেন গত বুধবার মোবাইল ফোনে  বলেন, ‘তদন্ত কমিটির কেউ আমার বাসায় আসেননি। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম, শহরের বিভিন্ন দেয়াল–বিজ্ঞাপন দিয়ে, এমনকি ভ্যানে করে মশা, মাছি, তেলাপোকা নিধনের কীটনাশক বিক্রি হচ্ছে। সরকারের সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠান কখনোই নজরদারি করেনি, মানুষকে সচেতন করেনি। এখন তারা তৎপর হচ্ছে।’

মোবারক বলেন, ‘আমি শুরু থেকেই বালাইনাশক প্রতিষ্ঠানটির কর্মকর্তা মোসলেহ উদ্দিনের কাছে তাঁদের ব্যবহার করা ওষুধ ক্ষতিকর কি না, জানতে চেয়েছি। আমার পরিবারের সদস্যরা বমি শুরু করার পরও তাঁকে ফোন করে বিষয়টি জানিয়েছিলাম। তিনি বলেছিলেন, তাঁদের ওষুধে অ্যালার্জি ছাড়া অন্য কোনো সমস্যা নেই।’

কীটনাশক প্রতিষ্ঠানগুলোর সেবা প্রায় বন্ধ

এত দিন গা ছাড়াভাবে কাজ করলেও দুই শিশুর মৃত্যুর পর কীটনাশক প্রয়োগকারী প্রতিষ্ঠানগুলো চাপের মধ্যে পড়েছে। একাধিক প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিরা বলেন, দুই শিশুর মৃত্যুর পর এ সেবা প্রায় বন্ধ হয়ে গেছে।

ফেসবুকে কীটনাশক সেবার বিজ্ঞাপন দিয়ে ব্যবসা চালানো এ-টু-জেড ক্লিনিং অ্যান্ড পেস্ট কন্ট্রোল সার্ভিস লিমিটেডের মালিক বুলবুল মুন্সি বললেন, দুই শিশুর মৃত্যুর পর মানুষের পোকামাকড় নিধনে সেবা নেওয়ার পরিমাণ কমে গেছে, বলতে গেলে বন্ধই হয়ে গেছে।

কয়েকজন ব্যবসায়ী জানান, আগে লাইসেন্স দেওয়া আর নবায়ন ছাড়া প্রতিষ্ঠানটির তেমন কোনো কাজ ছিল না। এখন কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের সংশ্লিষ্ট শাখা থেকে ডাক পড়ছে।

উদ্ভিদ সংরক্ষণ উইংয়ের ভারপ্রাপ্ত পরিচালক মো. ফরিদুল হাসান বলেন, একটি কমিটি করা হয়েছে। বাসাবাড়িতে কীটনাশক ব্যবহারের কাজের লাইসেন্সপ্রাপ্ত ১১৮টি প্রতিষ্ঠান সম্পর্কে এই কমিটি খোঁজখবর নিচ্ছে। প্রতিষ্ঠানগুলোকে চিঠিও দেওয়া হচ্ছে।

ফরিদুল হাসান বলেন, অ্যালুমিনিয়াম ফসফাইড খাদ্যগুদামে পোকামাকড় নিধনে এবং আমদানি–রপ্তানির পণ্যে ব্যবহার করা হয়। এই কীটনাশকের ব্যবহার বন্ধ করলে আমদানি-রপ্তানিসহ অন্যান্য ক্ষেত্রে প্রভাব পড়বে। বাসাবাড়ির জন্য নিবন্ধিত প্রতিষ্ঠানগুলোকে কীটনাশক ব্যবহারে সচেতন হতে হবে।

মৃত দুই শিশুর বাবা মোবারক বললেন, ‘আমি দুই ছেলের মৃত্যুর ন্যায়বিচার চাই। আমরা দুই সন্তান হারিয়েছি। আর কোনো মা–বাবার যেন এমন অভিজ্ঞতা না হয়।’

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.